নম্রতা
src
আমার প্রিয় শিক্ষক আশরাফ স্যার প্রচন্ড অসুস্থ হয়েছিলেন মানে তার পিঠের হাঁড় ক্ষয় গিয়েছিল। যার কারনে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ আর এই কারণে তার রক্তের প্লাটিলেট কমে গিয়েছিলো। তাই তাকে কয়েকদিন পরপরই তিন ব্যাগ করে এ পজেটিভ (A+ve) ব্লাড দিতে হতো। একদিন সোস্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করলাম স্যারের জন্য রক্ত চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে।দেখলাম স্যারের ব্লাডগ্রুপ আর আমার ব্লাড হুবহু মিলে গেছে। তাই দেরি না করে স্যারকে রক্ত দিতে চেয়ে ওই পোস্টের নিচে মোবাইল নম্বরসহ কমেন্ট করলাম৷
নিধারিত একটি দিনে স্যার নিজেই আমার সাথে যোগাযোগ করলেন৷ স্যার আমাকে বললেন অমুক দিনে রেডি থাকবা,
তারপর তিনি যোগাযোগ করতে লাগলেন হসপিটালের কাউন্টারে। স্যার প্রচন্ড অসুস্থ, হাত-পা কাঁপছিল।স্যার এই অবস্থা নিয়েও কাউন্টারে গিয়ে বারবার বলে আসছেন যেনো আমাদের ব্লাডগুলো টেনে নিয়ে তার শরীরে পুশ করা হয় কিন্তু ওনারা কেনো জানি গুরুত্ব কম দিচ্ছিলেন৷ আমার কাছে ব্যাপারটি কেমন জানি লাগছিলো। আমি ভাবছিলাম একজন অসুস্থ লোক বারবার এসে বলে যাচ্ছে আর ওনারা তার কথা গায়েই লাগাচ্ছে না।
তিনি প্রচন্ড অসুস্থ, অসুখে সারা শরীর কাঁপতেছে। ঐ মুহুর্তেও তার এরকম ধৈর্য আমাকে বিমোহিত করেছিলো। সেদিন তার মুখনিঃসৃত কথাগুলো আমার কাছে বাণীস্বরুপ মনে হয়েছিলো। তারপর থেকে তার কথাগুলো আমার জীবনে এপ্লাই করি।
বিশ্বাস করাতে পারবো না আলহামদুলিল্লাহ আমি কোথাও ঠেকিনা। কিছু মাস আগের একটি ঘটনা বলি, আমি ব্যাংকে ইন্টার্নশিপ করেছিলাম। শর্ত ছিলো আগামী তিন মাস আমাকে নিয়মিত সেখানে উপস্থিত হতে হবে। কিন্তু যেকোনো কারণে আমি তাদের শর্ত পূরণ করতে পারিনি এজন্য তারা আমাকে সার্টিফিকেট দিতে একটু ঘোরাচ্ছিলেন। এবং মাঝে মাঝে কটু কথাও বলতেন। আমিও ঘুরছিলাম এবং তাদের কটু কথাও একটু একটু শুনতাম৷ আমার এমন ধৈর্যের লেভেল দেখে তারা শেষমেশ আমাকে সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
বার্তাঃ জীবন চলার পথে নম্র, ভদ্র এবং সৎ থাকুন, কোথাও ঠেকবেন না আশাকরি।
স্যারের প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে,, নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে, রক্ত দান করার মতো প্রতিূান আমি মনে করি কোন কিছুতে নাই,, আর একজনের জীবনের মূল্য আপনি দিয়েছেন অসাধারণ একটা উদ্যোগ। নম্র ব্যবহার করা আমাদের প্রত্যেকের উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার টপিক আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
সত্যিই তো নম্রতা অনেক বড় একটি গুণ। এটা অনেকে দুই একবার দেখাতে পারলেও আয়ত্ত করা এতটা সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন অসীম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। আপনার স্যার আপনাকে একটি উত্তম শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি আপনাকে নম্র ভদ্র থাকার প্রয়োজনীয়তা বলেছেন। সত্যি উনি একজন আদর্শ শিক্ষক। আপনার স্যারের জন্য অনেক দোয়া রইল।
জ্বী ভাই নম্রতা একটি মহৎ গুণ। নম্র মানুষকে সবাই ভালোবাসে। আপনি আজ একটি শিক্ষনীয় পোষ্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যি বলতে আমরা ছেলে মানুষরা অল্পতেই মাথা গরম করে ফেলি। জোর করে যেকোন কিছু আদায় করতে চাই। কিন্তু এটা যে কতটা ক্ষতিকর তা হয়তো পরবর্তী সময়ে গিয়ে বুঝতে পারি।
যাইহোক আপনি দুটো ঘটনা আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। আপনার স্যারের মুখসৃত বানী আপনি আপনার জীবনে কাজে লাগিয়েছেন এবং এর সুফলও পেয়েছেন। দোয়া করি ভাই আপনার এবং স্যারের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
নম্র ব্যবহার করা আমাদের প্রত্যেকের উচিত। কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা কিনা অল্পতেই নিজেদের মাথা গরম করে নেয়। এমন করা মোটেও ঠিক না। কোন বিষয়ে যদি হঠাৎ করেই আপনার মাথায় রাগ উঠে যায়। তাহলে অবশ্যই একটু শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। নম্র ব্যবহার করুন। আরেকটা বিষয় আমি লক্ষ্য করে দেখলাম। আপনি রক্তদান করার মত একটা মহৎ কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই দেখা যায় রক্তদান করে। তবে এটা খুবই ভালো একটা কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার টপিক আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
শিক্ষক আমাদের শিক্ষাগুরু তারা সব সময় আমাদের সৎ এবং বাস্তবমুখী শিক্ষা গুলোই দিয়ে থাকেন। যেমনটি আপনার শিক্ষক আপনাকে তার চমর অসুস্থতার মাঝেও ধৈর্যের শিক্ষা দিয়েছেন। আর তার শিক্ষা অনুসরণ করে আমি সর্বদা এগিয়ে যাচ্ছেন।
সততা,ধৈর্য এগুলো কদর সকলেই করে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাযর লেখাটি পড়ে জানতে পারলাম সর্বদা মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার করতে হবে। অল্পতেই মাথা গরম করা ঠিক না, অল্পতেই মাথা গরম করলে অনেক সময় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
আর কাউকে রক্ত দেওয়া নিঃসন্দেহে ভাল কাজ। আপনি আপনার স্যারকে রক্ত দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন।
আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রথমে ধন্যবাদ দেব আপনাকে যে ,আপনি আপনার শিক্ষাগুরুকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন এবং ভক্তি করেন । তার যেহেতু রক্তের প্রয়োজন ছিল আপনি সেই মহৎ কাজটিও করেছেন ।আসলে আমাদের শিক্ষাগুরু হল বাবা-মার পরে তাদের স্থান। তবে বর্তমান সময়ে কিছু কিছু ছাত্রছাত্রী আছে যারা শিক্ষকদের সেরকম মূল্যায়ন করে না ।
আমিও শিক্ষকের সাথে একমত, জোর করে কোন কিছু পাওয়া যায় না ।নম্র ও ধৈর্যশীল ব্যক্তির সব সময় পাশে থাকেন সৃষ্টিকর্তা ।তাইতো আপনি অনেক ধৈর্যের পরও আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেয়েছিলেন। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
প্রতিটা মানুষকে জীবনে নম্র এবং সহনশীল হওয়া জরুরী। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খুব কঠিন কারণ আমি যথেষ্ট রগচটা টাইপের একজন মানুষ। কিন্তু নম্রতা, সহনশীলতা এই গুণগুলি মানুষকে তাদের জীবনের পথে এগিয়ে চলতে সাহায্য করে। হঠাৎ করে রেগে গিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বললে বরঞ্চ হিতে বিপরীত হয়। আপনাকে ধন্যবাদ এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
নম্রতা মানুষের একটা একটা বড় গুন।এটা ছোটবেলা থেকেই আসলে পারিবারিক ভাবে শিক্ষা দেয়া উচিত। অনেক সময় ভদ্র ব্যাবহার দিয়ে অনেক কাজ উদ্ধার করা যায়। যেমনটা আপনি আপনার ব্যাংকের কাজের ক্ষেত্রে বলেছেন।
কিন্তু সবসময় আবার এতটা নম্রতা দেখালেও চলে না।জীবনে চলার পথে অনেক সময় কিছুটা কঠোরও হতে হয়।নাহলে লোকজন আপনাকে দাবিয়ে রাখবে।
এরজন্য আমার মতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ব্যালান্স করা। কখন কোথায়,কোনটা বেশি প্রয়োজন এটা বুঝতে পারা। এটা অবশ্য আমার মতামত।সবার সাথে মিলতে নাও পারে।
চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।