দোল পূর্ণিমা যাত্রা মেলায় ঘুরাঘুরি
দিনটি ছিল বুধবার২৩ ফাল্গুন এই তারিখে দোল পূর্ণিমা যাত্রা মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমরা তিনজন বন্ধু মিলে রেডি হয়ে যাই ৷ এবং রওনা দিয়ে দেই মেলার উদ্দেশ্য ৷ যদিও এই বছরের আমার প্রথম এই মেলায় যাওয়া অনেক আগ্রহী লাগতেছে নিজেকে অনেক দিন পর একটু মেলায় ঘুরে আসি ৷ যেহেতু আমাদের বাড়ি থেকে মটরসাইকেল করে গেলে সর্বচ্চো ২ মিনিট সময় লাগে ৷ তো আমরা আর দেরি না করে মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম ৷
তারপর গিয়ে দেখি অনেক গুলো ঠাকুরের মূর্তি চলে এসেছে ৷ আপনারা যে দেখতেছেন চারজন মিলে বাঁশে করে একটি দোলনায় কাপর দিয়ে মোড়ানো সেটা তে একটি ঠাকুরের মূর্তি রয়েছে ৷ সেই মূর্তি গুলো কে মন্দিরের সামনে নাচানাচি করতেছে ৷ এটা আমাদের সনাতম ধর্মের একটি পূজা ৷ যা আমাদের পূর্বপূরুষ তারাই এই পূজার প্রচলন করে আসতেছে ৷ ওদের রীতি নীতি নিয়ম অনুসারে প্রতি বছরে এই দোল পূর্ণিমা যাত্রা আমরা উৎযাপন করে থাকি ৷
প্রতি বছরের শেষে এই পুজা আমরা পালন করে থাকি ৷
এই মন্দিরের আশে পাশের গ্রামের পনেরো টি গ্রাম মিলে এই পূজাতে অংশ গ্রহন করে থাকে ৷ তারা নিজ নিজ গ্রাম থেকে তারা ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে আসে এই মন্দিরে নাচা নাচি করে থাকে ৷ এটাই আমাদের একটি সনাতম ধর্মের পূজা ৷ সাধারনত এই পূজাতে আমরা অনেক আনন্দ করে থাকি সবাই মিলে ৷ তবে পূজাটি এক দিনই হয়ে থাকে ৷ বিকেল টাইমে এই পূজাটি জমজমাট লাগে ৷ এবং অনেক মানুষ আসে এই পূজাটি দেখার জন্য ৷ আর প্রতি বছরে ১০ থেকে ১৫ টি ঠাকুর একসাথে এসে একই সাথে নাচানাচি করে থাকে ৷ আর এটা দেখার জন্য অনেক মানুষের ভিড় জমতে থাকে ৷ যদিও এটা গ্রামের মেলা তবুও অনেক মানুষ আসে দেখার জন্য ৷ এই মেলায় মন্দিরের একজন দায়িত্ব ভার থাকে ৷ তাকে আমরা গ্রামের ভাষায় মাড়েয়া বলে থাকি ৷ যিনি কিনা এই মন্দিরের পূজা দিয়ে থাকেন ৷ আর এই পূজা শেষে সব ঠাকুরের মূর্তি সহ মাড়েয়ার বাড়ি চলে যায় সেখানে কিছুক্ষন নাচা নাচির করার পর তারা মাড়েয়ার বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে তারা নিজ নিজ বাড়ি চলে যায় ৷ এটাই হচ্চে মূলত আমাদের সনাতন ধর্মের পূজা ৷
চারদিকে মানুষ ঘিড়ে ধরেছে সেই কাপর মোড়ানোর নাচানাচি দেখতে ৷ তবে যখন নাচানাচি করে এক সাথে সব মূর্তিগুলো অনেক সুন্দর লাগে দেখতে ৷ এই মেলাতে মা বোন ভাই সবাই আসতেছে দেখার জন্য ৷গ্রামে এত সুন্দর একটি মেলা কে না উপভোগ করতে যায় বলেন ৷ তাই সবাই আনন্দ উপভোগ করার জন্য সেজেগুজে আসতেছে ৷ আর বিশেষ করে মেলাতে অনেক কিছু আছে নেওয়ার মত ছোট বাচ্চাদের খেলনার জিনস ৷ নানা ধরনের হরেকমাল নিত্য প্রয়জনীয় জিনস ৷ যদি ও গ্রামের মেলা তেমন বড় ধরনের কোন দোকান পাট বসে নাই ৷
এটি একটি বরই এর দোকান ৷ তিনি এই মেলাতে অংশগ্রহন করেছেন বরই এর দোকান ধরে ৷ বরই গুলো দেখতে টাটকা অনেক স্বাদ ও রয়েছে ৷ অনেক মানুষ এবং ছোট ছোট বাচ্চা গুলো এই বরই দোকান থেকে বরই কিনতেছে ৷ তিনিও বেশ খুশি তারা বরই বিক্রি হচ্চে ৷ কারন সে তার বরই বিক্রি করেই তার সংসার চালিয়ে থাকেন ৷ অবশেষে বলতে চাই মেলার উপস্থিত সব মানুষ যেন সবসময় ভালো থাকে আর প্রতি বছর যেন তারা এই উৎসব পালন করতে পারে ৷
সবশেষে আমরা মেলাটি খুব ভালো ভাবে ঘুড়ে দেখলাম ৷ অনেক মানুষের সমাগম বেশ ভালোই লাগতেছে মেলাটি ৷ অবশেষে আমরা একটি পেয়ারার দোকান দেখতে পাই ৷ সবাই বলতেছে পেয়ারা খাবো ৷ আমরা একটি পেয়ারা দরদাম করে নিলাম ৷ তারপর সেটা কেটে দিল নান ধরনের তৈল মসলা দিয়ে ৷ তারপর আমরা খাওয়া শুরু করে দিলাম ৷ অনেক সুস্বাদু হয়েছে পেয়ারার মসলা মাখানো সালাত টি ৷
খাওয়া শেষে আমরা বাড়ির পথে রওনা দিয়ে দেই ৷ আজকের মেলা ঘুড়ার আনন্দ এখানেই শেষ করলাম ৷ সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
আসলে আমি ঠিক আপনাদের এ সকল বিষয়ের সাথে অতটা অবগত নই। কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনাদের এখানে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেশ ভালই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সবাই মিলে মেলায় ঘুরতে গিয়ে অনেক মজা করেছেন। যেটা আপনার ফটোগ্রাফি এবং পোস্ট করে বুঝতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
সত্যি বলতে এরকম মেলা আমার জিবনে এই প্রথম দেখলাম।আর আপনিও মেলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। জানতে পারলাম বুঝতে পারলাম।
সবাই মিলে মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহুর্ত টা সত্যিই অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। ভালো থাকবেন
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ আপনি যে আমার পোষ্ট টি পড়ে অনেক কিছুই বুঝেছেন সেটা তে আমি অনেক খুশি হয়েছি ৷ ভালো থাকবেন ভাই ৷