মৌমাছি সম্পর্কে কিছু কথা
src
মৌমাছি চিনিনা তেমন মানুষ আমার মনে হয় এখানে একজনও নেই৷হাস্যকর হলেও সত্য মৌমাছির কামড় খাইনি তেমন মানুষও এখানে বিরল।চলতে পথে জীবনের কোনো এক সময়ে মৌমাছির কামড় খাওয়ার সৌভাগ্য সবার হয়েছে মোটামুটিভাবে। নাকি নয়?? এখনোও যাদের মৌমাছির কামড় খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তারা মৌমাছির কামড় উপভোগ করার জন্য অপেক্ষায় থাকুন, সবাই যেটা পেয়েছে আপনিও সেটা পাবেন, হাহাহা। জীবদ্দশায় যেকোনো দিন মৌমাছির সাথে দেখা হয়েও যেতে পারে আপনাদের সাথে।
আগেরকার দিনে প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদের কোনার দেয়ালে এবং বড় বড় গাছের ডালে মৌমাছির চাক পাওয়া যেত, যেখান থেকে সংগ্রহ হতো অনেক মধু। মৌমাছির সংগ্রহ করা মধু মানুষের জন্য মহৌষধ স্বরুপ। এটা একদমই বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত। আমার মতে পৃথিবীতে একটি মাত্র জিনিস আছে যার কোন সাইড ইফেক্ট নাই। আর সেটা হলো মধু। মধু এমন একটি খাবার যেটা কখনোই পঁচেনা। আরো শুনলে অবাক হবেন, আমরা জানি মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য পিঁপড়ার খুব প্রিয় খাবার। ১০ তলা বিল্ডিং এর ফ্লোরেও যদি মিষ্টি কোন খাবার রাখা হয়, দেখা যায় সেখানেও পিপড়া লেগেছে। কিন্তু মধুতে কখনোই পিঁপড়া লাগে না। এটা হতে পারে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত। আমরা শুধু মধুর কদর করি।কিন্তু মধুর কারিগর ক্ষুদ্র এই প্রাণী মৌমাছির জীবন চক্র জানার চেষ্টা করেছিলাম ক'জন।
src
এপিকালচার বা মৌমাছি পালন বিদ্যা সম্পর্কে পড়ছিলাম। এখানে কয়েকটি অজানা বিষয় আমাকে অবাক করে দিয়েছে। তাই ভাবলাম বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। প্রথমেই জানাতে চাই এপিকালচার কি তারপর বাকি কথা আলোচনা করবো।
এপিকালচার
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌমাছি পালন এবং মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করাকেই বলা হয় এপিকালচার।মোটকথা, এপিকালচার বলতে মৌমাছি পালন বিদ্যাকেই বোঝায়।
মৌমাছি পতঙ্গ জাতীয় একটি প্রাণী৷ মৌমাছিও মোটামুটি মানুষের মতই সমাজে বসবাস করে। এজন্য এদেরকেও সামাজিক জীব বলা যেতে পারে৷ তবে এদের বসবাসের স্থান হলো মৌচাক৷ এই মৌচাকে থাকে তিন ধরনের মৌমাছি। ১.রাণী মৌমাছি ২.রাজা বা পুরুষ মৌমাছি এবং ৩. কর্মী মৌমাছি।
src
মৌচাকের সবচেয়ে বড় মাছিটি হল রানী মৌমাছি। রানী মৌমাছির একমাত্র কাজ হলো ডিম পাড়া।একটি রানী মৌমাছি দিনে ১৪০০-১৫০০টি ডিম দেয়। এরা আনুমানিক তিন বছর বাঁচে।শুনলে অবাক হবেন, একটি মৌচাকে শুধুমাত্র একটি রানী মৌমাছি থাকে। মৌচাকে যে পুরুষ বা রাজা মৌমাছিগুলো থাকে এদের কাজ শুধু বংশবিস্তারে অংশগ্রহণ করা। প্রজননে অংশগ্রহণ ছাড়া এদের আর কোন কাজ নাই বললেই চলে।এরা মধুও সংগ্রহ করে না।মৌচাকে যেসব কর্মী মৌমাছি থাকে এরা জাতে স্ত্রী তবে বন্ধ্যা, ডিম দিতে পারে না।মানে প্রজনন বা বংশবিস্তারে এদের কোন ভূমিকা নেই। কর্মী মৌমাছিদের প্রধান কাজ মধু সংগ্রহ করা এবং মৌচাক তৈরি করা।
আজ এপর্যন্তই।
আপনি মৌমাছির সম্পর্কে লিখে মর্মান্তিক একটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমি আমার লেখা পোষ্টের মধ্যে কোন একদিন উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ। মৌমাছির কামড় জীবনে অনেক খেয়েছি। শুধু একবার নয় কয়েকবার খেয়েছি। আপনি মৌমাছির সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ এমন একটি লেখা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি মৌমাছি সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তবে আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে মৌমাছি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। একটা মৌমাছি দিনে এতগুলো ডিম পাড়ে, এটা জেনেই আমি অবাক হলাম।
আমি শুধু জানতাম মৌমাছি মধু সংরক্ষণ করে। কিন্তু আপনি দেখছি মৌমাছি 🐝 সম্পর্কে অনেক ধারণা রাখেন। ধন্যবাদ মৌমাছি সম্পর্কে বিস্তারিত আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
মৌমাছি সম্পর্কে পড়ার আগে মোটেও আমার মৌমাছি সম্পর্কে এতটা ধারণা ছিল না। আমি পড়ে পড়ে এসব জেনেছি, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আর কি।
মৌমাছি সম্পর্কে এতো সুন্দর তথ্য দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। মৌমাছি নিয়ে এত কিছু আমার এতদিন অজানাই ছিলো। আপনার লিখাটি পড়ে নতুন কিছু জানলাম। পাশাপাশি আমার জানার আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো মৌমাছিকে নিয়ে। ভালো থাকবেন ভাই।
সারা জীবন শুধু মৌমাছির কষ্ট করে সঞ্চিত মধু চুরি করে খেয়ে গেলাম।কখনো এদের নিয়ে জানার আগ্রহ হয়নি।শুধু জানতাম এদের রানী মৌমাছি নামে একটা মৌমাছি থাকে।আপনার পোস্টের মাধ্যমে মৌমাছি নিয়ে অনেক জানলাম।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ভালভাবে পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
মৌমাছির কামড় আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি ৷ যেই খানে কামড় দেয় সেখানে ফুলে ডুম হয়ে যায় ৷ কিছুক্ষন খুবেই ব্যাথা অনুভব হয় পরে তা আস্তে আস্তে সেরে যায় ৷ তবে মৌমাছির বেশী কামড় খেলে মানুষ মারা পর্যন্ত যেতে পারে ৷ আপনি মৌমাছি সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংক্রান্ত তুলে ধরেছেন অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আমি আপনার লেখটা পড়ে আজকে অনেক বিষয়ে জানতে পারলাম। মৌমাছি সম্পর্কে অনেক তথ্য আপনি আজকে খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন। একটি রানী মৌমাছি দিনে ১৪০০-১৫০০টি ডিম দেয় সেটা আমার জানা ছিল না তা আপনার পোস্টটা পড়ে জানতে পারলাম।
যাইহোক ভাই খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং সবসময় ভালো থাকবেন সেই কামনা করি।
হে আমি এটি জানি যে, মৌচাকের সবচেয়ে বড় মৌমাছির না রাণী মৌমাছি।তার নিয়ন্ত্রণে থাকে সব মৌমাছি।একতা খুব তাদের মধ্যে। এমনকি তারা খুব পরিশ্রমী। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনি ও অনেক তথ্য বহুল একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি মৌমাছি সম্পর্কে এবং এদের মৌচাকে অবস্থানরত সকল মৌমাছি সম্পর্কে স্বল্পকথায় অনেক তথ্য প্রদান করেছেন। আমরা অনেকেই বা অধিকাংশ মানুষই মধু খেতে পছন্দ করি। কিন্তু এটা সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা সকলে হয়তো জানি না।
মৌমাছিকে আপনি সামাজিক জীব বলেছেন, এটা বলার পেছনেও যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। কর্মী মৌমাছি গুলো আবার বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না।
আপনার লেখাটি পড়ে আমার এটাই মনে হচ্ছে যে মৌমাছি সম্পর্কে আপনার বেশ তথ্য নিজেকে অর্জন করতে হয়েছে এবং এটার জন্য যথেষ্ট সময়ও আপনি অতিবাহিত করেছেন। অন্যথায় এত সুন্দর ভাবে নিখুঁত করে তথ্য উপস্থাপন করা সম্ভব নয়।