আমরাই দায়ী
src
আমরা সামাজিক জীব, সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করি।ছোটবেলায় ওয়ান টু'য়ের বইয়ে পড়েছিলাম, " মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, চাচা-চাচীকে নিয়ে একটি পরিবার গঠিত হয়। আর কয়েকটি পরিবার নিয়ে গঠিত হয় একটি গ্রাম৷ এই গ্রামে শিক্ষিত অশিক্ষিত দুইই বাস করে৷ এখন একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ায় সৃষ্টি হচ্ছে নগরায়ন। যার কারণে কমছে সবুজ প্রকৃতি। আবার সেটার কারণে প্রকৃতি হারাচ্ছে তার ভারসাম্যতা৷ প্রকৃতি ভারসাম্য রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে ঘটছে প্রাকৃতিক পরিবর্তন।
আমরা আমাদের জমিতে যে ঘাস মরার কীটনাশক ব্যবহার করি সেই কীটনাশকে হয়তো আমাদের উপকার হচ্ছে কিন্তু মরছে পোকামাকড় সাথে হারিয়ে যাচ্ছে পোকামাকড় ভক্ষন করা পাখিগুলো। কারণ, তারা বিভিন্ন রকমের পোকামাকড় ভক্ষন করেই জীবিকা নির্বাহ করে৷ বড় গাছের মগডালে বাসা বেধে ডিম ফুটানো ফিঙ্গে পাখিটিকে আর আমি দেখতে পাই না, টুনটুনিও নেই, শালিকও হারিয়ে যাচ্ছে।
মাঝ রাতে বড়গাছের ডাল কিংবা লম্বা বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর বসে ডাকতো যে হুতুম পেঁচা, তারাও আজ সংখ্যায় কম। যদি তাদের কথা বলার সুযোগ থাকতো তাহলে হয়তো তারা নালিশ জানাতো সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের বিরুদ্ধে।
কারণ, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষই তাদের আবাসস্থল নষ্ট করে ফেলছে, দিনকে দিন। তারা যে পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করতো, সেই পোকামাকড় মানুষের ছিটানো কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করতে অপারগ। ইকোসিস্টেম বলতে একটা কথা আছে৷
ধূসর রঙা যে কাককে আমরা ঝাড়ুদার পাখি বলি, সেই কাকও এখন সংখ্যায় কম৷ একটা সময় ছিলো যখন তাদেরই কোনো স্বজাতি কোথাও আটকা পড়লে চারদিক কা কা কা 'র জয়ধ্বনি উঠে যেতো৷ কিন্তু এখন আর তা শুনতে পাইনা৷ এর মূল কারণ, তাদের বংশ বৃদ্ধির স্থান মানুষ জব্দ করেছে। নেই বাশঝাড়, হারিয়ে যাচ্ছে বকও৷
বিদ্যুৎ বিভাগের বেখেয়ালে আমাদের বাসার সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসে বহু পাখি জীবন হারিয়েছে৷ বিভিন্ন দরবার ঘুরেও আমি এর প্রতিকার পাইনি৷ তারা শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন বহুবার। মানুষ মারা যদি হত্যাকান্ড হয়ে থাকে তবে পাখি মারা কেনো নয়....?
কয়েকদিন আগে দেখলাম কয়েকটি বানর এবং হনুমান আমাদের এলাকাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ঘুরে বেড়ালো।
তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল "বনাঞ্চল" ধ্বংসের কারণেই হয়তো এমনটা করেছে৷
চলুন, জেগে উঠি। প্রকৃতি উদ্ধারে নেমে পড়ি, উদ্ধার করি প্রকৃতির উপাদানগুলো, রক্ষা করি প্রাকৃতিক ভারসাম্যতা৷ শুধু নিজের জন্য না ভেবে চলুন সবার জন্য ভাবি৷
বর্তমান যুগে এরকম প্রাকৃতিক অনেক জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা যে কোন চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে থাকি। আর এসব কারণেই অনেক ছোট ছোট প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনার পোস্টটি খুব শিক্ষনীয় ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পৃথিবীতে অতিরিক্ত পলিউশন তার জন্য আবহাওয়া চেঞ্জ। এর জন্যও অনেক অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে এই বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন। আমাদের সবারই উচিত এই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া। পলিউশনের জন্য তো পাখি মারা যাচ্ছে। এমনিতে দেখা যায় অনেক মানুষের পাখি শিকার করে। তাদের কেউ বাধা দেওয়া উচিত আমাদের। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ভাই আমরা নিজেদের সুবিধা করতে গিয়ে সৃষ্টির অন্যন্য জীবের অসুবিধায় ফেলছি। আপনি ঠিক বলেছেন তারা যদি কথা বলতে পারতো তাহলে আমাদের সকলকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতো। আমরাই তাদের ধ্বংস করছি।
কীটনাশন প্রতক্ষ্যভাবে আমাদের উপকার করলেও পরোক্ষভাবে কিন্তু বিশাল ক্ষতি করছে। এ ব্যপারে আপনি চমৎকার কিছু উদাহরণ আমাদের দিয়েছেন। আপনার লিখাটি পড়ে নতুন অনেক বিষয় জানতে পারলাম। ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা রইলো।