স্মার্টফোন ব্যবহারে আমাদের সুবিধা এবং অসুবিধা।
নমস্কার,
প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুরা।
আশা রাখি ঈশ্বরের কৃপায় সকলেই ভাল আছেন। এবং পরিবার-পরিজনদের সাথে সুন্দর করে দিন জীবন যাপন করছেন। আর আমিও ভালো আছি তাই আপনাদের মাঝে আজ আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হাজির হলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
Link:Pixabay
আলোচনার মুখ্য বিষয় হচ্ছে আমাদের জীবনে স্মার্টফোন ব্যবহারে সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে।আমাদের প্রত্যেকের হাতে একটি মোবাইল ফোন অথবা স্মার্টফোন আছে। বর্তমান সময়কালে স্মার্টফোন ছাড়া যেন নিজেকে শূন্য লাগে। তবে আমরা সকলেই স্মার্টফোনের ব্যবহারের সুবিধাগুলো সম্পর্কে কিছু না কিছু অবগত আছি।
স্মার্টফোন ব্যবহারে যেমন ব্যাপক সুবিধা রয়েছে, তেমনি স্মার্টফোন ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতিকারক অসুবিধা ও রয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে আমরা শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি যা আমরা সহজে বুঝতে পারছি না।
Link:Pixabay
স্মার্টফোন দিয়ে সহজলভ্য ভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে ফলে অনেকে খুব সহজে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের গেমের প্রতি সারা বিশ্বের অনেক মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছে।
যা পুরো বিশ্বের মানুষকে অনেক ভয়াবহ দুর্গতির দিকে নিয়ে আসবে। তাহলে চলুন স্মার্টফোনের ব্যবহারে আমাদের জীবনে সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
Link:Pixabay
স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা
স্মার্টফোনের অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, ছবি তোলা, ভিডিও করা, গান শোনা, যোগাযোগ স্থাপন করা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো।
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য খুঁজে বের করা। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মুহূর্তের মধ্যে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা। অনলাইনে মাধ্যমে এখন সহজে ক্লাস করা। এক স্থান থেকে অন্য স্থানের ম্যাপ খুঁজে বের করা।
Link:Pixabay
বিশ্বের যে কোন প্রান্তের সিনেমা দেখা, ভিডিও গান দেখা, গান শোনা, চিঠির পরিবর্তে টেক্সট করা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছবি আদান প্রদান করা ভিডিও কল করে একে অপরের সাথে কথা বলা। বিভিন্ন অনলাইন সাইট থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা।
Link:Pixabay
স্মার্টফোন দিয়ে অতি সহজে ছবি তোলা, কোন কিছুর ভিডিও করা, কাউকে অতি সহজে কোন ফাইল পাঠানো। স্মার্টফোনের ডিসপ্লে বড় হওয়াতে এখন মানুষ তেমন সিনেমা হলে মুভি দেখতে না গিয়ে এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমেই মুভি দেখে নেয়। বিভিন্ন রকম গেম খেলা যায়। স্মার্টফোনের আরো অনেক সুবিধা রয়েছে যা আমরা ব্যবহার করছি ।
স্মার্টফোন ব্যবহারে অসুবিধা
Link:Pixabay
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আমরা যে কোন কাজ সহজে করতে পারছি, তেমনি এই আধুনিক প্রযুক্তি ভয়াবহ দুর্যোগ নিয়ে আসছে আমাদের জীবনে। স্মার্টফোনে নানান সুবিধা থাকার কারণে আমরা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছি।
Link:Pixabay
তার ফলে আমরা দিন দিন শারীরিক এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।স্মার্টফোনের ডিসপ্লে থেকে নীল রশ্নি বের হওয়াতে আমাদের চোখের ব্যাপক ক্ষতি করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হওয়ায় মানুষ অতি সহজে অন্যায় কাজে লিপ্ত হচ্ছে।
Link:Pixabay
উচ্চ পর্যায়ে নেটওয়ার্ক ২-জি ৩-জি ৪-জি ৫-জি এর কারণে আমাদের মানব দেহের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। স্মার্টফোনে গেম খেলা যায়, আর গেম আমাদের সমাজের ছেলে-মেয়েদেরকে এমনভাবে আসক্ত করেছে যে,যার ফলে লেখাপড়ায় অমনোযোগী তেমন খেলার মাঠে দেখা যায় না খিটখিটে মেজাজ হয়ে যাচ্ছে।
Link:Pixabay
মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া আসক্ত হয়ে পরে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে সোশ্যাল মিডিয়াতেই পড়ে থাকে সারাক্ষণ। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এই ছিল আজকের আলোচনার বিষয় বস্তু। আজ একখানেই শেষ করছি সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।
আর শিশুদের কাছ থেকে যতটা সম্বভ স্মার্টফোন দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।
ধন্যবাদ।
আসলে আমরা যারা স্মার্ট ফোন চালায় তারা সকলে কমবেশি জানে যে এই স্মার্টফোন চালালে আমাদের কি কি সুবিধা হবে এবং কি কি অসুবিধা হবে।
সুবিধা গুলো আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি কিন্তু যে অসুবিধা গুলো হবে সেগুলো আমরা বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকি। যাইহোক আজকে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল ধন্যবাদ আপনাকে
বর্তমান সময়ে সকল শ্রেণীর মানুষ নিজের সুবিধার দিকটাই চিন্তা করে তাতে যদি অন্য কোন দিকে ক্ষতিও হয়ে যায় তাতে কোন যায় আসে না। যেমন সিগারেটের গায়ে লেখা আছে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবুও জেনে শুনে মানুষ এই বিষ আহার করছে। স্মার্টফোন তো আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে আছে। স্মার্টফোন ছাড়া আমরা বর্তমান সময়ে কিছু কল্পনাই করতে পারি না। স্মার্টফোনের এত ব্যাপক সুবিধাগুলো আমাদের জীবনে এমনভাবে মিশে গিয়েছি যা থেকে কখনো বের হওয়া বর্তমান সময়ের সম্ভব নয়। আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
স্মার্টফোন ব্যবহারের ভাল দিকও আছে আবার মন্দ দিকও, কিন্তু বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষ বিশেষ করে যুবকরা স্মার্টফোনের মন্দ দিকটাই বেশি ব্যবহার করছে, অথচ এটা তৈরী করা হয়েছিল ভাল দিক বিবেচনা করেই। আমাদের সকলের উচিত স্মার্টফোনের ভাল দিকগুলোই শুধু ব্যবহার করা। ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য।
স্মার্টফোন ব্যবহারে সুবিধার দিকটাই বেশিরভাগ মানুষ জানে। অল্প সংখ্যক মানুষ অসুবিধার দিকটা জানে। কারণ আমরা যে কোন বিষয়ে যদি কোন সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাই তাহলে পিছনের দিক চিন্তা না করে তার ব্যবহার করতে থাকি । কারণ আমরা সুবিধা পেয়েছি তাই, যদি পিছনে অসুবিধা হয় তাতে আমাদের কোন কিছু যায় আসে না। স্মার্টফোন ছাড়া চলা বর্তমান সময়ে আপনি, আমি বা অন্য যে কেউ ব্যক্তির পক্ষে চলা অসম্ভব। কারণ স্মার্টফোনের ব্যাপক সুবিধাগুলো এমনভাবে আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে গিয়েছে যা থেকে আর কখনো বের হওয়া সম্ভব নয়। স্মার্টফোন দ্বারা অনলাইন সাইট থেকে ব্যাপক আয়ের উৎস হয়েছে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে একে অপরের সাথে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারছি। স্মার্টফোনের এত সহজলভ্যতার কারণে আমরা স্মার্টফোনের সাথে মিশে গিয়েছি। যাই হোক সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিটা জিনিসের ভালো মন্দ দুটি দিক রয়েছে। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তেমন। এটা ঠিক যে স্মার্টফোন আমাদের জীবনকে অনেকখানি সহজ করে দিয়েছে এবং নানা কাজ যেগুলো সহজে এর মাধ্যমে করতে পারি। তবে কোনো কিছুর প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি ভালো নয়। মোবাইল ব্যবহারের নেশায় আমরা আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছি যেটা মোটেও উচিত নয়।
সবকিছুরই ভালো-মন্দ দিক থাকে। তবে আমরা এখন বর্তমান সময়ে ভালোর চেয়ে মন্দের দিকটাই বেশি চয়ন করি। স্মার্টফোন এসে আমাদের জীবনকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনে বিভিন্ন গেমে এমন ভাবে মানুষ আসক্তি হচ্ছে যে ওখান থেকে বের হতে পারছে না। বিশেষ করে শিশুরা এর প্রতি আরো বেশি আসক্ত হচ্ছে। এরপরে লেখাপড়ার ঘাটতি হচ্ছে মানসিক বিকাশ হচ্ছে না। এর কারণে নানান রকম সমস্যা পড়তে হচ্ছে। আমরা সবাই সচেতন হই আর ভালো দিকটাই চয়ন করার চেষ্টা করি তাতেই সকলের জন্য মঙ্গল। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।