কবুতর সম্পর্কে কিছু কথা
src
কবুতর, সৌখিন মানুষদের কাছে কবুতর পালন খুব প্রিয় একটি বিষয়। পাখি জাতের প্রাণী কবুতর অন্যান্য পাখি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের। কারণ,কবুতর গৃহপালিত পাখি, প্রায় হাঁস মুরগির মতোই কিন্তু এর পালন পদ্ধতি একটু ভিন্ন।যাইহোক,আমি মনেকরি কবুতর তার গৃহপালিত স্বভাবের কারণেই সারা বিশ্বে এতো বেশি জনপ্রিয় সেই বহুযুগ আগ থেকে।সহজে পোষ মানা এই প্রাণীটির পালন পদ্ধতিও খুব সহজ হওয়ায় শখের বশে অনেক মানুষই কবুতর পুষতে পছন্দ করেন। এমনও মানুষ আছে যারা তাদের পুরো বাড়িটাই কবুতরের ফার্ম বানিয়ে ফেলে৷
src
আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে কবুতরের রেসিং টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।কবুতরের রেসিং টুর্নামেন্ট ব্যাপারটা শুধু তারাই বুঝবেন যারা কবুতর পালন করেন, আর যারা কবুতর পালন করেন না তাদের জন্য এই ব্যাপারটা বুঝতে একটু কষ্টসাধ্য হবে৷ যাইহোক, কবুতরের বেশ কয়েকটি জাত আছে, জাত ভেদে বিভিন্ন কবুতরের বৈশিষ্ট্যও বিভিন্ন রকম৷ স্বাদের কারণে কবুতরের মাংসও ভিষণ জনপ্রিয়। মাংস খেতে হলে অবশ্যই বাচ্চা কবুতর চুজ করতে হবে। কারণ, বাচ্চা কবুতরের মাংস খেতে নরম হয় আর বেশিদিন বয়স্ক কবুতরের মাংস প্রচুর শক্ত হয়।
আমার শোনা কথা, আগেকার দিনে নাকি চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে কবুতরকে ব্যবহার করা হতো। কি কারণে হতো তার সঠিক যুক্তি আমি এখনও খুজে পাইনি৷ কথিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও নাকি বার্তাবাহক হিসেবে কবুতর ব্যবহার হতো। হয়তো এর বুদ্ধিমত্তার কারণেই একপ্রকারের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
src
যেহুতু কবুতর নিয়ে লিখছি তাই এখানে আপনাদের সামনে কবুতর সম্পর্কে একটি ছোট্ট তথ্য উপস্থাপন করতে চাই, যেটা একান্তই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা। শুনুন তবে......
গত মার্চ মাসে বিকেলবেলা আমাদের ছাদে উঠে আমার কবুতরগুলোর মধ্যে একটি নতুন কবুতর লক্ষ্য করেছিলাম। যেটা আমার নয়, অন্য মানুষের। কবুতরটি ছিলো রেসার কবুতর৷ আমি লক্ষ্য করছিলাম কবুতরটি ভীষণ তৃষ্ণার্ত, আমি পানি দেওয়া মাত্রই ঢকঢক করে পানি পান করলো৷তারপর থেকেই কবুতরটি আমার বসায়ই ছিলো।দুই এক দিন পর লক্ষ্য করলাম কবুতরটির পায়ে ট্যাগ পড়ানো, এবং সেখানে ছিলো একটি মোবাইল নম্বর যেটা ছিলো কবুতরটি যিনি পোষেন তার৷
src
ওই নাম্বারে কল দিয়ে কবুতরটা সম্পর্কে অবগত করেছিলাম এবং কবুতরটি ওনার ঠিকানায় পৌছে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওনি বলেছিলেন যে, ওইটা আপনার বাসায় গেছে আপনার বাসায়ই থাকুক। সেই থেকেই কবুতরটা আমার বাসায়ই ছিলো কিন্তু দীর্ঘ আট মাস পর ওনি আবার আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করছেন যে তার কবুতরটা আমার বাসায় আছে কিনা, মানে তার কবুতরটা আবার তার ঠিকানায় চলে গেছে এজন্য সে আমাকে বিষয়টা অবগত করছেন৷ আমি ছাদে গিয়ে লক্ষ্য করলাম কবুতরটা সত্যি আমার বাসায় নাই, তখন আমি ব্যাপারটা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম।
কারণ, কবুতরটা আমার বাসায় আসা এবং থাকা প্রায় আট মাসের ব্যাপার স্যাপার, তবুও সে তার আগের ঠিকানা ভোলেনি।আরও শুনলে অবাক হবেন, সেই কবুতরের মালিকের বাসা থেকে আমার বাসা দুরত্ব প্রায় ৬০ কি.মি। একবার চিন্তা করুণ, ছোট্ট পাখি জাত এই প্রাণীটির কেমন বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা,কেমন তাদের স্মরণশক্তি। হয়তো এসব বুদ্ধিমত্তার কারণেই কবুতরকে যুগে যুগে বার্তাবাহক হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
আজ এপর্যন্তই।
কবুতর সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এটি একটি সৌখিন প্রাণী, যেটা মানুষ শখের বসেই পালন করে থাকে। মানুষের এই ভালোবাসাকে উপেক্ষা করে মাঝে মধ্যে কবুতর তার বাসা থেকে উধাও হয়ে যায়। আবার কিছুদিন পর ফিরে আসতেও দেখা যায়। এই প্রাণীটি অনেক বিচক্ষণ এবং বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।
শান্তির প্রতীক পায়রা বা কবুতর, আর সেই কবুতর নিয়ে অনেক তথ্যবহুল একটি পোস্ট পড়লাম, পাশাপাশি আপনার নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত আউন্দর পোস্ট উপহার দেবার জন্যে।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শুভকামনা থাকলো
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার পুরোনো স্মৃতি মনে হয়ে গেলো। আমার এখনো মনে আছে আমি শখের বাসে প্রথম ১ জোড়া কবুতর নিয়ে এসেছিলাম। আর সেটার থেকেই আমি কবুতর করে ছিলাম ১২ জোড়। আমি যখন কবুতর পালন করতাম তখন আমার বাসায়ও অনেক বাহিরের কবুতর আসতো এবং অনেক সময় থেকে যেত আবার অনেক সময় চলে যেত। কিন্তু মজার বিষয় হলো আমি আমার সকল কবুতর বিক্রি করেছি প্রায় ৩ বছরের বেশি হবে তবে এখনো প্রায় সময় আমার কবুতর গুলো আমার এখানে চলে আসে ১ টি ২ টি করে।
যাই হোক খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো, ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ভাই । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।
কবুতর একটি পোষা প্রাণী এই কবুতর অনেকেই শখের বসে লালন পালন করে থাকে ৷ তাছাড়াও এই কবুতর প্রানী বাজারজাতকরণ হিসেবও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
শান্তির প্রতীক নামে খ্যাত পায়রা।কোন শুভ কাজের উদ্বোধন করার সময় এই পায়রা উড়িয়ে দেয়ার হয়। আপনার পোস্টটিতে জানতে পারলাম ৭/৮পরও সে তার আগের চলে গেল।তার মানে কবুতরের স্মরন শক্তি অনেক। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
ওরে বাবা, কবুতর বা পায়রার স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে আমার জানা ছিলো না। ৮ মাস পরেও ও নিজের পুরনো মালিক কে মনে রেখেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই পোস্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গত পরশু একটা নিউজ দেখলাম একটা রেসার কবুতরের দাম ১৬ কোটি টাকা উঠেছিলো। আপনি যেম ন বলেছেন বাংলাদেশের বিভন্ন জাশগায় কবুতরের প্রতওযোগিতার আয়োজন হয়। মার খুব শখ এই কবুতর পালতে। কিন্তু জায়গায় ও সময়ের কারনে পেরে উঠতে পারছি না।
আপনি অনেক খোঁজ খবর রাখেন দেখছি, কবুতরের ব্যাপার স্যাপারগুলো এরকমই।
আমার খুবই করে কবুতর পালন করতে কিন্তু সময়ের অভাবে আর করা হয়ে ওঠে না। আমার কবুতর দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর আমি কখনও রেসিং কবুতর দেখি নাই।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও রেসিং দেখা যায়। আর এই কবুতর গুলোর অনেক দাম হয়ে থাকে। যাইহোক ভাই ভালো লাগল আপনার পোস্টটা পড়ে। আপনি কবুতর সম্পর্কে খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।
আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং আপনি ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনা করি।