To Let
[this picture edited by canva app]
উপরের টাইটেল দেখে হয়তো অনেকেই বুঝতে পেরেছেন আজ আমি কোন বিষয়ের উপর লিখছি।চলুন বিস্তারিত আলোচনা করি......
কয়েকদিন আগের একটি পোস্টে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, আমি মতিহার চত্বরে অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টে মাস্টার্সে একবছরের কোর্সে ভর্তি হয়েছি।আর কয়েকদিন বাদে ভাইভা তারপর অরিয়েন্টেশন তারপর ক্লাস শুরু।আমার বাসা থেকে আমার বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরত্ব প্রায় দেড় শত কিলোমিটারেরও বেশি।তাই প্রতিদিন বাসা থেকে সেখানে গিয়ে ক্লাস করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।সেজন্য সেখানে এই একটা বছর আবাসিক থাকার জন্য ভাড়া বাসা খুজতে গিয়েছিলাম, সাথে ছিলো মশিউর, তানভির, এবং মশিউরের এক বন্ধু নিলয়।
নিলয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ ইসিই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। যেহেতু নিলয় রাজশাহীতে প্রায় অনেকদিন ধরেই থাকে সেহেতু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা তার ভালোভাবেই চেনা জানা। আমাদের ভাড়া বাসা খুজতে সে আজ আমাদের প্রচন্ড সাহায্য করেছিলো।
একটি বিভাগীয় শহরেও যে ব্যাচেলর ছাত্রদের জন্য ভাড়া বাসা পাওয়া এতটা কঠিন, বিষয়টি আজ হারে হারে টের পেয়েছি৷ আমার মতো আপনারাও যারা এর ভুক্তভোগী তাদের কাছে বাসা ভাড়ার বিষয়টি খুব ভালোভাবেই বোধগম্য। জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায় তবুও বাসা মিলে না। অহরহ বাসাভাড়ার লিফলেট দেয়ালে দেয়ালে অথচ তাদের একপালা শর্তের কারণে তাদের কাছেই কাছানো সম্ভব হয় না, বাসা পছন্দ হলে ভাড়া চায় আমাদের নাগালের বাইরে। বাসাওয়ালাদের শর্তের ব্যাড়াজালে আমরা আজ আটকে গিয়েছি বহুবার।ভালো বাসা মিললেও সেখানে থাকে কয়েক ধরনের শর্ত,যেমনঃ ফ্যামিলি ছাড়া বাসা ভাড়া হবে না, ফিমেলদের বাসাভাড়া দেওয়া হবে, ব্যাচেলরদের বাসাভাড়া দেওয়া যাবে না আরও নানান কাহিনী।আজ বাসাভাড়া নিতে গিয়ে সারাদিন যতটা হেটেছি আমার মনে হয় আমার সারাজীবনের সবগুলো হাঁটা একসাথে যোগ করলে আজকের হাঁটার তুলনায় অতি নগন্য বলে বিবেচিত হবে।যাইহোক,সারাদিন প্রচুর পরিমাণে হাঁটার কারণে সারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখন খুব ব্যাথা অনুভব করছি।আমি বাদে বাকি তিনজনেরও একই অবস্থা,সবাই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
সারা শরীরে ব্যাথা তো আর এমনি এমনি অনুভব করছিনা।
একবার চিন্তা করুন, দুপুর প্রায় সাড়ে এগারোটার পর থেকে আমাদের হাটা শুরু হইছিলো, বিকাল সাড়ে পাঁচটার পর আমরা থেমেছিলাম। এর মধ্যে দুপুর ২টার পর দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য একটু বসেছিলাম, তাও মাত্র ১০-১৫ মিনিটের জন্য, খাওয়া শেষে আবার হাঁটা শুরু,মানে বাড়ি খোঁজা শুরু।
সারাদিনের কষ্টের ফল হিসেবে আমরা একটা বাসা পেয়েছি,সবকিছুই আমাদের চাহিদামতোই কিন্তু ভাড়াটা একটু বেশি,যাইহোক মানিয়ে নিতে হবে৷ কারণ,সেখানকার পরিবেশ আমাদের দেখা অন্যান্য বাসাগুলোর তুলনায় অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। তাই এই বাসাটা আমাদের তিনজনেরই মনে ধরেছে। শেষমেষ তিনজনই একমত যে, আমরা এই বাসাই ভাড়া নিবো, এই ডিশিসনে অটুট থেকে তিনজনই ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসে করে বাড়ি ফিরছি।নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া চাই। ধন্যবাদ।
লেখা টাইটেল এর সাথে পরিচিত অনেকেই,
আমি বুঝিনা ঢাকা শহরে কেন ব্যাচেলরদের ভাড়া দিতে চায় না । এমন তো না যে ব্যাচেলারা মাসের ভাড়া মাসে দেয় না। তবুও কেন রুম মাহজনেরা ব্যাচেলর ভাড়া দিতে চায় না। খুবই কষ্টকর ঢাকা শহরে ব্যাচেলার রুম খুঁজে পাওয়া। ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই to let আর্টিকেলটি দুর্দান্ত হয়েছে এইজন্য। ভালো থাকবেন।
সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া
আমি বেশ কয়েকবার ঢাকার শহরে গিয়েছি এবং বেশ কিছুদিন যাবত ঢাকার শহরে কাটিয়েছি আমি এই কথাটি ঢাকার শহরে অনেকবার শুনেছি ব্যাচেলরদের রুম ভাড়া দিতে চাই না আসলে এই জিনিসটা আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছিলো জানিনা তাদের কি সমস্যা তবুও আপনি যে পোস্টটি আজ তুলে ধরেছেন এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট।
ধন্যবাদ,আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
এদেশের প্রত্যেকটা শহরের চিত্রই প্রায় একই রকম৷