দুরন্ত শৈশব

in Incredible Indialast year (edited)

প্রিয় পাঠক/পাঠিকাঃ
আসসালামু আলাইকুম,কেমন আছেন সবাই...?আশা করি এই মূহুর্তে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আমার নতুন আরেকটি লেখায় আপনাকে স্বাগতম।
20230618_015219_0000.jpg
[ছবিটি canva app দ্বারা সম্পাদন করা হয়েছে]

একটা সময় ছিলো,যখন পাড়ার সব বন্ধু এবং বন্ধুতূল্য বড়দের মধ্যে একটা শক্ত পোক্ত কানেক্টিভিটি ছিলো।কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন আর তেমন অবস্থা দেখা যায় না বললেই চলে।দুরন্ত শৈশবের সেই দিনগুলোর সাথে এখনকার দিনগুলোর বেজায় ফারাক।সেই ছোটবেলায় সকালে উঠে হাত মুখ ধুয়ে একটু খেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতাম এবং স্কুলের সময় হয়ে গেলে পাড়ার আর দশজন ছেলেমেয়েদের সাথে স্কুলে যেতাম।একসাথে আবার স্কুল থেকে ফিরে যে যার বাড়িতে গিয়ে হালকা নাস্তা করে একটু ঘুমাতাম,ঘুম থেকে উঠে বিকেলে বেড়িয়ে পড়তাম খেলার মাঠে।

কখনও ফুটবল, কখনও ক্রিকেট, কখনও গোল্লাছুট, কখনও হা-ডু-ডু,কখনও দাড়িয়াবান্ধা কখনওবা বৌচি খেলতাম।সাপ্তাহিক স্কুল ছুটির পুরো দিনটাইতো ছিলো আমাদের দখলে।খেলা শেষে বাড়ি ফিরলে আমাদের মায়েরা হাত মুখ ধুয়ে দিয়ে সন্ধ্যার একটু পর পড়তে বসাতেন৷ মা যেখানে রাতের খাবার রানতে বসতেন, তার ঠিক পাশেই মাদুর পেড়ে আমাদের পড়তে বসাতেন৷আহ্ কি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ছিলো সেটি,যা এখন আর চোখেই পড়ে না। স্কুলের রুটিন পুরো কমপ্লিট করে দিয়ে তবেই মায়েরা খ্যান্ত হতেন। সবার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছিলো কিনা, তা আমি জানিনা তবে আমার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছিলো।

একটু দুষৃটমি করলে মায়ের সেই কড়া গলার আওয়াজ এবং মাঝে মাঝে পিটুনিও খেতে হতো। শৈশবের ওই কথাগুলো মনে পড়লে ভীষণ হাসি পায় এখন। কিন্তু বড়বেলায় এসে মায়ের সেই কড়া গলার আওয়াজ আর হালকা পিটুনি বড্ডই মিস করছি৷আগেকার দিনে মায়েরা তার সন্তানদের শাসনের ব্যাপারে বেশ কড়া ছিলো।কালের বিবর্তনে এখন কেনো জানি সবকিছুই ফিকে হয়ে গেছে।

আমাদের শৈশবের খেলাগুলো আধুনিক যুগের শিশুদের কাছে এখন শুধুই গল্পের বিষয় কিংবা ইতিহাস মাত্র ।তারা কেউই এখন সেই খেলাগুলোর সাথে পরিচিত নয়।কারণ তারা এখন প্রচুর ব্যস্ত৷আমি এমনও দেখেছি ক্লাস টু'য়ের বাচ্চাকে,যে কিনা সকাল আটটায় স্কুলে যায় এবং দুপুর একটায় ফিরে।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে অপেক্ষা করতে থাকে হোম টিউটরের জন্য।তাকে প্রতিদিন সতন্ত্র বিষয়ের জন্য সতন্ত্র হোম টিউটরদের মোকাবিলা করতে হয় একের পর এক। তাহলে সে খেলার সময় কিভাবে পাবে...?

শুধু কি সারাদিন পড়াশোনা করলেই তার মেধার বিকাশ ঘটবে..? আমার এমনটা কখনই মনে হয়নি৷কারণ একটি শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে হলে অবশ্যই তাকে প্রকৃতির সাথে মিশতে দিতে হবে,মিশতে দিতে হবে পাড়ার বন্ধুদের সাথে, করে দিতে হবে খেলার সুযোগ।

আধুনিক যুগের শিশুর অভিভাবকদের কাছে আমার একটাই আহ্বান, আপনার শিশুদের শরীরে দুরন্ত শৈশব এর ছোয়া লাগতে দিন।তাদের উপর পড়াশোনার বিরাট চাপ বসিয়ে না দিয়ে তাদেরকে খোলা প্রকৃতির সাথে মেশার সুযোগ করে দিন।দেখবেন তাদের মেধার বিকাশ আপনাআপনিই ঘটবে।এতে করে তারা পড়াশোনায় আরও অনেক বেশি মনোযোগী হতে পারবে।

আজ এপর্যন্তই।সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
EEEoA8oLaAxsTkPYAARp78o5cJA1o6Chv9x98TzCFT6v5G2ZG95ayKG7AeJ1RSv6AVFScmT8cjZSoFJaX9vYABxLuR5i1esyfWg6qKqGqDyKaR5gWJfdnjeVNtsyYJYd3gD2bJ6zSsxo3SNgn3JWr-1.jpg

Sort:  
 last year 

Amigo tienes razón en esta nueva generación hay padre debe dejar que sus hijos sientan ese toque de una infancia activa y dejarlo que ellos tengan la oportunidad de conocer la naturaleza. Saludos y bendiciones.🤗

 last year (edited)

Thank you sister for your valuable comment.

Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68618.96
ETH 2706.18
USDT 1.00
SBD 2.72