হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনেশন
আর কয়েকদিন পরই আমাদের ইন্টার্নশিপ চালু হবে।তাই অন্য সমস্ত প্রস্তুতির সঙ্গে আরও একটি বিশেষ প্রস্তুতি আমাদের নিতে হয়।সেটা হল হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনেশন।অর্থাৎ আমাদের শরীর কে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করা।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া কি ভাবে আমাদের শরীরকে আক্রান্ত করে?
আমাদের সমাজে যেমন নানান রকম দুষ্কৃতী রয়েছে এবং তাদের থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য রয়েছে পুলিশ তেমনই আমাদের শরীরেও রয়েছে পুলিশের মতন কিছু রক্ষক কোষ।এরা আমাদের দেহকে বাইরের ক্ষতিকারক ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।
কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তখন তাদের ধ্বংস করার জন্য আমাদের শরীরের যে রক্ষ্ক কোষ গুলি রয়েছে তারা ছুটে সেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কাছে যায় এবং তাদের ঘিরে ধরে কারণ যেন আশেপাশের কোষ বা শরীরের বাকি অংশে যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাই এই ব্যবস্থা।এর পর নানান রকম রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যেমে এই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া কে তারা ধ্বংস করে।
কিন্তু যদি দেখা যায় এই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আমাদের রক্ষক কোষের থেকেও বেশি শক্তিশালী সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরকে এরা ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে।এবং আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।
ভ্যাকসিনেশন কি?
ধরা যাক কোনো একটা অঞ্চলে একটা নতুন চোর এসে একটা বাড়ির সমস্ত কিছু চুরি করে নিয়ে চলে গেছে। পরে সিসিটিভিতে সেই চোর এর ছবি পুলিশ পায় এবং সমস্ত এলাকায় সেই চোরের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়ে রাখে।স্বাভাবিক ভাবেই সেই চোর দ্বিতীয়বার ওই এলাকায় প্রবেশ করলে জনসাধারণ তাকে খুব সহজেই চিনতে পারবে এবং তাকে ধরে ফেলতে পারবে বা পুলিশে খবর দিতে পারবে।তাই তো?
আমাদের শরীরও ঠিক একই পদ্ধতিতে কাজ করে।অর্থাৎ বাইরে থেকে যখন কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে প্রবেশ করে সেটা আমাদের শরীরের মেমোরি T সেল নামক একধরনের কোষ এই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস কে চিনে রাখে এবং স্মৃতিতে ধরে রাখে।দ্বিতীয় বার যখন সেই একই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে প্রবেশ করে তখন তড়িৎ গতিতে তারা রক্ষক কোষকে খবর দেয়।ফলে দ্রুততার সঙ্গে ওই আগুন্তক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করা যায়।এবং শরীরকে জীবাণু মুক্ত করা যায়।
ভ্যাকসিনেশন এর মাধ্যমে আমাদের শরীরে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের শরীরের কিছু খন্ড মানব শরীরে প্রবেশ করানো হয়।এমন অংশ প্রবেশ করানো হয় যেটা ক্ষতিকারক না।অর্থাৎ ধরা যাক ভাইরাসের পা,বা হাত আমাদের শরীরে প্রবেশ করানো হয়।সমগ্র শরীর ছাড়া সেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না উপরন্তু আমাদের মেমোরি t কোষ এই বিশেষ অংশকে মনে রেখে দেয়,সুতরাং পরবর্তী কালে যখন সত্যিই এই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে প্রবেশ করে তখন শরীর দ্রুততার সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে লড়ায়ে নেমে পড়ে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার পোস্ট না পড়লে জানতেই পারতাম না আমাদের শরীরে মেমোরি T নামক একটা কোষ রয়েছে।
এটা আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটা ভাইরাস যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তখন এটা এই ভাইরাসকে চিনে রাখে এবং পরবর্তী সময় যখন ওই একি ভাইরাস আমাদের শরীরের প্রবেশ করে। তখন ঠিক তাড়াতাড়ি করে তড়িৎ গতিতে এই কোষ ওই ভাইরাসকে আক্রমণ করে।এবং আমাদের শরীর থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। বিষয়টা জানতে পেরে খুবই উপকৃত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ উপস্থাপনা হয়েছে প্রিয় ভাই।
আমি আগে ভাবতাম আমাদের শরীরে যেই ভ্যাকসিন/এ্যান্টিবডি প্রবেশ করা হয় সেগুলো বুঝি কোনো রোগের প্রতিশেধক।তবে আপনার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম আমার ধারণা ট্যোটালি ভুল।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা তথ্যমূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা,খুব সহজ ভাবে গল্পের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।আপনি বুঝতে পেরেছেন দেখে খুবই খুশি হলাম।আমার লেখা সার্থক❤️❤️❤️