শিক্ষা গুরুর মর্যাদা
শ্রদ্ধেয় কবি কাজী কাদের নওয়াজের লেখা কবিতা
শিক্ষা গুরুর মর্যাদা
src
উপরে উল্লিখিত কবিতাটি পঞ্চম শ্রেণিতে খুবভাবে অধ্যায়ন করেছিলাম।কিন্তু তার প্রতিফলন যে বর্তমানে এসে দেখতে পাবো, এবিষয়টাতে আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি৷ এ কবিতার মূলভাব , একজন শিক্ষকের ছাত্র ছিলো একজন রাজার ছেলে। তো একদিন ঐ শিক্ষক উক্ত ছাত্র দ্বারা ওযুর পানি ঢেলে নিচ্ছিলেন আর এই অবস্থায় রাজা মশাই পুরো ব্যাপারটা দেখে ফেলে, রাজা দেখলো তার ছেলে বৃদ্ধ শিক্ষকের পায়ে পানি ঢালছেন আর বৃদ্ধ শিক্ষক নিজ হাতে কচলিয়ে কচলিয়ে তার শরীর পরিস্কার করছেন।
এরুপ দেখার পর রাজার হকুমে বৃদ্ধ শিক্ষককে তার রাজ দরবারে ডাকা হলো। শিক্ষক তো রীতিমতো প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো, তিনি মনে মনে ভাবলেন রাজার ছেলের দ্বারা পানি ঢেলে নেওয়ার জন্য নাজানি তাকে কি শাস্তি পেতে হয়। তিনি ভয়ে ভয়ে রাজ দরবারে এসে হাজির হলেন। এখানে এসে দেখলেন ব্যাপারটা একদমই উল্টো। রাজা মশাই বৃদ্ধ শিক্ষককে বললেন "আমার ছেলেকে কেমন শিক্ষা দিয়েছেন যে, সে আপনার হাত-পা না কচলিয়ে দিয়ে শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে পানি ঢালছিলো, এ ক্যামন আদব তার"..?
একবার চিন্তা করুন, এরূপ ঘটনা যদি বর্তমানে কোনো ছাত্রের সাথে ঘটতো তাহলে কি হতো ঐ শিক্ষকের সাথে...!
এইতো গতকাল ফেসবুক স্ক্রোলিং করছিলাম, একটা ভিডিওতে দেখলাম, কোনো এক কারণে একজন শিক্ষক নাকি তার একজন ছাত্রকে শাসন করেছিলেন আর এ কারণেই সেই শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ কলেজে গিয়ে সেই শিক্ষকে চরমভাবে পিটিয়েছে৷ এটাই কি শিক্ষা গুরুর মর্যাদা....?
src
এই যে উন্নত পৃথিবীতে এত এত আবিষ্কার, এগুলোতো কোনো না কোনো শিক্ষকের শিক্ষার প্রতিফলন। একজন শিক্ষকইতো আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দেয়৷তার সাথে এমন আচরন মোটেও কাম্য, এভাবে চলতে থাকলে এজাতির ধ্বংস অনিবার্য।
src
আমরাওতো একসময় ছাত্র ছিলাম, এবং এখনও আছি৷ বয়স আমার ২৫ ছুই ছুই, এখনও কোনো শিক্ষকের সাথে দেখা হলে নিম্নস্বরে সালাম প্রদান করি, কারণ এসময় ভয়ে আওয়াজ জোড়ে হয় না৷ যারা আমার শিক্ষক তারা বিষয়টা খুব ভালোভাবেই জানেন।আগের দিনে ক্লাসে শিক্ষক দ্বারা পিটুনি খেলে বাসায় এসে বলারই সাহস পেতাম না। যদিও বা বলতাম , বাবা-মা উল্টো আমাকেও শাসন করতো।
কিন্তু বর্তমান সমাজের শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে কি এমন ঘটলো যার কারণে তারা সহনশীলতা হারিয়ে ফেলছে, জাতির শিক্ষাগুরুকে লাঞ্চিত, অপমানিত করছে..?
পৃথিবীতে শিক্ষকরাই একমাত্র জাতি যারা নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে অন্যের স্বপ্নকে লালন করে। তাই ওনাদের সম্মানিত অবস্থানে রাখতে হবে৷ সন্তানকে মানুষ করতে হল সহনশীল হতে হবে প্রত্যেকটা অভিভাবককে।
আজ এপর্যন্তই। সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
শিক্ষকের মর্যাদা অসীম।আমরা দু অক্ষর লিখার শক্তি তাঁর কাছ থেকেও পেয়েছি। আমাদের সবার ই শিক্ষকদের প্রতি শ্রাদ্ধাশীল হওয়া উচিত। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শিক্ষকের মর্যাদা হলো অসীম। আমর যেটুকু শিক্ষা পাই প্রথমে মা বাবার কাজ থেকে তারপরে শিক্ষকের কাছ থেকেই পাই।বেশি গুরুত্ব দেয় শিক্ষককে ঘর থেকে যতটুকু শিখে না কেন বেশিরভাগ শিক্ষকের কাছ থেকেই শিখে।দুই অক্ষরে লেখার শক্তি তার কাছ থেকেই শিখেছি।
আপনার পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনার আজকের পোস্ট পড়ে আমার একটা ছোট ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমরা যে স্কুলে পড়াশোনা করেছিলাম সে স্কুলে একজন শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করেছিল। আর সেই ছাত্র একদিন শিক্ষককে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল তাহলে শিক্ষা গরুর মর্যাদা আজ কোথায়।
এই কবিতাটা আমিও পড়েছিলাম কিন্তু এর গভীরতা যে এত বড় ছিল সেটা আমিও জানতাম না খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি।
আমাদের বাবা-মায়ের পরে যদি কেউ মজাদার স্থান পেয়ে থাকে। সেটা হচ্ছে একজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষিকা। আজকে আপনি আমাদের সাথে দুইটা বিষয় আলোচনা করেছেন। একটা হচ্ছে একজন রাজা এবং একজন শিক্ষকের ঘটনা। আরেকটা হচ্ছে আপনি যখন ফেসবুকে স্ক্রল ডাউন করছিলেন। তখন আপনি একটা ভিডিও দেখেছিলেন সেই বিষয়টা।
আসলে সত্যি কথা বলতে,, বর্তমান সময়ে শিক্ষকের মূল্য বা মর্যাদা কেউ দেয় না। বর্তমান সময়ে যদি একটা ছাত্রকে শিক্ষক শাসন করে। তাহলে ওই ছাত্রের অভিভাবক এসে শিক্ষকের মান-সম্মান নিয়ে কথা তোলে। এই সময় একজন শিক্ষক মনে খুবই কষ্ট পায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,, এই বিষয়গুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন। অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদের শিক্ষকদেরকে মান সম্মান দিয়ে কথা বলা। যারা আমাদেরকে শিক্ষার আলো দেখিয়েছেন।