"কলকে" ফুলের ফটোগ্রাফি
Hello Everyone"
আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন ৷ আমি ও ইশ্বরের কৃপায় ভালো আছি ৷ প্রতিদিনের মত আজকেও চলে আসলাম ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে ৷ জানি না কেমন হয়েছে আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে ৷ তাহলে চল শুরু করা আজকের মাইক ফুলের ফটোগ্রাফি ৷
বৃষ্টি ভেজা কলকে ফুল আজকে ভোরে বৃষ্টি প্রচুর হওয়ায় সকাল বেলা দেশি অনেক কলকে ফুল গুলো ঝড়ে পড়ে আছে ৷ তারপর গাছের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ফুল গুলো ভিজে আছে এবং অনেক সুন্দর লাগতেছে বৃষ্টি ভেজায় এই কলকে ফুল গুলো ৷ আমি আর দেরী না করে কয়েকটি ছবি তুলে নেই এই কলকে ফুলের ৷
এই কলকে ফুলের গাছ কচি সবুজ পাতায় চারদিকে ছড়িয়ে গেছে শাখা প্রশাখা ৷ এই গাছটি বেশ বড় হয়ে থাকে ৷ অনেক সময় গাছে চড়ে এই ফুল পারতে হয় তারপর এই ফুলের কয়েক ধরনের রঙের হয়ে থাকে হলুদ সাদা গেরুয়া এই তিন রঙের হয়ে থাকে ৷
রোদ্রজ্জৌল আবহাওয়া কলকে ফুলের সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুনে ৷ এমন এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সৃষ্টি করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ৷ সাধারনত গ্রীস্মকাল এলেই এই কলকে ফুলের গাছে হলুদ ফুলের সমরাহো দেখা যায় ৷ এই গাছের সবুজ পাতা গুলো এমন ভাবে সাজানো থাকে অনেক সুন্দর সৌন্দর্য বিরাজমান করে থাকে ৷
সাধারনত বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এই কলকে ফুল দেখা যায় ৷ আর সাধারনত সনাতন ধর্মের মানুষজন এই ফুল দিয়ে পূজাও করে থাকেন ৷ বর্ষাকালে তেমন কোন ফুল পাওয়া যায় না গাছে সব ফুল ঝড়ে পড়ে যায় ৷ তার জন্য এই কলকে ফুল এই সময়ে প্রচুর ভাবে ফোটতে থাকে ৷
কলকের ফুলের গাছের উচ্চতা প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফিট এর মত লম্বা হয়ে থাকে ৷ আবার অনেক গাছ আরো বড় হয়ে থাকে ৷ সাধারনত এই কলকে গাছে সারাবছর ফুল ফোটতে দেখা গেলেও গ্রীস্মকালে আর বর্ষাকালে বেশি হারে ফুল ফোটতে দেখা যায় ৷ এই গাছে পর্যাপ্ত পরিমানে আঠা রয়েছে ৷ যা শরীরের বা হাতে লাগলে অনেক সময় হাতের স্কিনের সমস্যা হয়ে থাকে ৷
কলকে ফুল হলুদ, সাদা এবং কমলা বা গেরুয়া - এই তিনটি রঙের হয়ে থাকে। ফুলে প্রচুর মধু থাকে, তাই সারাদিন গাছের আশেপাশে থাকে মৌমাছির আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায় ৷ শুধু মৌমাছি না ভোমরা তারপর আরো যতগুলো মধু সংগ্রহ করা পোকা রয়েছে সব এই ফুল গুলোর আশে পাশে আনাগোনা করতে থাকে ৷
সাধারনত আমরা জানি কলকে গাছ ভেজষ গুনসম্পন্ন ৷ এই কলেক গাছের ফুল ও ফল ও বাকল ওষুধ হিসাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ৷ এই গাছের ফল গুলো জোড়ায় জোড়ায় ফল ধরে থাকে ৷ এই কলকে ফল গুলো দেখতে অনেকটা ডিমের মত লাগে ৷ আর সাধারনত এই ফলের ভিতরে দুইটি বীজ থাকে ৷ আর বিশেষ করে আমরা জানি এই বীজ থেকেই বংশবিস্তার হয়ে থাকে ৷ আর সাধারনত এই বীজ গুলো অনেক নাকি বিষাক্ত হয়ে থাকে ৷
সাধারনত এই কলকে গাছের উপকারী অংশ হিসেবে জানি ছাল,পাতা ও বীজ। ছালে কার্ডিওএকটিভ,গ্লাইকোসাইড থাকে। পাতা ও বীজে গ্লাইকোসাইড রয়েছে। আর সাধারনত বাত ব্যাথা ও পা ফুলে যাওয়া রোগের জন্য এই কলকে ফলের বীজ গুলো বেটে সেই ব্যাথা যুক্ত জায়গায় মালিশ করে দিতে হবে তাহলেই অনেক উপকার পাওয়া যাবে ৷
আমাদের পরিবেশে নানা ধরনের বিষাক্ত পোকা থাকে যেনন মৌমাছি বা ভীমরুল তারপর নানা ধরনের পিঁপড়া এই ধরনের পোঁকা যদি কামড়ে থাকে তাহলে কিন্তু অনেক ব্যাথা করে থাকে ৷ তার জন্য যদি এই কলকে গাছের ফলের বীজ গুলো বেটে সেই রস টা লাগিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সাথে সাথে ব্যাথা কমে যাবে ৷
আজকে আর লিখছি না আজকে এই পর্যন্তই রইলো দেখা হলে আগামীতে কোন এক টপিক এর পোস্ট নিয়ে ৷ সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি ৷ ভালো থাকবেন সবাই ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
বৃষ্টিস্নাত কলকে ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো দারুন হয়েছে ভাই। বরাবর আপনার ফটোগ্রাফির আমি অনেক প্রসংশা করি। তাই আজ নতুন করে আর করলাম না। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর ভাবে আপনার মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য ...
সত্য বলতে আমি এই ফুলটি আগে কখনো দেখিনি এবং নামটাও জানতাম না আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো এবং বৃষ্টি ভেজা ফুল গুলোর ফটোগ্রাফি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধারণ করেছেন সেগুলো আমাদের সামনে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে আপনার পোস্ট টা পড়ে কলকি ফুল সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমি কখনও কলকি ফুল দেখিনি আজকে কলকি ফুল দেখে খুব ভালো লাগল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে কলকি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে দেখানোর জন্য। ভালো থাকবেন
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর ভাবে আপনার মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য