স্নিগ্ধ সকালের কিছু ফটোগ্রাফি
ঘুম থেকে জেগে নিজেদের কিছু গুরুত্বপুর্ণ কাজ সম্পন্ন করলাম। ঘড়িতে এখন সকাল ছয়টা বেজে পাঁচ মিনিট পেরিয়েছে মাত্র। আমরা যে মেসে অবস্থান করছি সেটার সপ্তম ফ্লোরে উঠেছি সামান্য শারীরিক কসরত করার জন্য।
এসে যা দেখলাম তা দেখে আমরা রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কারণ আমরা যেখানে অবস্থান করছি এটা একেবারে পদ্মার কোল ঘেষেই নির্মিত।এই মেসের ছাদ থেকে পদ্মা নদীর ভিউ পাওয়া যায় একদম অমায়িক, একথা হয়তো আগের পোস্টটাতে আংশিক বর্ণনা করার চেষ্টা করছিলাম। যাইহোক,হাফ কিলো দূরে হবে হয়তো পদ্মা নদী।নদীতে এখন নতুন পানির আগমন ঘটেছে৷একটি নির্দিষ্ট দিকে পানির স্রোত বয়ে চলেছে।সকালে উদিত হওয়া সূর্যের সামান্য রোদ পদ্মার পানিতে পড়ে হীরার মতো জ্বলজ্বল করছে।জেলেরা ছোট ছোট ডিঙ্গী বা নৌকা ব্যবহার করে নদীর মাঝ বরাবর গিয়ে জাল বিছিয়ে দিচ্ছেন মাছ ধরার জন্য।
এ অঞ্চলে আবাসিক বাসাগুলোর ছাদে যারা কবুতর পোষেন তারা তাদের কবুতরগুলোকে ছেড়ে দিয়ে উড়ার জন্য উৎসাহিত করছেন। আর একটা কথা বলে রাখি, রাজশাহীতে কিন্তু খুব ভালো মানের গিরিবাজ কবুতর পাওয়া যায়। এই অঞ্চলের কবুতরগুলো আমাদের সারাদেশে খুবই চাহিদাসম্পন্ন। কারণ,এই অঞ্চলের কবুতর খুব ভালো উড়ে৷ যেটা বলছিলাম,তাদের কবুতরগুলো উড়ছে একদম মেঘের কাছাকাছি প্রায়,অতদূর তাকিয়ে থাকাই সম্ভব হয় না।কবুতর উড়ানোর যে কি মজা, যারা উড়ায় এ মজা আসলে শুধুমাত্র তাদেরই বোধগম্যের বিষয়।
সপ্তম ফ্লোর থেকে দৃষ্টিগোচর হলো, হরেক রকমের আলোয় সজ্জিত সেই সুন্দর রাস্তাটির উপর৷
যদিও তখন একটু সকালের আলো ছড়িয়েছে মাত্র। এজন্য এই কৃত্রিম লাইটগুলো অফ করে দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। যাইহোক, এই রাস্তাগুলো সর্বাবস্থায় সৌন্দর্যমন্ডিত। যে কাউকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।সকাল সকাল গাড়ি-ঘোড়ার পরিমাণ খুবই কম থাকে এখানে,তবে কর্ম ব্যস্ত মানুষগুলোর কর্মস্থলে যাওয়ার সময় হয়ে গেলে এই রাস্তাগুলো ধারণ করবে অন্য এক রূপ৷মহুর্তেই গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যাবে।যার কারণে সৃষ্টি হবে জ্যামের।তবে অন্যান্য শহরের তুলনায় রাজশাহী শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জ্যাম লাগলেও তা থাকে সাময়িক সময়ের জন্য।এতে কোনো কার্যসম্পাদনে ব্যাঘাত ঘটে না বললেই চলে।
অনেক উচু থেকে পদ্মা এবং শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতি কেমন হবে, একবার কল্পনা করুনতো।
আমার উপভোগ করা আজ সকালের সৌন্দর্যের কিছু আলোকচিত্র আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো বলে কিছু মূহুর্তের ফটোগ্রাফি আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দ্বারা আবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি মাত্র।যদিও আমার ফটোগ্রাফির হাত একদমই বাজে।
যাইহোক,সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আপনার সকালে পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনি ঠিক বলেছেন রাজশাহীতে খুব ভলো মানের গিরিবাজ কবুতর পাওয়া যায়।
আপনার ঐ ছাদ থেকে পদ্মা সেতু হাফ কিলো দূরে তা শুনে ভালোই লাগলো।আপনি আপনার ছাদ থেকে পদ্মা সেতুতা দেখে ভালো উপভোগ করতে পারছেন
যাইহোক আপনার পোস্টটি আমার খুবই ভালো লাগলো । থ্যাঙ্ক ইউ
By: Urdu Community cruated by @yousafharoonkhan
Stay together
Join the Urdu Community with more confidence.
Steem On
সকাল বেলা একটা অন্য রকম প্রকৃতির দেখা মিলে যা আমরা অন্য কোন সময় পাই না৷ সকাল বেলা সাধারণত মানুষের আনাগোনা কম হয় যার ফলে প্রকৃতির সৌন্দর্য আমরা আরও ভালো করে উপভোগ করতে পারি। পদ্মা নদীটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতে জন্য।