কেমন হবে বলুনতো.....?
বর্তমান সময়ে মাদক এবং জুয়া প্রতিটি পরিবারের জন্য ভয়ানক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। যেই সমস্যার সমাধান মিলানো বেশ কঠিন, অনেকটা Try and error এর মতো।
একটা সময় ছিলো যে সময়ে বাংলার প্রতিটি এলাকার ৩০ ভাগ যুবক মাদক সেবি ছিলো। প্রশাসনের দক্ষ ভূমিকায় তা এখন কিছুটা কমিয়ে আনা গেলেও গত কোভিড পরবর্তী সময়ে দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে জুয়ার। যা কন্ট্রোল করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
আমি আমার এলাকার কথাই বলি,
আমি যাদের সাথে ছোট থেকে বড় হয়েছি, লেখাপড়া করেছি, তাদের বেশিরভাগই এখন জুয়ায় আসক্ত। তারা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, তাদের এখন আর নীতি কথা বলেও ফিরানো সম্ভব নয়। তারা আর কোনো কিছুকে তোয়াক্কা করে না৷ বাবা-মা'র শাসনকেও তারা আর মান্য করে না৷ মাদকের উপর প্রশাসনের দক্ষ ভূমিকা থাকলেও জুয়ার উপর কোনো ভূমিকা আমি আজও দেখতে পাইনি।
আমরা যাদেরকে আমাদের আইডল ভাবি তারাও আজকাল জোড়ালোভাবে জুয়ার প্রচারণায় ব্যস্ত৷ শুধু তাই নয় ফেসবুক বলেন আর ইউটিউব বলেন, সব জায়গায় জুয়া মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে, প্রতিনিয়ত। অনেকেই লোভের বর্শবর্তি হয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে এতে। এই নেশা মাদকের চেয়েও ভয়ানক। আর এর পরিনতি প্রচন্ড ভয়াবহ৷ জুয়ায় জড়িয়ে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে আজ পথে বসেছে।
আমাদের এলাকার কিছু বড় ব্যবসায়ী জুয়ায় জড়িয়ে পরবর্তীতে তাদের বসত বাড়ি বিক্রি করে এর মাশুল দিতে হয়েছে। যা আমি সচক্ষে দেখেছি। তারা যত সম্পদ নষ্ট করেছে এজীবনে, তা তাদের পরবর্তী দুই প্রজন্ম গড়তে অক্ষম। আমরা আর কবে শুধরাবো....? নিজের ভালো বোঝার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে৷
জুয়ার বিষয়ে শক্ত পোক্ত আইন থাকলেও ঘটছে না আইনের সঠিক প্রয়োগ। যার কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর প্রচারণা। অন্যান্য আইনেই মতোই জুয়া বিষয়ক আইনও অধিক সোচ্চার হওয়া উচিত। তাহলেই কেউ এই অন্ধকার জগতে প্রবেশ করার সাহস পাবে না।
আমাদের দেশের রাষ্ট্র শাসকও মূখ্য ভূমিকা রাখছে এসব বন্ধ করতে। কিন্তু তারা যদি আরেকটু সজাগ হয়ে এগুলো একেবারে বন্ধ করার নির্দেশ দিতেন তাহলে হয়তো এগুলো সহজেই নির্মুল হতো। কারণ, তারাই তো এদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব পালন করেন।
কিছু বছর আগে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দিয়েছিলেন আমাদের সরকার। কিছু দিন এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও টিকেনি খুব বেশিদিন। তবে আমি আশাবাদী আবারো সরকার নিজে উদ্যোগ নিয়ে মাদক এবং জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দিবেন। এই একটা মাধ্যমেই হয়তো যুবসমাজকে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরানো সম্ভব হবে। যদি বেঁচে থাকি তবে দিনটি দেখার অপেক্ষায় রইলাম..................।
আমি আমার শশুড়ের গ্রামের বাড়ির এলাকাতে একটা জিনিস খেয়াল করেছি, এখানে মাদকাসক্তির পরিমান অনেক বেশি।
আরও কয়েকজন এর মুখে তাদের গ্রামের কথা শুনেছি একই ধরনের কথা।
আমার শশুড় বাড়ির এলাকাতে এরা প্রচন্ডরকম সংঘবদ্ধ। কেউ কিছু তেমন একটা বলতেও পারে না।
আমার কাছে যা ভয়াবহ মনে হয়েছে।পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে শহরের চেয়ে গ্রামগুলি বেশি পরিমানে ঝুঁকির মুখে আছে।
এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
কয়েকদিন আগে এক মাদকসেবিকে বল্লাম বহুততো কাহিনি করলা এখন একটু ভালো হও। বিপরীতে আমাকে বলল তাতে তোমার কি৷৷ তোমার কাজ তুমি করো৷
বর্তমান সমাজের সবাই জুয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে। শুধু আপনাদের ওদিকে নয় আমাদের এদিকেও হিসেবের বাইরে। এই মাদকাসক্তি ও যুয়া আমাদের পুরো সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জুয়ার আগ্রাসন এখন পুরো দেশব্যাপি৷ এদেশের অনেক সেলিব্রিটিরাও এখন জুয়াকে প্রমোট করছে৷ তারা জাতীয় গাদ্দার। তারা তাদের প্রজন্মের সাথে গাদ্দারি করছে৷
বর্তমান প্রজন্ম মাদককে ট্রেন্ড বানিয়ে ফেলেছে। ব্যাপারটা এমন যে আপনি যদি মাদক গ্রহণ না করেন তাহলে আপনি স্মার্ট না। তাই প্রায় প্রতিদিনই মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।
এর সাথে আবার যুক্ত হয়েছে জুয়া। সবাই শর্টকাটে বড়লোক হতে চায়। তাই জুয়ার পথ বেছে নেয় যার পরবর্তী পরিস্থিতি হয় ভয়াবহ।
সরকারের খুব জলদি এ বিষয়টিকে রোধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। না হলে খুব বেশী দেরী হয়ে যাবে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি করার জন্য।
শখের বশে অনেকেই এখন মাদককে গ্রহন করছে৷ মাদকের ভয়াবহতা তাদের সামনে দৃশ্যমান তবুও তারা ফিরছে না।
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.thank you for your support.
ভাই বর্তমান সময়ে জুয়া মানুষের রন্ধ্রে মিশে গিয়েছে। বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের। আপনি ঠিক বলেছেন, এই বিষয় নিয়ে কেন জানি প্রশাসনের তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। আবার অনলাইনে বিভিন্ন সাইডে জুয়াকে প্রমোট করা হচ্ছে। টেলিভিশনে আমরা যে খেলা উপভোগ করি সেখানটায়ও বিভিন্ন ভাবে জুয়ার প্রমোশন করা হচ্ছে। এমনভাবে চলতে থাকলে একদিন এই জাতি নিঃস্ব হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ ভাই দারুন এবং সময়োপযোগী একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করার জন্য। ভালো থকবেন।
এত সুন্দর একটি পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এখন তো জুয়া খেলা ডালভাত হয়ে গেছে। জোয়ার ব্যতিক্রমধর্মী চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন খেলার মাঠ থেকে নিয়ে শুরু করে, ফেসবুক ইউটিউব এর মতো সোশ্যাল মিডিয়াতেও অহরহ দেখা যায়। বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ। যেকোনো ব্যক্তি যে কোন জায়গা থেকে ইচ্ছামত জুয়া খেলতে পারে। এটিও বর্তমানে জুয়া খেলার পরিমাণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।