কলাবতী ফুলের ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,,,
চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আবারো একটি নতুন ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে ৷ আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে ৷ তাহলে চল শুরু করা যাক ৷
এই ফুলের নাম কলাবতী বা কলাপাতা ফুল ৷ সাধারনত এই ফুল খুবই কম দেখা যায় ৷ মানুষ এই সব ধরনের ফুলের গাছ খুবই কম লাগিয়ে থাকে ৷ যার জন্য গ্রাম অঞ্চলে এই কলাপাতা ফুল তেমন একটা দেখা যায় না ৷ তবে যদি গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে অথবা শহরের কোন বাগান বিলাসে এই ফুল গুলো দেখতে পাওয়া যায় তাহলে হলুদ কলাবতী ফুল গুলো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে ৷
সাধারনত এই কলাবতী ফুল বেশ কয়েকটি রঙের হয়ে থাকে ৷ যেমন : লাল , সাদা , হলুদ আবার সবুজ রঙেরও হয়ে থাকে ৷ তারপর এই কলাবতী ফুলের গাছ উচ্চতায় চার থেকে পাঁচ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে ৷ এই কলাবতী ফুলের গাছের রঙ সাধারনত সবুজ রঙের হয়ে থাকে ৷ তারপর পাতা গুলো বেশ চ্যাপ্টা আকাড় ধারন করে থাকে ৷
সাধারনত এই কলাবতী ফুল বর্ষার শুরুতে এবং বর্ষার অনেক দিন পর্যন্ত এই কলাবতী ফুল গুলো ফোটে থাকে ৷ তারপর দেখা যায় এই কলাবতী গাছে একই কান্ডে বেশ কয়েকটি ফুল ফোটে থাকে ৷ আসলে এই ফুল দেখে অসম্ভব এক দৃষ্টি কেড়ে নেয় মানুষের চোখ থেকে ৷
তারপর এই ফুলের গাছ গুলোর মধ্যে বীজ ধারন করে থাকে আর সেই বীজ দিয়ে বংশবিস্তার করে থাকে এই কলাবতী ফুলের গাছ গুলো ৷ যদিও এই ফুলের গাছগুলো শুকিয়ে মারা যায় তারপরও এই গাছের মূল অনেক দিন পর্যন্ত সতেজ এবং বেচে থাকতে পারে ৷ যার জন্য এই কলাবতী ফুলের গাছের মুল মাটির নিচে গোপন করলে সেই শিকড় থেকে এই গাছটি বেড়ে উঠবে খুব সহজেই ৷
এই কলাবতী ফুলের গাছ শহরের মানুষগুলো বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় টবে চাষ করে থাকে ৷ তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এই কলাবতী ফুলের গাছ অতিরিক্ত জলাশয় সহ্য করতে পারে না ৷ এবং ছায়াযুক্ত স্থানে এই ফুল গুলো চাষ করলে সঠিক বা সতেজ ভাবে বেড়ে উঠতে পারবেনা ৷ এবং কি ফুল নাও ফুটতে পারে ৷
👉 তাছাড়াও এই কলাবতী ফুল গাছে নানা ধরনের ভেজষ গুন ৷ তা নিচে দেওয়া হলো ঃ
১ . শরীরের মধ্যে কোন ধরনের দীর্ঘায়ু ঘা থাকলে আর সেই ঘা সারাতে এই কলাবতী গাছের মূল গুলো বেটে সেই ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে ৷ তাহলে খুব সহজেই সেই দীর্ঘায়ু ঘা খুব সহজেই সেরে যাবে ৷
২. তারপর পেটে ব্যাথা থাকলে এই কলাবতী গাছ থেকে খুব সহজেই পেট ব্যাথা থেকে শুরু করে শরীরের নানা ধরনের ব্যাথা খুব সহজেই উপকারিতা লাভ করা যাবে ৷
৩. তারপর শরীরের ক্লান্তি এবং শরীরের দূর্বলতা দুর করতে এই কলাবতী গাছের বীজের ভিতরের যে অংশ টুকু রয়েছে সেগুলো সেবনের ফলে আপনাদের শরীরের ক্লান্তি থেকে শুরু করে শরীরের দূর্বলতা অতি সহজেই দুর হয়ে যাবে ৷
৪. তাছাড়াও দেখা যায় অনেকে অনেক দিন থেকে পাতলা পায়খানা ভোগে থাকে ৷ সাধারনত তাদের জন্য এই কলাবতী গাছের মূলের অংশ বেটে রস তৈরি করলে তারপর সেবন করার ফলে সব ধরনের পাতলা পায়খানা থেকে অনেক উপকারিতা লাভ করতে পারবেন ৷
যাই হোক যতটুকু পেরেছি আমি আপনাদের মাঝে এই কলাবতী ফুল গাছের তথ্য সংক্রান্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ৷ কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
বাহ বাহ!এত সুন্দর একটি ফুল দেখে মন ভরে গেল।আর কলাবতী ফুল গাছের এত উপকারিতা তা আগে জানতাম না। খুব সুন্দর ভাবে আপনি তুলে ধরেছেন।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনার আগামী পোস্টগুলোতে আরো দেখতে পাবো।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...
অনেক সুন্দর একটি ফুলের ছবি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ফুলটা সচরাচর এখন আর দেখা যায় না। কলাবতী ফুলের এত গুনাগুন আগে জানতাম না।