পদ্মার বিলে একদিন
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি এই মুহুর্তে সবাই ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আমার নাম স্বাধীন, আমার স্টিমিট আইডি : @xhadhin।
আমি আমার এই পোস্টে আপনাদের সাথে খুব মজার একটা ঘটনা শেয়ার করতে চাই। আশা করছি ভালো লাগবে....! চলুন শুরু করা যাক.....
রাকিব, শাকিল এবং নয়ন। সৌভাগ্যক্রমে তিনজনই বাংলাদেশের প্রাচীন একটি জনপদ “পুণ্ড্র” এর আওতাধীন এবং পৌরাণিক নদী পূর্নভবার তীরে অবস্থিত দিনাজপুর শহরের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় “হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” এ স্নাতকে অধ্যায়নরত। তারা সবাই আলাদা আলাদা বিষয়ে পড়াশুনা করছে।
আমিও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলাম কিন্ত দুর্ভাগ্যবশতঃ আমি সেখানে সুযোগ পাইনি। পরে একই জনপদের অন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করছি।
যাইহোক এতক্ষণ যে তিনজনের কথা বললাম সেই তিনজনই আমার ছোটবেলার বন্ধু। স্থানীয় একটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার খাতিরে তাদের সাথে আমার পরিচয়। তখনও তাদের সাথে আমার বন্ধুত্ব পরিপক্ক হয়নি। বন্ধুত্ব পরিপক্ক হয়েছিল কলেজ জীবনে এসে।
কলেজে পড়াশোনা করার সময় নয়নের সাথে একই মেসে থেকেছি বহুদিন। সেই সুবাদে নয়নের সাথে আমার অন্যরকম একটা আন্তরিকতার সৃষ্টি হয়েছিল, যা এখন অব্দি চলমান।রাকিব,শাকিল,নয়ন তিনজনই ভীষণ আন্তরিক।
বন্ধুত্ব বলতে কি বোঝায় তার সঠিক সংঙ্গা হয়তোবা আমি তাদের থেকেই পেয়েছি। বন্ধুত্বের তালিকায় আরোও অনেকেই ছিল কিন্তু এদের অবস্থান সবার উপরে। কারণ, তাদের প্রতি কেনো যেন অন্তরের একটা টান কাজ করে, আমার মনে হয় আমার প্রতি তাদেরও এমনটাই হয়। যাইহোক মূল ঘটনায় আসি....
আমরা সবাই বাসায় কিছুদিনের জন্য ছুটি কাটাচ্ছিলাম। এরকম ছুটিতে আমিসহ আমার এই তিন বন্ধু প্রতিবছরই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই একসাথে। সেই সুবাদে গতবছরও ঘুরতে গিয়েছিলাম।
গতবছর বর্ষার মৌসুমে “পদ্মার বিল” নামক একটা স্থানের নাম আলোচনায় এসেছিল প্রায় সবার মুখে মুখে। এরকম একটা অনন্য স্থানের নাম শুনেই আমাদের কৌতুহল হলো জায়গাটি দেখার জন্য।
আমাদের শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মহিমাগঞ্জ নামক শহরের আওতাধীন একটি ছোট গ্রামে আকর্ষনীয় সেই জায়গাটির স্থান। সেখানে যাওয়ার মাধ্যম অটোরিকশা কিংবা সিএনজি।
একদিন বিকালে আমরা বাড়ি থেকে বের হলাম সেখানে যাওয়ার জন্য। সিএনজিতে উঠে পরলাম। প্রায় ৪৫ ক্ষণকাল পর স্টেশন নামক একটি স্থানে নামলাম। তারপর আবার একটি ভ্যান গাড়িতে চড়লাম কাংখিত সেই স্থানে পৌছানোর জন্য।
কিছুক্ষণের মধ্যে পৌছে গেলাম। মাঠ পেরিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর লক্ষ্য করলাম অপরূপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি,পদ্মার বিল।আমাদের মত আরও অনেকেই এসেছে সেখানে দেখার জন্য। অনেককে দেখলাম ছোট নৌকায় চড়ে বিলের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছে।
এগিয়ে গিয়ে আমরাও একটা নৌকা ভাড়া করলাম, ঘুরে ঘুরে উপভোগ করলাম সেই আলোচিত পদ্মার বিলের অপরূপ সৌন্দর্য।
আহা! কি অপরূপ সৃষ্টি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার। পদ্ম ফুলগুলো যেন পানির উপরে মাথা উঠিয়ে দাঁত বের করে হাসছে।
এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে যে কেউই মুগ্ধ হবেই হবে।
যেহেতু আমরা অনেক দূর থেকে সেখানে গিয়েছিলাম। তাই পশ্চিম আকাশের সূর্য রক্তিম বর্ণ ধারণ করার আগেই নৌকা থেকে নেমে উঠে পড়লাম ভ্যানে এবং স্টেশন নামক স্থানে পৌছালাম।
ও আর একটা কথাতো বলাই হয়নি এই স্টেশন নামক স্থানও কিন্তু একটি দর্শনীয় স্থান। এখানেও অনেকেই সুন্দর মহূর্ত উপভোগ করার জন্য আসে। যাইহোক, আমরা ভ্যান গাড়ি থেকে নেমে স্টেশনের আশপাশে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম এবং সন্ধ্যার আগ মহূর্তে রওনা দিলাম বাসায় ফিরার জন্য।
সিএনজি থেকে নামলাম চারমাথা নামক একটি স্থানে। তারপর একটি রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে হালকা নাস্তা করে যার যার বাসায় ফিরলাম।
আপনি যেভাবে জায়গাটার বর্ণনা করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটা আসলেই অসম্ভব সুন্দর।আপনি ঠিকই বলেছেন পদ্ম ফুলগুলো যেন, তাদের নিজের মনের ভাষা পানির উপরে ঢোল খেতে খেতে প্রকাশ করছে।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তার সাথে আপনি জায়গাটার অসম্ভব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আপনার মতামতের জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাই আপনার পোষ্টে পদ্ম ফুল দেখে আমার মনে এই পদ্ম ফুল দেখার জন্য অনেক মনের মাঝে কৌতুহল জেগেছে ৷ কারন আমি অনেক বছর ধরে এই পদ্ম ফুল দেখি না ৷ আপনি নৌকায় করে পদ্ম ফুলের দৃশ্য উপভোগ করেছেন এই বিষয় টা আমার অনেক সুন্দর লেগেছে ৷ ধন্যবাদ ভাই এই ধরনের পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ৷
আমার এই পোস্টে এমন সুন্দর একটা মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাইয়া। সময় পেলে আপনিও চলে যাবেন গ্রামের কোনো এক দর্শনীয় স্থানে উপভোগ করে আসবেন সেখাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
পদ্ধার বিলে পদ্ধ্য ফুলের সমারোহ। ফটোগ্রাফিতে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। বন্ধুদের সাথে সুন্দর সময় কাটানো, ছুটি কাটিয়ে সব মুহুর্ত উপভোগ করলেন। ডারপর আমাদের সাথেও সেগুলো ভাগ করে নিলেন। ভালো থাকবেন।
জ্বী ভাইয়া, আল্লাহ তায়ালা আপনাকেও ভালো রাখুন। আমীন