ভিক্ষুক
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ,
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভিক্ষুক নিয়ে কিছু আলোচনা করব।
ভিক্ষুকের সমাজের একটি সমস্যা যা বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। ভিক্ষুকত্ব কিংবা ভিক্ষার প্রথা মানবসমাজের অন্যতম অসম্মানজনক আচরণের একটি রূপ। ভিক্ষুক বলতে যার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় উচ্চ পর্যাপ্ত খাদ্য বা অন্যান্য প্রাথমিক সামগ্রী পান না । অনেক সময় তারা রাস্তায় দাঁড়ায় বা দোকানের সামনে থাকে এবং মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করে। তারা আশা করে যে মানুষরা তাদের অনুদান করবে এবং প্রাথমিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিবে।
ভিক্ষুকদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়। ক্ষমতাহীনতা, নিরাপত্তা অভাব, বেকারত্ব, দৈনন্দিন পরিবারের ব্যয়ের অতিরিক্ত সাপেক্ষে পরিবারের আর্থিক সমস্যার জন্য কোনো কাজের অভাব ইত্যাদি ভিক্ষুকদের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ করে।
ভিক্ষাটের সমস্যা কেবলমাত্র একটি ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, এটি সমাজের সমগ্র সমস্যা। তাই আমরা সমাজের প্রতিটি অংশের সহযোগিতার পরিকল্পনা করে ভিক্ষুকদের সাহায্য করতে পারি। একটি ভিক্ষুক সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে আমরা সমাজের ন্যায্যতা ও সমানতা নিশ্চিত করতে পারি এবং একটি সমগ্র ও উন্নত সমাজের প্রতিষ্ঠান করতে পারি যেখানে ভিক্ষুকদের জন্য অন্যতম সামরিক ও মানবিক অধিকার সংরক্ষণ থাকবে।
ভিক্ষুক ও সমাজ :-
ভিক্ষুক ও সমাজের দালালিতে অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক আছে। ভিক্ষুক হলে সমাজের পরমাণুতেই নিতান্ত দুর্বল ও অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। তার নিরাপত্তা, অধিকার এবং সম্মানের কথা মনে রাখতে সমাজের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ভিক্ষা গ্রহণ করা হলে মানুষের ক্ষমতার অবনতি ঘটে আসে, নিজের স্বাধীনতা হারিয়ে যায় এবং পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও সংকটপূর্ণ হয়ে যায়। ভিক্ষুক সমস্যা সমাধানে সমাজের একটি শিক্ষাগত, সামাজিক এবং আর্থিক পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
ভিক্ষা গ্রহণ করার পিছনে অনেকগুলো কারণ থাকে। দরিদ্রতা, বিপদ, নিরাপত্তা সংকট ও অকার্যকরতা সহ একাধিক কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। মানবতার উপকারের দৃষ্টিতে সমাজের সর্বোচ্চ দায়িত্ব হলো ভিক্ষুকদের সাহায্য করা। সরকার ও সমাজের পক্ষে ভিক্ষার ক্ষেত্রে নির্দেশ করা উচিত যে, ভিক্ষার্থীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাদের উদ্যোগের মাধ্যমে নিজেদের জীবনে পুনরুদ্ধার করার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষক প্রদান করা যেতে পারে।
ভিক্ষার্থীদের জন্য পরিচ্ছন্ন আবাসিক এলাকা, আদর্শ মানুষ তৈরির প্রশিক্ষণ, পার্থক্যমুক্ত স্কুল ও কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া উচিত। তাদের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন উন্নয়নে সক্ষম হতে হবে। সামাজিক পরিবেশে পুনর্মিলনের উপায় নিয়ে গবেষণামূলক প্রজেক্ট চালানো একটি আদর্শমূলক উদ্যোগ। এছাড়াও, ভিক্ষার প্রতিবন্ধী ব্যবসা পরিচালনার উপায় নির্দেশ করে অনুপ্রাণিত হতে হবে।
ভিক্ষুকদের জন্য উপযুক্ত নগর প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদানের সুযোগ উন্নয়ন করা উচিত। তাদের সমাজে একটি মানবিক স্থান ও আচরণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের অন্তত মৌলিক মানবিক অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা।
দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার :-
- সরকারের প্রণীত সমাজসেবা প্রকল্পের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের জন্য সুযোগ ও সুরক্ষা সৃষ্টি করা যেতে পারে।
- সরকারের নির্ধারিত সময়ে খাদ্য, আবাস, চিকিৎসা ও প্রাথমিক শিক্ষার মত বেসিক সেবা প্রদান করা উচিত।
- সামাজিক চেতনা বৃদ্ধির জন্য জনগণের উদ্যোগ প্রণোদনা করতে হবে।
- তাদের সাথে সাক্ষাৎকারে তাদের সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজে তাদের সাহায্য করা উচিত।
- সকলের পক্ষে ভিক্ষা প্রথা দূর করার জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের সদস্যদের বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম প্রচার করা উচিত।
- ভিক্ষুকদের সংকট ও দুর্বলতা থেকে উদ্ধার করার জন্য নির্দিষ্ট সময়কালে কাজ করা এবং ভিক্ষার প্রতিবন্ধী ব্যবসা সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সক্রিয় বিধিমালা গঠনের জন্য আইন প্রযোজন।
- সমাজের সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে ভিক্ষুকদের সমস্যার সমাধানে প্রতিষ্ঠিত পরিকল্পনা ও প্রকল্পের মাধ্যমে সমগ্র সমাজে ভিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো যাবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
ভিক্ষুক জাতি আমাদের সমাজে অবহেলিত একটি জাতি ৷ আমাদের দেশে অনেক মানুষ রয়েছে ভিক্ষুকদের দেখতেই পারে না ৷ আমাদের সমাজ এতটাই দুর্বল যে ভিক্ষুকদের আমরা সম্মান না পর্যন্ত করতে পারি না ৷ তারাও মানুষ তারাও ভিক্ষে করতে আসে না আসে তারা সাহায্য নিতে ৷ আমাদের উচিত তাদের পাশে দাড়ানো ৷ তারপর বলেছেন ভিক্ষুক মুক্ত দেশ কিভাবে গড়া যাবে ৷ সব ধরনের তথ্য সংক্রান্ত পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টি ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য, আপনিও ভালো থাকবেন।