Better life with steem || The Diary Game || 02 May, 2024 ||
সকাল বেলা |
---|
শুভ সকাল বন্ধুগণ,,
আজকে সকালে উঠতে হয়েছিলো কারণ আমার আজকে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ইমপ্রুভমেন্ট পরিক্ষা ছিলো যার জন্য সকাল ছয় টায় উঠেছিলাম তারপর বাইরে বের হয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করলাম ৷ তারপর বাড়িতে এসে ব্রাশ করে জিলাপি খেয়ে নিলাম ৷ তারপর পড়তে বসলাম পাক্কা দুই ঘন্টা বই পরে ৯ টায় শেষ করি ৷
তারপর আর দেরী না করে স্নান দিতে চলে গেলাম ৷ সাড়ে নয়টার মধ্যে স্নান শেষ করে রেডি হয়ে গেলাম ৷ রেডি হওয়া শেষে সকালের খাবার টা সেরে ফেললাম ৷ তারপর কাগজ পাতি গুলো ঠিক ঠাক করে নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম ৷ পাঁচ মিনিটের রাস্তা হেঁটে গেলাম তারপর সিন এনজি তে উঠে চলে গেলাম বোদায় ১০ টার মধ্যে বোদায় পৌঁছে গেলাম ৷ আমার পরিক্ষা ১টার দিকে রয়েছে আর আজকে একটু সকাল সকাল যেতে হবে কারন রোল খুজে বের করতে হবে ৷
আর আমাদের পরিক্ষা কেন্দ্র হলো পঞ্চগড় সরকারি মকবুলার কলেজে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় দুই ঘন্টার মত লাগে যাইতে যদি রিলেক্স ভাবে যাওয়া যায় ৷ যাই হোক আমি ১২ টার পর পরই পরিক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে গেলাম ৷
দুপুর বেলা |
---|
প্রায় সাড়ে ১২ টা বেজে গেছিলো তখন দুপুর সময় আর প্রচন্ড রোদ এই রোদে আর গরমের মধ্যে পরিক্ষা দিতে হবে ভাবতেই একটু ভয় লাগা কাজ করছে ৷
আমরা ১২ টা ৪৫ মিনিটে রুমে প্রবেশ করলাম রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে আমাদের খাতা দিয়ে দিলো আমরা খাতায় সবকিছু লিখে ভরাট করলাম তারপর মার্জিন টেনে নিলাম ৷
পুরা ১ টার সময় আমাদের প্রশ্ন দিয়ে দিলো আমরা তখন আমাদের মত করে লিখতে শুরু করলাম ৷ পাক্কা চার ঘন্টা পরিক্ষা দিতে হবে এবং লিখতে হবে ৷ আর এই টানা চার ঘন্টা লেখা খুবই কষ্টের একসময় অনিহা চলে আসে লেখার প্রতি ৷ যাই হোক পরিক্ষা তো দিতেই হবে আমি চার ঘন্টা টানা লিখে পরিক্ষা শেষ করলাম পরিক্ষা শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে খাতা জমা দিয়ে বাইরে চলে আসলাম ৷
বিকেল বেলা |
---|
মাথা প্রচুর ব্যাথা করছে বাইরে এসে আগে একটা চা খেয়ে নিলাম ৷ চা খাওয়া শেষ করে একটু দোকানে বিশ্রাম নিলাম তারপর সেখান থেকে বাসস্ট্যান্ড চলে আসলাম এসে টিকিট কেটে বাসে উঠে পড়লাম ৷ আর আমি বাসেও উঠতে পারি না বমি লাগে সাথে খুব খারাপ লাগে তবে ২০ কিলোমিটার রাস্তা কোন রকম ভাবে যাইতে পারবো ৷
বোদায় এসে নামলাম সাড়ে ৬ টার দিকে এই দিকে খুব ক্ষুদা লাগছে চলে গেলাম হোটেলে সেখানে গিয়ে খিচুরি সবজী সাথে ডিম ভাজি দিয়ে খিচুরি খাইলাম ৷ তারপর বিল দিয়ে বাইরে এসে একটা পান খেয়ে সি এন জি তে উঠলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে ৷
আবার ২০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে আমাদের চৌরাস্তায় এসে পৌঁছলাম প্রায় ৪ টা বেজে গেছে ৷
তারপর আর দেরী না করে চৌরাস্তা থেকে পাঁচ টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম ৷ বাড়ি এসে আর খাবার না খেয়ে সোজা ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে পোস্ট লেখা শুরু দিলাম ৷
তো বন্ধুরা আজকে এই ছিলো আমার সারাদিনের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ৷ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
শুভ রাত্রি 🌼
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
আমার মনে হয় এটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিক্ষা দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে ভুল হলে কেমন ঝামেলায় পড়তে হতে পারে সেটা আমাদের সকলেরই জানা।
আমার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমার হলের একটা মেয়ে এডমিট কার্ড নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলো তার পরীক্ষক কোনো মতেই তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি৷ পরবর্তীতে ফোন করে বাড়ি থেকে এসমিট আনার পরই পরীক্ষা দেওয়া শুরু করে। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো পরীক্ষার আগের রাতেই গুছিয়ে রাখা উচিত।
ভালো থাকবেন।
হুম ভাই ঠিক বলেছেন প্রতিটি পরিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের কাগজ পাতি গুলো ঠিক করে রাখা ৷ অনেকে ভূল করে কাগজ রেখে যায় তারপর আবার হয়রানির মাধ্যমে পরতে হয় ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
The sun must have actually been so much heavily over your place. Recently here where I lived and for the past few days, we have been experiencing rain so massively
Thank you so much 🖤🖤
বাংলাদেশে পরীক্ষার হল গুলোতে যদি এসির ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আরো ভালো হতো। কেননা এত গরম পরীক্ষা দেওয়াটা অনেকটা কষ্টের মাথায় অনেক কিছু থাকার সত্বেও গরমের তিক্ত তাই মনে হয় সব ভুলে গিয়েছি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যকর খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
এসি চেয়ে লজ্জা দিবেন না ভাই ফ্যানে হয় না আবার এসি ৷ হয়তো বড় বড় প্রাইভেট কলেজে এসি রয়েছে কিন্তু সাধারনত এই গুলা কলেজে এসির আশা করাটাই বোকামি ৷
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...
ভাই আমি যখন অনার্স প্রথম বর্ষে ছিলাম তখন বড় ভাইদের মুখে একটি কথা শুনেছিলাম। কথাটি এরকম, তুই যদি ইমপ্রুভ এক্সাম না দেইস তাহলে তুই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রই নস। অর্থ্যাত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে ইমপ্রুভ আপনাকে দিতেই হবে। আপনি না চাইলেও আপনার বন্ধুর পাল্লায় পরে ইমপ্রুভ দিতে হবে।
যাইহোক অনার্স জীবনে আমি তৃতীয় বর্ষের একটি পরীক্ষা ইমপ্রুভ দিয়েছিলাম। আজ আপনার লিখাটি পড়ে মনে পরে গেলো। ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
হা হা হা মজা পাইলাম তবে কথা সত্য ইনপ্রুভ দিতে দিতে ভাই জীবন শেষ ৷ কি যে হবে এখন ফাইনাল দিতে হবে ফাইনাল টা যেন একচান্চে পাশ হয় ৷ 😪
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...