রাজশাহীতে একদিন
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছি। প্রচন্ড জ্বর ও খুব সর্দি।এমনত অবস্থায়ও বন্ধুদের অনুরোধে যেতে হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ'তে ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য।
আমার অসুস্থতার কারণে আমি না করে দিয়েছিলাম যে, আমি যাবো না। কিন্তু পরদিন বন্ধু মশিউরের অনুরোধে যেতেই হলো। যাইহোক, আমরা সকাল সকাল বের হলাম, বাসের টিকিট কেটে বাসে উঠে পড়লাম, মোটামুটি সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় নামলাম।
রাস্তা পাড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে হাটা শুরু করলাম। হাটছি আর খুজছি যে আমাদের কাংখিত বিল্ডিংটা কোথায়। পরিচিত এক বন্ধুর সহযোগিতা নিলাম।
ওই বন্ধু মশিউরের পরিচিত, ওর নাম নিলয়, নিলয় রুয়েট এ পড়াশোনা করছে। নিলয়ের বাসা মশিউরের বাসার পাশেই। যাইহোক, নিলয় আমাদেরকে আমাদের কাংখিত বিল্ডিং মানে ফাইন্যাস বিল্ডিংটা দেখিয়ে দিলো। আমরা ভিতরে ঢুকলাম। ফাইন্যান্স বিভাগের অফিসে খোজ নিয়ে জানতে পারলাম আমাদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে সামনের মাসে মানে এপ্রিলে। ভালোভাবে খোঁজ খবর নিয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম।
সেখানে একটা জিনিস আমার নজর কাড়লো, দেখলাম ওই বিল্ডিং এর বান্দায় বিভিন্ন উদ্ভিদ খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে, যা ছিলো পুরোটাই মনোমুগ্ধকর। বিস্মিত হয়ে আমি কয়েকটি উদ্ভিদের ছবি তুলে রেখেছি আপনাদের সাথে ভাগ করবো বলে। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
ছবি তোলা শেষে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম, সকাল গড়িয়ে এখন দুপুর, ক্ষুদাও লেগেছে সবার। সবাই একটা হোটেলে বসে হালকা একটু খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম।
যেহেতু অনেকদিন পর রাজশাহী গিয়েছি তাই সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে একটু পা না রাখলে কি হয়! তাই আমরা বেড়িয়ে পড়লাম স্থানগুলো দেখার জন্য।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিরাট অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত। একদিনে এমন বিশাল জায়গা ঘুরে শেষ করা সম্ভব নয়। যতটুকু পারলাম ঘুরলাম, বিশেষ করে এই শিক্ষাঙ্গনের প্যারিস রোডটা সবার প্রিয়। যিনি দেখেছেন তিনিই শুধু এর সৌন্দর্য বুঝবেন। এসব জায়গা ঘুরে চলে গেলাম নিলয় বন্ধুর রুয়েট প্রাঙ্গণে।
রুয়েট প্রাঙ্গণে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে একটি টঙ দোকানে বসে চা খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম আরেকটা জায়গায় যাওয়ার জন্য। তারপর চলে গেলাম পদ্মারপাড়ে। সেখানে গিয়ে দেখলাম চারদিক একটু অন্ধকারাচ্ছন্ন। ধোয়াচে একটা পরিবেশ। সেখানে অনেকটা সময়ই কাটালাম। সবাই ছবি উঠালাম অনেকটা সময় ধরেই।
রাজশাহীতে পদ্মারপাড় একটি নামকরা জায়গা। অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে।
লোকমুখে শুনেছিলাম বিকাল ৫টার পর নাকি উত্তরবঙ্গের গাড়ি পাইতে একটু কষ্ট হয়। তাই আমরা পদ্মারপাড় ত্যাগ করে তাড়াতাড়ি চলে আসলাম বাসস্ট্যান্ডে। এখানে এসে টিকিট কেটে উঠে পড়লাম বাসে, বাসায় ফিরার জন্য।
যাইহোক, আগামী মাসে আবার রাজশাহী যেতে হবে, তখন বাকি জায়গাগুলো ঘুরবো, ইনশাআল্লাহ । নিলয় বন্ধুকে অনেক ধন্যবাদ, আমাদেরকে সুন্দরভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুক নিলয়।
আজ এপর্যন্তই, সবাই ভালো থাকবেন।
রাজশাহী শহর সত্যিই অনেক সুন্দর, বিশেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটা সবথেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
রাজশাহীতে প্রায় বেশিরভাগ বারান্দাতেই আপনি খেয়াল করলে রং বেরঙ এর গাছপালা সাজানো দেখতে পাবেন, জানিনা তারা গাছের প্রতি একটু বেশিই সংবেদনশীল কেনো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পোষ্ট আমাদের সবার সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ভর্তি সংক্রান্ত কাজে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছেন। এটা শুনে অনেক ভালো লাগছে।
আপনি অসুস্থ তাই আপনার সুস্থতা কামনা করি। আর সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমত ফাস্ট টাইম একটু সনস্যা সব কিছু খুজে নিতে ৷ তারপরও অপরের সাহায্য কিছু না নিবেন খুব সহজেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ৷ তার সাথে আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ৷ আর আপনার সুস্থতা কামনা করতেছি ৷
জ্বী ভাইয়া আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই
ভর্তি হওয়ার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছেন এবং সেখানে কি আপনারা বেশ ভালই ঘোরাফেরা করেছেন। সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
তার সাথে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটো যাতে পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য,ভালো থাকবেন।
আমার পোস্টটি বিবেচনা করে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
Curated by - @ripon0630
Thank you for your support.
এই অসুস্থতা নিয়েও রাজশাহীতে গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করেছেন, বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন
ভালো থাকবেন, আপনিও।।