করলা সবজীর ফটোগ্রাফি
করলা কি?
সাধারনত করলা একটি ফল আর এটা সবজী জাতীয় ফল ৷ এই করলা সবজী ফল কাচাতেও খাওয়া যায় আর পাকাতেও খাওয়া যায় এক কথায় দুই ভাবেই খাওয়া যায় ৷ বেশির ভাগে মানুষেরা করলা সবজীর ভাজি খেতে অনেক পছন্দ করে থাকে ৷
তারপর পাকা করলা যেগুলো রয়েছে অনেক মানুষ শরবত বা জুস তৈরি করে খেয়ে থাকে ৷ এতে করে শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে ৷ যদিও আমি এই করলা সবজী তেমন পছন্দ করি না ৷ আমাদের বাসার সবাই খেয়ে থাকে এই করলা সবজী ৷
এই করলা সবজী টি অনেক তিতা করে থাকে যার ফলে অনেক মানুষই এই করলা সবজী খেতে পছন্দ করে থাকে না ৷ তবে করলা ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে ৷ আসলে যে সব জিনিস মানুষ একটু কম পছন্দ করে থাকে সেসব জিনিস এ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকে ৷
বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলে এই করলা সবজী ব্যাপক পরিমানে চাষ করে থাকে ৷ আগের তুলনায় এখন করলা চাষ উৎপাদন অনেক চাহিদা রয়েছে ৷ বর্তমানে মানুষ নানা শাক সবজী পছন্দ করতেছে ৷ প্রতিদিন তারা কোন না কোন সবজী খাওয়ার জন্য তাদের মধ্যে চাহিদা সম্পন্ন রয়েছে ৷
করলা আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি সবজী ৷ এই করলা ফল স্বাদে তিতা হলেও বাংলাদেশের সবার নিকটে এটি একটি প্রধান সবজী হিসেবে গন্য করা হয়েছে ৷ তাছাড়াও এই করলা ফলে অনেক ঔষুধি গুনাগুন রয়েছে ৷ যেমন চর্মরোগ বাত হাপানি এই সব ধরনের রোগের জন্য এই যে করলা ফল সবজী আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ৷
করলা চাষ
উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়া এই করলা চাষ ভালো হয়ে থাকে ৷ তবে যদি প্রচুর ভাবে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে তাহলে করলা ফলের গাছ খুব সহজেই মরে যাবে ৷ এই করলা গাছ অতিরিক্ত জলবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না বলে জানা যায় ৷
বীজ রোপন করার সময় মনে রাখতে হবে শীতকালে দুই মাস বাদ দিয়ে এই করলা বীজ রোপন করতে হবে ৷ এবং কি জমি টা এমন জায়গায় থাকতে হবে যেন সারাদিন রোদ পেয়ে থাকে ৷ তারপর সময়মত পানি সেচ ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷ তাহলেই এই করলা ফলন বেশী হারে পাওয়া যাবে ৷
সব ধরনের মাটিতে এই করলা সবজী চাষ করা যেতে পারে ৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে জৈবসারযুক্ত বা দোআশ মাটি তে এই করলা চাষ উপযোগী ৷সারা বছর চাষ করা যায় ৷ তবে জমিতে থাকা বেড তৈরিকরতে হবে একটু উচু করে যেন পানি জমে না থাকে সেইভাবে লাইন করে দিয়ে জমানো পানি বাইরের ফেলার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷
জমিতে চার থেকে পাঁচ বার মই দিতে হবে এবং চাষদিতে হবে যেন মাটি ঝুরঝুরা হয়ে থাকে ৷ এবং আগাছা দমন করতে হবে ৷ সব ধরনের কীটনাশক ব্যবস্থা রাখতে হবে যেন সবজীতে রোগবালাই আক্রমন করতে না পারে ৷ তারপর মনে রাখতে হবে একটি বীজ থেকে নূন্যতম ১ মিটার দুরত্ব বজায় রেখে করলা সবজীর বীজ রোপন করতে হবে ৷
করলা খাওয়ার কিছু উপকারিতা
- শ্বাসরোগ দুর করে থাকে ৷
- তারুন্য ধরে রাখে করলা সবজী ৷
- তারপর হজম শক্তিতে এই করলা সবজী অনেক উপকারে আসে ৷
- তারপর যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য এই করলা সবজী অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ৷
- তারপর করলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে ৷ তাছাড়াও খাবারের প্রতি রুচি নিয়ে আসে এই করলা সবজী ৷
এই ছিল আজকে আমার করলা সবজী নিয়ে তথ্য সংক্রান্ত জানি না কেমন হয়েছে ৷ আর কেমন হয়েছে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে ভুলবেননা ৷ সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি ৷সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
আপনার পোস্ট টা পড়ে ভালো লাগল আপনি করলার ফটোগ্রাফির পাশাপাশি করলা খাওয়ার উপকারিতা আলোচনা করেছেন। বেশ ভালো তো আমরা সবাই জানি আমরা প্রতিদিন যেসব সবজি খায় তার মধ্যে অনেক এমন গুণ আছে যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে খাওয়া দাওয়ায় শাক-সবজির ভূমিকা অসীম। করলার বড় গুণ হচ্ছে এটি হজমের জন্য উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা আছে। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করতে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।করলার রস শক্তিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। এটি স্ট্যামিনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো ঘুমে সহায়তা করে।তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন ভাই।