কলেজ ব্যান্ডে গাওয়া আমার প্রথম গান
আজ একটা গান আপনাদের মাঝে পরিবেশন করব।এই গানটি লেখা পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের।এটি folk গান,অর্থাৎ লোকগীতি।প্রথমে বিস্তারিত একটু বিবরন দিই।
ছোট থেকে আমি একটু আধটু গান করতাম,তবে আলাদা করে কোনোদিন গান শিখিনি।স্কুলে টুকটাক গান করতাম,তবে কোনো অনুষ্ঠানে নয়।শুধু মাত্র ক্লাসেই।তার পর যখন হোস্টেল লাইফ শুরু হল সেখানে নিজেই প্রথম কনফিডেন্টলি আবিষ্কার করলাম যে আমি গান গাইতে পারি।হোস্টেলে বন্ধুদের গান শোনাতাম।
এই হোস্টেল লাইফেই বেশ কিছু গানও লিখেছিলাম।সেগুলো পরবর্তী সময়ে শোনাবো অবশ্যই।তবে কলেজে কি ভাবে গান চর্চা শুরু হল সে নিয়ে আজকের গল্প।
ফার্স্ট ইয়ারে এসে কলেজের কিছু প্রোগ্রামে গান গাইলাম।সেখানে কিছুটা পরিচিতি পাওয়ার পর ফেসবুকে টুকটাক গান গেয়ে আপলোড করতাম।আমাদের ফ্রেশার্স যখন হল সে সময় গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার পর কনফিডেন্স লেভেল তুঙ্গে উঠল।
এর পর শুধু কলেজ আর ফেসবুক এই গাইতাম।ইচ্ছে ছিল একটা ব্যান্ড বানানোর কিন্তু মাঝে করোনা আবহে কলেজ বন্ধ থাকায় সব ইচ্ছে দূরে সরিয়ে বাড়িতে বসে থাকতে হল।
বাড়িতে সেই সময় একটা গান লিখেছিলাম করোনা নিয়ে যেটা ছিল "টুনির মা" গানের প্যারোডি।আমি ও আমার বন্ধু বুবাই গানটি গেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম।সেই সময় গানটি ৮৫ হাজারের বেশি ভিউ হয়েছিল।অসংখ্য মানুষের শুভেচ্ছা পেয়েছিলাম,এবং সেই গানের সূত্রে ফেসবুকে অনেক নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয়ও হয়েছিল।এবং একটি লোকাল নিউজ চ্যানেল এই ব্যাপারটা খবরও করেছিল।
সেই সময় আমি ও বুবাই মিলে আরও একটা গান লিখেছিলাম,সেটা অফিসিয়ালি আমরা রেকর্ড করার পর এখনো অব্দি নানান কারণে রিলিজ করতে পারিনি। হয়ত ভবিষ্যতে কোনোদিন করব।
এর পর করোনা শেষ হলে কলেজ আসার পর আমার একবছরের জুনিয়ার লংলিভ একদিন বলল চল ওয়াহিদ দা একটা ব্যান্ড বানায়। লঙলিভ অসম্ভব ভালো কি বোর্ড বাজায়।ইচ্ছে তো ছিলই ওর কথা শোনার পর ইচ্ছে টা আবার চরা দিয়ে উঠল।
কিন্তু শুধু ভোকাল আর কি বোর্ড দিয়ে তো ব্যান্ড হয়না।আমাদের আর এক জুনিয়ার ওদেরই ব্যাচের অনিক নামের একটা ছেলে ইলেকট্রিক গিটার বাজাতো,তবে সে ওতো ভালো বাজায় না।তাই খোঁজ শুরু হলো,খুঁজতে খুঁজতে দুজন কে পেলাম।তারা পারফর্ম করার জন্য টাকা নেবে।অর্থাৎ পেইড পারফরমেন্স।
সে হোক উদ্যোগ যখন নিয়েছি পারফর্ম করবই।এসব ঘটনা যখন ঘটছে তার ২ মাস পর কলেজ ফেস্ট।এবার বাকি শুধু ড্রাম আর্টিস্ট,আমার এক বন্ধুর মেসে প্রত্যুষ নামের একটি ছেলে ছিল।সে ড্রাম বাজায়,সেটা আগে থেকে জানতাম আমি।এসব ঘটনা যখন ঘটছে তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম সে বাজাতে চাই কিনা।কারণ সে চাকরি করে,কেরিয়ার ছেড়ে এদিকে সময় দিতে পারবে কিনা?
সে ভীষন উচ্ছসিত হল এই প্রস্তাব শুনে।তার পর আর কি?কে আটকায় আমাদের?কয়েকজন মিলে লেগে পড়লাম।এই ভিডিওটি আমাদের প্রথম দিন প্র্যাক্টিস এর ভিডিও ।স্টেজ পারফরমেন্স এর ভিডিও দয়া করে চাইবেন না।সেদিন স্টেজে অনেক ছড়িয়েছিলাম।কারণ আমরাই অর্গানাইজার ছিলাম ফেস্টের।এক সঙ্গে এত কিছু সামলে শেষ অব্দি নিজের সেরাটা দিতে পারিনি স্টেজে।
আমরা দমদমের একটি জ্যাম প্যাডে প্র্যাক্টিস করেছিলাম।জ্যাম প্যাড কি?বিশ্বাস করুন প্রথম দিন যাওয়ার আগে আমি নিজেও জানতাম না।সেখানেই সমস্ত রকম মিউজিকাল ইনস্ট্রুমেন্ট থাকে।মাইক থাকে ,মনিটর বক্স থাকে।এক কথায় মিউজিক প্রিয় মানুষের কাছে স্বর্গ।প্রতি ঘন্টায় জন্য আমাদের ৩০০ টাকা করে গুনতে হয়েছিল অবশ্যই।
ভোকাল: আমি
কি বোর্ড: লঙ্গলিভ
ড্রাম: প্রত্যুষ
ইলেকট্রিক গিটার:রাতুল
বেস গিটার: স্বর্নাভ
বাহ্! আমাদের মাঝে এমন একজন প্রতিভাকে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। আপনার প্রতিভার বিকাশ হোক এই কামনা করি, তবে অবশ্যই আমাদের সাথে ভাগ করে নিতে ভুলবেন না আপনার গানগুলো। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম আপনার আগামী গানের জন্যে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।অবশ্যই সব কিছুই আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।❤️❤️❤️
বাহ...! আপনি এত সুন্দর গান গাইতে পারেন এটা আগে জানা ছিলো না আমার। খুব ভালো লাগলো যে আমাদের প্লাটফর্মে একজন আপনার মত শিল্পী পেয়েছি।
আমি দেখতে পারছি, আপনার ভেতর অনেক কিছুর গুন আছে। গান গাওয়া, গ্যান্জির অংকন করা, হসপিটালের বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান থাকা। অনেক কিছুই আপনার মধ্যে দেখতে পাই। জীবনে ভালো কিছু করার জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো ভাই। ভালো থাকবেন
ধন্যবাদ
অসাধারণ হয়েছে আপনার উপস্থাপনা। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরো ভালো ভালো গান শুনবো আপনার কন্ঠে। এভাবেই আপনি আপনার সৃজনশীলতা দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।
নিজের প্রচেষ্টাতেই আপনি গান করাটাকে ভালোভাবে আয়ত্ত করেছেন। আপনার পরিবেশনাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।😊😊😊
Curated by - @yousafharoonkhan