।। যার স্থান যেখানে, তাকে সেখান থেকেই ভালো লাগে।।
Assalamu Alikum
ছোট বেলায় পড়েছি আমরা, বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃ কোল। অর্থাৎ বনের জিনিস বনেই দেখতে ভালো লাগে আর শিশুকে তার মা এর কোলে। বাঘ, সিংহ, শিয়াল, বানর যাই হোক না কেন তাদেরকে দেখতে যতই সুন্দর লাগুক না কেন তাদেরকে বনেই সুন্দর দেখায় তাদেরকে বনেই মানায়। কিন্তু তাদেরকে যদি সেখান থেকে তুলে এনে জনবসতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে সেটা নিতান্তই হাস্য-রসাত্মক আর বোকামি ছাড়া কিছু এই হবে না।
বন্যের কাউকে আপনি যত এই নিজের কাছে রাখেন, যতই আদর করেন, যতই আপ্যায়ন করেন তারা যেমন আছে তারা সেমন এই থেকে যাবে। হতে পারে তারা কিছু সময় এর জন্য তাদের পুরনো কিছু ভুলে আপনার মন মতো হয়ে চলছে কিন্ত যা তার রক্তের মধ্যে আছে তা আপনি সারা বিশ্বের ভালোবাসা দিয়ে ও তা পরিবর্তন করতে পরবেন না আপনি। যা তার ভিতরে থাকে যা তার ব্যবহার বা যা তার স্বভাব সেটা সেই রকম এই থেকে যাবে। সেটা আজ হোক না হোক ১০ বছর পরে হলেও তা প্রকাশ পাবে এই।
ঠিক তেমনি আপনি যদি কোনো বন্য পাখিকে বন্দী করে স্বর্নের খাঁচা এর মধ্যে রাখেন না কেনো, সুযোগ পেলে সে অবশ্যই এই আপনার খাঁচা ছেড়ে পলাবে এই। আপনি দামি দামি খাবার খাওয়ালেও সেটার মায়া সে করবে না। কারন তারা কখনো খাওয়ার মাশা করে না, তারা করে নিজের স্বাধীনতার মায়া।
কেউ যখন কোনো পাশু বা পাখিকে নিয়ে আসে কোনো বন থেকে অর্থাৎ যে সকল পশু পাখি গৃহপালিত না, তখন তাদেরকে অতি যত্নে রাখার পরেও তাদের শরীর এর উপর অনেক প্রভাব পরে। তাদের পরিবেশ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সময় এই দেখা যায় তারা খাওয়া দাওয়া ছেরে দেয়, যার ফলে তাদের শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে হয়ে পরে।
এই ঘটনাটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গবেষণা এর ক্ষেত্রে। যখন কোনো বন্য পশু বা পাখিকে গবেষণার জন্য গবেষনাগার এ নিয়ে আসা হয় তখন তারা তাদের প্রকৃত পরিবেশ এর অভাবে প্রাণ হারায় বা শরীর এর অভ্যন্তরীণ অনেক পরিবর্তন ও লক্ষ করা যায়। যার ফলে গবেষকদের ও অনেক সময় বিপাকে পরতে হয়। তাই এই ধরনের গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষক এরা তাদের সাব্জেক্টকে গবেষণাগারে আনার আগে তাদের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেন।
তো যাই হোক আমি যেটা বলতে চাচ্ছিলাম যে বনের বানর বনেই থাকতে ভালোবাসে, কিন্তু তাকে জনবসতিতে আনলে ভালোর চেয়ে মন্দ এই বেশি হতে পারে। এতে যেমন একটি প্রাণী অতি কষ্টে থাকে ব প্রাণ হারায় ঠিক তেমনি প্রকৃতির উপরেও এক ধরনের খারাপ প্রভাব পরে। আবার ধর্মীয় দিক থেকে দেখলেও তা মোটেই সন্তোষজনক হবে না সমাজ বা সৃষ্টি কর্তার প্রতি।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকে আমার আলোচ্য বিষয়। আমি আসা করি আপনাদের পড়ে ভালো লেগেছে। আমার পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আর না আবার আসবো আপনাদের মাঝে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনার পোস্টের মধ্যে অনেক কিছু শেখার আছে।।। আমরা পশু পাখিদের যত যত্নে রাখি না কেন সুযোগ পেলে তারা চলে যাবে কারণ যার স্থান যেখানে সে তো সেখানে যাবেই।।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।।
Thank you so much brother for reading my whole post and give a nice commentary.....
God bless you, take love .
Thank you brother, stay well always.
আসলেই ঠিক বলেছেন বনের পশুপাখি বনের মধ্যেই সুন্দর থাকে। কেননা বনের মধ্যে তাদের স্বাধীনতা থাকে। তারা যেখানে ইচ্ছে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে। কিন্তু মানুষ যখন তাদেরকে জনবসতির মধ্যে নিয়ে আসে। তখন তারা তাদের স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। অনেক সময় তারা মৃত্যুবরণ করে। এটাকে এক ধরনের পশু হত্যা বলা যেতে পারে।
আপনার পোস্ট পড়ে অবশ্যই সবার শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। এবং সবাই সচেতন হওয়া উচিত। কারণ যে যেখানে থাকতে ভালোবাসে তাকে সেখানেই রাখা উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, এত সুন্দর একটা টপিক আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
Thank you so much for sharing your valuable comment apu . God bless you .
একদম ঠিক বলেছেন যে যেখানে যার থাকা প্রয়োজন তার সেখানেই থাকা উচিত। একারণেই আমি কখনো পাখি পুষি নাই যদিও আমার পুষতে খুব ইচ্ছে করে।
এতো সুন্দর লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Thank you so much for sharing your valuable comment with me. Take care of yourself. God bless you....,