ভাগ্নির অন্নপ্রাশন \১৬ ফাল্গুন বুধবার
ভাগ্নের অন্নপ্রাশন দিনটি ছিলো বুধবার ১৬ তারিখ ফাল্গুন মাসে ৷ এই দিনে আমার ভাগ্নের মুখে আমি নিজের হাতে ভাত খাইয়ে দিয়েছি ৷ এটা আমাদের সনাতন ধর্মের প্রথা ৷আর এই প্রথার প্রচলন ছিল এবং পূর্বপুরূষ থেকে এটা প্রচলিত ছিল ৷ ছোট বাচ্চাদের এই ভাবে মুখে ভাত দিয়ে তারা ভাত খাওয়া শিখে যায় ৷ এভাবেই তারা আস্তে আস্তে করে বড় হওয়া শুরু করে ৷
প্রথমত আমরা আমাদের বাড়ি থেকে সকাল ৮ টায় বের হয়েছি ৷ আমার বোনের বাড়ি যেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিত লেগেছিল ৷ আমরা অটো গাড়ি করে সেখানে গিয়ে পৌছেছি ৷ তাদের বাড়িতে মেহমান ভর্তি মানুষ ছিল ৷সবাই দুর দুরান্ত থেকে এই শুভ অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানে এসেছিল নিমন্ত্রন পালন করতে ৷ যদি ও এই অনুষ্ঠান টি ছোট তারপর ও কিছু মেহমান কে নিমন্ত্রন করা হয়েছিল ৷ তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেই তারা আমাদের বসতে দিলো আমরা কিছুক্ষন বসে থাকার পর আমার যে কাজ গুলি রয়েছি সেগুলি ভালোভাবে বুঝিয়ে নিলাম ৷ কারন সময় মত এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে হবে ৷ মুখে ভাত দেওয়ার সময় ছিল ১২ টার আগেই ৷ আমি আর দেরী না করে ঠিক১০ টার সময় পায়েশ রান্না করা শুরু করে দিলাম ৷
পায়েশ রান্না করতে করতে ১১.৩০ বেজে গিয়েছিল ৷
পায়েশ টি রান্না করতে একটু সময় লেগেছিল ৷ কমপক্ষে ৪০ মিনিট এর মত জ্বাল দিতে হয়েছিল ৷ তারপর আমরা মন্দিরে পুজা দিতে থাকি ৷ পুজা শেষে আমি মন্দিরের সামনে আমার ভাগ্নেকে বসিয়ে আমার ভাগ্নের মুখে ভাত দেওয়ার পর্ব শুরু করে দিলাম ৷আমার জীবনে এই প্রথম আমি একটি ভাগ্নি পেয়েছি ৷ আর ভাগ্নির মুখে ভাত দেওয়া এটাও আমার জীবনের প্রথম সূচনা ৷ এই ধরনের মূহর্ত গুলো আসলেই অনেক আনন্দময় ৷
আমরা মন্দিরের সামনে যাবতীয় প্রসাদ দিয়েছি ৷ কারন আমাদের যে কোন পূজার অনুষ্ঠানে আমরা মন্দিরে প্রসাদ দিয়ে থাকি ৷ প্রসাদ বলতে যেমন আপেল , কলা ' দুধ ঘি , চিড়া ,এক কথায় বলতে গেলে যে কোন ধরনের ফলমূল , মিষ্টান্ন , দুধ , ঘি কূফুর , ময়দার লুচি এই ধরনের জিনিস গুলোকে আমরা প্রসাদ হিসেবে মন্দিরের সামনে দিয়ে থাকি ৷ এটা আমাদের সনাতন ধর্মের রীতি নীতি ৷ এভাবেই আমরা আমাদের যে কোন ধরনের পূজা অনুষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন করে থাকি ৷ আর এই অনুষ্ঠানটি ছিল মুখে ভাতের অনুষ্ঠান যাকে সাধারনত আমরা অন্নপ্রাশন বলে থাকি ৷ মুখে ভাত দেওয়া অথ্যাৎ মামার হাতে ভাত দেওয়ার নামই শুভ অন্নপ্রাশন ৷ এটা সাধারনত একটি শুভ দিন দেখেই এই অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়ে থাকে ৷ আর এই দিনই একটি নামকরন করা হয়ে থাকে ৷ পাঁচটি প্রদিপ জ্বালিয়ে প্রদিপগুলোর নিচে পাঁচটি নাম দেওয়া থাকে ৷ যেই প্রদিপ টি সবার শেষে নিভে যাবে সেই প্রদিপ এর নাম টি গ্রহন করা হবে ৷
তারপর আমি আমার ভাগ্নের মুখে ভাত খাইয়ে দিয়ে ৷ তাকে একটি সোনার রিং উপহার দেই ৷ তারপরে আমি আমার ভাগ্নিকে ধান দূর্বা দিয়ে আর্শীবাদ করি যে সে যেন অনেক বড় হয় ভালো ভাবে চলাফেরা করে এবং কি মানুষের সাথে ভালোভাবে চলা ফেরা করে ৷ মানুষের বিপদে আপদে যেন তাদেরকে সাহয্য করে ৷ আমার পর্ব এখানেই শেষ ছিল ৷
তারপর পরিবারের সবাই একের পর এক ভাগ্নিকে মুখে ভাত দিয়ে তাকে আর্শীবাদ করেছিল ৷ পরিবারের সব সদস্য ভাগ্নিকে মুখে দেওয়া শেষে আমারা আমাদের আনুষ্ঠানিক কর্মকান্ড এখানেই সমাপ্তি করে দেই ৷ তারপর আমরা পরের দিন খাওয়া দাওয়া অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা আমাদের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করে দেই ৷ এই ছিল আমার ভাগ্নির শুভ অন্নপ্রাশন ৷ আপনারাও সবাই আর্শীবাদ করবেন আমার ভাগ্নির জন্য ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
আশোলে ভাইয়া আমার কোন বোন নাই তবে আপনার পোস্টটি পড়ে বোনের কি কদর এবং ভাগিনার কি কদর সেটি বুঝতে পারলাম অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই .. আমার পোষ্ট টি পড়ে আপানার মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ৷ ভালো থাকবেন ভাই ৷
বাহ, আপনি তো দেখছি ভালোই পায়েশ রান্না করতে পারেন। এরকম ছেলে হওয়ায় দরকার, যে রান্নাতেও পটু থাকবে। আসলেই পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন
হুম ভাই পায়েস থেকে শুরু করে ভাত রান্নাও পারি ৷ কিন্তু সবজী রান্না করতে পারি না ৷ আমার পোষ্ট টি মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ৷