বর্ধনকুঠি পরিদর্শনে আমরা

in Incredible Indialast year (edited)

IMG_20230502_064705.jpg

ঈদের পর বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে প্রচন্ড হাপিয়ে উঠেছিলাম। নিজেকে দেওয়ার মতো একটু সময়ও বের করতে পারছিলাম না৷ এরকম সময়ে যদি নিজেকে একটু আলাদাভাবে সময় দেওয়া যেতো তাহলে হয়তো শরীর ও মন একটু রিফ্রেশমেন্ট পেতো।ভাগ্যক্রমে গতকাল সেই সময় পেয়েছিলাম নিজেকে রিফ্রেশমেন্ট দেওয়ার মতো। এই সুযোগে এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম বর্ধনকুঠিতে

বর্ধনকুঠি আমাদের শহর থেকে একটু দূরে । বহু বছর পুর্বে এই বর্ধনকুঠিতে এক রাজা বসবাস করতো। কালক্রমে সেই রাজার বংশদ্ভূত কেউ আর সেখানে জীবত নেই।কিন্তু তার রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এখনও রয়েই গেছে।সেই রাজপ্রাসাদের পাশেই গড়ে ওঠেছে কিছু বসতবাড়ি।
IMG_20230502_072624.jpg
এই রাজপ্রাসাদের রাজা সম্পর্কে কেউ সঠিক ভাবে বিবরণ দিতে পারে না। কারণ বহু বছর গত হওয়ায় সেযুগের মানুষ এখন আর কেউ বেচে নেই। এই পুরাতন রাজপ্রাসাদের পাশেই গড়ে উঠেছে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ। এখানে এইচএসসি'র পাশাপাশি ডিগ্রি পর্যন্ত পড়ার ব্যবস্থা আছে।অনার্সও চালু হয়েছে এই কিছু দিন হলো। যেখানে কয়েকটিমাত্র বিষয় পড়ানো হয়।
IMG_20230502_091826.jpg
গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ আগে ছিলো এমপিও ভুক্ত। এই কিছু বছর হলো এটি সরকারি কলেজের তালিকায় অন্তভুক্ত হয়েছে। এখন অনেক দূর দুরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে এসে পড়াশোনা করে। কলেজের পাশের রাজপ্রাসাদ কলেজকে অনেক সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছে। প্রতিবছর এখানে অনেক দর্শনার্থী আসে ধ্বংসাবশেষ এই রাজপ্রাসাদ পরিদর্শন করার জন্য। কলেজর সামনে বিশাল এক খেলার মাঠ রয়েছে।ক্রীড়া প্রেমী লোকজন এখানে প্রায় প্রতিদিন তাদের খেলার অনুশীলন করে।অনেক সময় এই মাঠে বিভিন্ন খেলার আয়োজন হয়।

রাজপ্রাসাদের পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তৎকালীন রাজাদের ব্যবহার করা বিশাল বিশাল পুকুর।
IMG_20230430_174820.jpg
সেই আমলে রাজাদের ব্যবহার করা পুকুরগুলো এখন সাধারণ মানুষের দখলে।প্রকৃতির নিয়মতো এমনই সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুর মালিকানারও পরিবর্তন হয়। যাইহোক,সেখানে গিয়ে আমার একটা বিষয় খুব মন কেড়েছে।সেইটা হলো, কলেজ প্রাঙ্গণের গোল চত্বর
IMG_20230430_170930.jpg
সেই গোল চত্বরে একটি বটগাছ লাগিয়েছে কলেজ কতৃপক্ষ। যার ছায়ায় বিশ্রাম নেয় কলেজ মাঠে আগত অনেক মানুষই।গাছটি নতুন, সদ্য লাগিয়েছে মনে হয়, ডালপালা তেমন ছাড়েনি এখনও। কিন্তু আমি মনে করি এই গাছ একদিন বিশাল আকার ধারণ করবে, অনেক মানুষের ছায়া জোগাবে৷ ছোট বড় অনেক গাছ পুরো বর্ধনকুঠিকে দিয়েছে আলাদা এক সৌন্দর্য।যেখানে অনেক গাছ থাকে সেখানকার প্রকৃতি সুন্দর হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ গাছই তো প্রকৃতির প্রাণ।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেক মানুষই আসে এই বর্ধনকুঠিতে, প্রকৃতির ছায়ায় নিজেকে একটু রিফ্রেশমেন্ট দেওয়ার জন্য।
অন্যান্য মানুষের মত আমরাও সেখানে গিয়ে প্রচুর রিফ্রেশমেন্ট পেয়েছিলাম। সেখানে কিছু সময় কাটানোর ফলে শরীর ও মন চাঙ্গা হয়েছিলো আমাদের।

আপনাদের সবাইকে বর্ধনকুঠি পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
EEEoA8oLaAxsTkPYAARp78o5cJA1o6Chv9x98TzCFT6v5G2ZG95ayKG7AeJ1RSv6AVFScmT8cjZSoFJaX9vYABxLuR5i1esyfWg6qKqGqDyKaR5gWJfdnjeVNtsyYJYd3gD2bJ6zSsxo3SNgn3JWr-1.jpg

Sort:  
Loading...

Congratulations...


Your quality content follows the Team 4 curation guidelines.

BRINGING MUSIC TO YOUR EARS.gif

Curated by : @radjasalman

 last year 

আপনার বর্ধনকুঠি পরিদর্শন টা অনেক ভালো লাগলো ৷ প্রতিটি জায়গার আপনি সব ধরনের বর্ণনা প্রদান করেছেন যার জন্য আমরা খুব সহজে অনেক কিছু জানতে পারলাম ৷ বিশেষ করে পুকুরের ছবি আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগলো ৷

যাই হোক আপনার এই পরিদর্শন জায়গাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷

#miwcc

 last year 

আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আপনার খুবই একটি আনন্দের মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পাশাপাশি ঈদেরগনে আপনি উল্লেখ করেছেন ঈদের সময় বেশ ক্লান্ত বোধ করেছেন আসলে ক্লান্ত বোধটা হওয়ারই স্বাভাবিক আমাদের ঈদের সময় এতটা আনন্দের মধ্যে থাকে নিজের শরীরের কথাই ক্লান্ত ওদের কথা আমরা ভুলে যাই যাই হোক আপনি সেই ক্লান্তি বোধ কাটানোর জন্য কিছুটা সময় ঘোরাফেরা করতে বের হয়েছিলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

বেশ ভালো লাগলো ভাই আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে। খুবই মনোমুগ্ধকর ছিলো সেটি। আর আপনার আমন্ত্রন গ্রহন করলাম। একদিন যাবো আপনাদের বর্ধনকুঠিতে। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.12
JST 0.027
BTC 61555.74
ETH 2980.33
USDT 1.00
SBD 2.51