হোস্টেলে চিকেন রান্না
![]() |
---|
গত ৩০ তারিক পাঠান সিনেমা দেখলাম।দেখে ধোসা খেলাম।এবার ঘরে ফেরার পালা।আমি রাকিবুল দুজনেই বিল পে করে ঘরে ফিরলাম।দোকান থেকে হোস্টেল হাটা পথে ৫ মিনিট মাত্র।
হোস্টেলে ঢুকতে না ঢুকতেই সুকান্তের কল এলো।সে বলল হিমাংশু দা চিকেন খাওয়াবে,আমি খাবো কি না সেটা জানার জন্য কল করেছে।আমি এক কথায় রাজি।তবে আমার তরফ থেকে একটাই শর্ত আমি রান্না করব।আর আমার রান্নার সময় কারোর কোনো সাজেশন নেব না।সেই মতন কথা হবার পর কল কেটে দিলাম।
একটু ফ্রেশ হতে হবে বিকেল থেকে বাইরে আছি।ভালো করে হাত পা ধুয়ে বিছানায় একটু বসলাম।কিছুক্ষণের মধ্যেই লংলিভ(জুনিয়ার),হিমাংশু দা,সুকান্ত(ব্যাচমেট), আলি (ব্যাচমেট) এবং মোহক (জুনিয়ার) এরা সবাই চলে এলো।
![]() |
---|
আমার সেই মুহূর্তে একটা কল এসেছিল তাই ওদের বললাম তোমরা কাটাকাটি করে রাখো সব কিছু,আমি এসে রান্না করছি।প্রায় ২০ মিনিট পর এলাম।ততক্ষণে চিকেন ধুয়ে মসলা মাখিয়ে দিয়েছে,আলু কেটে দিয়েছে,পেঁয়াজ কেটে,রসুন ও আদা বেটে রেখেছে।
উপকরণ
চিকেন
মসলা
হলুদ
পেঁয়াজ
টমেটো
আদা
রসুন
গুড়ো লঙ্কা
গুড়ো ধনে ইত্যাদি...
![]() |
---|
পদ্ধতি
১. আমি এসে প্রথমে তেল দিয়ে আলু টা ভাজলাম।ভাজা আলু গুলো একটা থালায় তুলে রাখা হল।
২. এর পর তেল দিলাম অনেকটা করে,তাতে কাটা পেয়াজগুলো ঢেলে দিলাম।পেঁয়াজ গুলো লাল লাল হতেই তাতে আদা,রসুন ও টমেটো দিলাম।
৩. সেগুলো অনেক কখন ধরে ভালো করে তেল মিশিয়ে রান্না মতন করতে থাকলাম।
৪. এবার চিকেন দেওয়ার পালা।প্রায় ১ কেজি ২০০ গ্রাম চিকেন পুরোটাই ঢেলে দিলাম ওই পেঁয়াজ,টমেটো,রসুন ও আদা মেশানো ওই তেলে।
![]() |
---|
৫. এইবার কিছুক্ষণ চিকেনটা ভালো করে নাড়িয়ে,ভাল করে তেলে মিশিয়ে নিলাম।
৬. মসলা যা ছিল একটু করে,অর্থাৎ পরিমাণ মতো সব একটু একটু করে দিলাম।লবণ দিলাম।
৭. কাচা লঙ্কা না থাকায় গুঁড়ো লঙ্কা দিয়েই কাজ চালালাম।
৮. এবার একটু জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
৯. এভাবেই প্রায় ৩০ মিনিট মতন পর রান্না হয়ে গেল।
তবে রান্না হওয়ার মাঝেই সবাই একবার করে একটা করে চিকেন চেখে দেখার নাম করে তুলে নিয়ে পালাচ্ছিল।আমিও একটু করে ওদের থেকে নিয়ে খাচ্ছিলাম।
নিজেরা অনেক চেঁচামেচি করছিলাম। আমার ঘরে হোম থিয়েটারে জোরে জোরে গান বাজাচ্ছিলাম সঙ্গে শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাইট এর রং বদল হচ্ছিল।বেশ একটা পার্টি মুড অন হয়ে গেছিল।
রান্না হতে দেরি হচ্ছিল বলে সবাই অধ্যর্য হয়ে যাচ্ছিল।রাত তখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তখনও রান্না চলছে।সবাইকে আশ্বাস দিলাম যে কিছুক্ষণ পরই নামিয়ে ফেলব চিকেন।
এবার ভাত আনার পালা।একজন জুনিয়রকে পাঠালাম ক্যান্টিন থেকে ভাত আনতে।কারণ এর থেকে বেশি দেরি হলে ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাবে।তখন আবার অন্য এক মুশকিলে পড়তে হবে।
![]() |
---|
যথারীতি সময় মতন ভাত চলে এলো।মেঝেতে সবাই নিজের নিজের থালা নিয়ে বসে পড়লাম।সবার থালায় ভাত ও চিকেন সমান ভাবে ডিস্ট্রিবিউশন হলে তার পর সবাই খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম।এর মাঝে অনেক মজার ঘটনা ঘটেছে,সব কিছু লেখা হয়নি। পরে কোনোদিন সুযোগ পেলে লিখব।
খাওয়া হয়ে গেলে এবার ভাবলাম একটু কোল্ড ড্রিংকস হলে ভালো হয়।তাই সেদিন রাতেই আমরা গাড়িতে করে বেরিয়ে একটা ধাবাতে খেতে গেছিলাম।সেটা পরের দিন লিখব।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Curated by - @ripon0630