সুজন মিয়া
সঠিকভাবে আমার মনে নেই, ২০১৫ কিংবা ২০১৬ সাল। তখন থেকেই আমি সুজনকে চিনি। ব্যবসায়িক ব্যাপারে প্রায়ই রাতে দোকানে থাকতে হতো আমাকে। তখন প্রায় প্রতিরাতেই সুজনের সাথে আমার দেখা হতো।
সুজনের বয়স যখন আনুমানিক ৮ কিংবা ৯। সুজন তখন বাউন্ডুলে ধরনের ছিলো।এতটুকু বয়সেই বাবা মাকে না জানিয়ে প্রতিরাতেই বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের অলি গলি ঘুড়ে বেড়াত। একারণেই তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো। পড়াশোনা কতদূর করেছে তা আমি জানি না। সুজনের বাড়ি কোথায়, কে বা কারা তার মা-বাবা তাও আমি জানিনা। আমি শুধু সুজনকেই চিনতাম।
সে প্রতিরাতে এসে আমার সাথে বিভিন্ন গল্প করতো। হয়তো তার সাথে আমি আন্তরিক ছিলাম বিধায় সে আমার সাথে মিশতে পছন্দবোধ করতো। সে কিছুদিন পর পর এসেই পাঁচ দশ টাকার আবদার করতো আর আমিও দিয়ে আনন্দবোধ করতাম।
তাকে বহু বুঝেয়েছি। বলতাম,“তুই যেভাবে চলাফেরা করছিস এভাবে চলাফেরা ঠিক নয়,তোর বয়স অনেক অল্প, তোর এখন পড়াশোনা করার বয়স, বাড়িতে থেকে ভালোভাবে একটু পড়াশোনা কর”। কিন্তু কে শোনে কার কথা, সে এভাবে চলতেই পছন্দবোধ করতো। সুজন বয়সে আমার অনেক ছোট তাই তাকে “তুই” বলেই সম্মোধন করতাম।
সুজনের বয়স এখন প্রায় ১৬। একটু বড় হয়েছে। গত ১৬ই ডিসেম্বরের কিছুদিন পূর্বে সুজনকে দেখেছিলাম আমার শহরে ঘুরে ঘুরে দেশের ছোট বড় পতাকা বিক্রি করছে। তবে প্রচন্ড ব্যস্ততার কারণে তার সাথে কথা বলার সময় পাইনি আমি। শুধু আমি তাকে দেখেছিলাম সে আমাকে দেখতে পায়নি। দেখলে হয়তো ছোটবেলার মতো আবার বিভিন্ন গল্প শুরু করতো।
গত দুইদিন আগে সুজনের সাথে আমার অনেক দিন পর দেখা। ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখলাম সুজন আর আগের মতো বাউণ্ডুলে নেই। সে এখন একটা হিসাবের মধ্যে চলছে। দেখলাম সুজন বাদাম,পেয়ারা,শশা পরিমাণ মতো প্যাকেট করে গাড়িতে গাড়িতে ফেরি করছে।
পিছন থেকে নাম ধরে ডাক দিতেই আমার দিকে এগিয়ে এসে হালকা করে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আবেগে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। কুশলাদি বিনিময় শেষে তাকে জিজ্ঞেস করলাম তার দিনকাল কেমন যাচ্ছে। সে মুচকি হাসি দিয়ে বলল, এইতো চলছে কোনোরকম।
আমি লক্ষ্য করে দেখলাম আগের মতো তার মধ্যে আর পাগলামির ভাবটা নেই, সে এখন একজন ব্যবসায়ী।
কিন্তু সে যদি ছোটবেলার সেই সময়টাকে ভালোভাবে কাজে লাগাতো তাহলে হয়তো সুজন আরও ভালো কিছু করতে পারতো।
যাইহোক, যার যা ভালো লাগে সে সেটাই করুক, দিনশেষে মনের প্রশান্তিটাই বড়। সুজন যেহেতু দিন দিন একটু একটু করে এগুচ্ছে সে এভাবেই তার ভবিষ্যৎ গড়ে নিক, এই প্রত্যাশাই করি।
Amigo, que bueno reencontrarse con personas que han subido importante en nuestras vidas, cuando conociste a tu amigo solo tenía una corta edad, con problemas en su vida, en ese momento le diste un consejo solo él decidiria tomarlo o no en cuenta, hoy día ya es una adolescente trabajador, es bueno ver qué a pesar del tiempo te recuerda y que se ha formado como una buena persona.
Fue un gusto leerte amigo
Thank you dear.
মানুষের জীবনে কখন কি হবে কেউ কখনো বলতে পারে না আপনি সুজনকে নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you brother
আসলে বয়সের সাথে সাথে মানুষের দায়িত্ব বেড়ে যায় তাই হয়তো সে এখন আর আগের মত নেই আগে চঞ্চল ছিল কিন্তু সে এখন সংসার ধরতে শিখে গেছে হয়তো বা তার সংসারে এখন তাকে খুব প্রয়োজন তাই সে নিজের মতো করে একটা ব্যবসা ধরে নিয়েছে।