SEC17/W3|Experiences come with age or circumstances!
Hello Everyone,,,
নমস্কার বন্ধুরা! প্রতিটা মানুষের জীবন নানা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলমান। এই পরিস্থিতিগুলো কখনও মানুষের চলার পথকে মচ্রিন করে আবার কখনও বাধার সৃষ্টি করে। এই দুইয়ের মিশ্রণেই মানুষের জীবন সামনের দিকে ধাবমান।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পূর্বে আমি এডমিন ম্যামকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সাধ্যমত আজকের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আমি আমার তিনজন বন্ধুকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি- @sifat420 @hafizur46n @isratjahanpriya
পরিপক্ব হলো এমন একটা অবস্থা যেখানে একজন মানুষের শুধুই শারীরিকভাবে কর্মক্ষম নয় সেই সাথে মানসিকভাবেও উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা থাকে।
শুধুমাত্র বয়সের বাড়ার সাথে সাথে শারীরিকভাবে বিকাশ লাভ করলেই তাকে পরিপক্ব বলা যায় না, কেননা আমাদের আশেপাশে ব্যতিক্রম কিছু মানুষ রয়েছে যাদের বয়সের সাথে তাল মিলিয়ে দৈহিকভাবে পূর্নতা তো পায় ঠিকই তবে তাদের মস্তিষ্কের পূর্নতা সাধারণ মানুষের মতো হয় না অতএব সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বা ভালো মন্দের বিচার করার ক্ষমতা থাকে না।
যদি উদাহরণসরূপ বলতে চাই তাহলে, একটা আমের কথাই বিবেচনা করি। যখন একটা আম প্রথম অবস্থায় থাকে তখন সেটি যতই বড় হক না কেন সেটা খাওয়ার উপযোগী হয় না। যখন আমটি পেকে যায় অর্থাৎ খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে তখনই সেটিকে একটি পরিপক্ব আম বলে গণ্য করা হয়।
ঠিক তেমনই পরিপক্বতা বলতে আমি বুঝি, একজন মানুষের জীবনের সেই স্তরে পৌঁছানো যেখানে সে নিজেই নিজের দায়িত্ব নিতে শিখে যায় এবং সকল পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার অধিকারি হয়ে ওঠে। জীবনের এই স্তরে কেউ খুব দ্রুত পৌছে যায় আবার কেউ কেউ অনেক দেরিতেও পৌঁছাতে পারে। তবে যখনই পৌঁছাক না কেন তখনই সে পরিপক্বতা লাভ করবে।
এই প্রশ্নের উত্তরে আমার প্রথম অবস্থানে থাকবে পরিস্থিতি এবং দ্বিতীয় অবস্থানে বয়স।
পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শেখায়।পরিস্থিতি মানুষকে তার জীবনের মানে বুঝতে শেখায়,কে আপন আর কে পর এবং কোনটা সঠিক বা ভুল সেটা জানতে সাহায্য করে অর্থাৎ একজন মানুষকে অভিজ্ঞ করে তোলার পিছনে মূল কারিগর হলো- পরিস্থিতি।
যে মানুষের জীবন যত বেশি প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হবে সে ততবেশি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে। কারন তাকে সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সিদ্ধান্তগুলো কখনও সঠিক আবার কখনও ভুলও হতে পারে তবে ভুল করতে করতে সে একসময় অনেক বেশি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে। তখন সে সহজেই বুঝতে পারবে কোন পরিস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে।
তবে যে মানুষগুলোর আগলে রাখার জন্য বট গাছের ন্যায় তাদের বাবা-মা রয়েছে এবং তাদের কাধে দায়িত্বের ভার শূন্যের কোঠায় তাদের বয়স বাড়লেও অভিজ্ঞতায় শত যোজন পিছিয়ে।
যেমন আমি আমার নিজের কথাই বলি, আমার বলতে কোনো লজ্জা নেই যে আমার জীবনের প্রতিটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এবং যেকোনো কাজ করার পূর্বে বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।এটাই মেনে নেই যে, বাবা-মা যেটা বলবে ওটাই ঠিক তাই কষ্ট করে আমাকে আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো জটিল কাজ করতে হয় না। আর একারনেই অভিজ্ঞতার বিচারে আমার নিজেকে ১০ এর ১ দিতে গেলেও ১০০ বার ভাবতে হবে!
পৃথিবীতে সবার জীবন তো আর আমার মতো দায়িত্বহীনতায় কাটে না। কিছু কিছু মানুষ যাদের উপর মাত্র ২০ বছর বয়সেই যতটা দায়িত্বের ভার পড়ে, হয়ত অনেকেই ৫০ বছরেও ওতটা দায়িত্বশীল হতে পারে না। তাই আমার উওর, অভিজ্ঞতাকে কখনই বয়সের মাপকাঠিতে বিচার করা উচিত হবে না। পরিস্থিতিই মানুষকে অভিজ্ঞ করে তোলে।
শেখার কোনো বয়স থাকে না কথাটার প্রতি আমি সম্পূর্ণ সহমত আর তাই মনে করি যে, বয়স্ক মানুষেরাও আমাদের মতো অল্প বয়সীদের কাছ থেকে সামান্য কিছু হলেও শিখতে পারে।
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া চলা খুবই মুশকিল তবে বয়স্ক মানুষদের এসব উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকাটাই স্বাভাবিক এজন্য এসব বিষয়ে জানার জন্য বাধ্য হয়ে তারা অল্প বয়সী যাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে তাদের সাহায্যে নিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, আমি আমার দাদুর কাছে শুনেছি যে আগে কৃষিকাজ করতে হলে ফসলি জমিতে এত এত ঔষধ, কীটনাশকের ব্যবহার করতে হত না তবে এখন কৃষিকাজে ভালো ফলনের জন্য ঔষধের ব্যবহার করতেই হয়। তবে বয়স্ক মানুষদের হয়ত এসব উন্নত ঔষধ সম্পর্কে তেমন ধারনা নেই তাই তারা অল্প বয়সী কৃষিবিদদের সাহায্য নিয়ে অনেক কিছু শিখতে পারে।
আমি মন থেকেই বিশ্বাস করি যে, বয়স্ক মানুষেরা হয়ত অনেক বিষয়ে আমাদের থেকে বেশি জানে তবে কিছু কিছু বিষয় তাদেরও কম বয়সীদের কাছ থেকে শিখতে পারে।
বয়স ও পরিস্থিতি এদুইয়ের সংমিশ্রণে একজন ব্যক্তি পূর্ণ পরিপক্ব হয়ে ওঠে। বয়স মানুষকে অভিজ্ঞ করে তোলে এটা ঠিক তবে পরিস্থিতি ততোধিক অভিজ্ঞতা অর্জনে সাহায্য করে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Thank you so much.
Like you, I agree that Learning knows no age limits. Therefore, older people can definitely learn from younger ones, especially in a dynamic nature where things keeps changing like when it comes to technology. It is common for older individuals to seek help from younger people who are more knowledgeable about this advanced technologies. Like you have also pointed out clearly, in the field of agriculture, older individuals can benefit from the expertise of young agronomists who are familiar with modern farming practices. Good luck in the contest.
Thank you very much.
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। চ্যালেঞ্জ এর জন্য শুভকামনা রইল। ভাই আপনার পোস্টটা পড়ে দেখলাম আপনি আমাকে মেনশন ভাই আপনার পোস্টটা পড়ে দেখলাম আপনি আমাকে ম্যানশন করেছেন। ভাই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আমি আপনার মেনশন দেখেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারতাছি না কারণ আমার ভয় করে। নতুন ইউজার হয়ে জ্যোতি প্রতিযোগিতায় কোন ভুল করে ফেলাই তাই আমি অংশগ্রহণ করতে পারতাছি না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ভাই প্রথম অবস্থায় একটু সংকোচ বোধ হবে তবে সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে। আর তাছাড়া ভয়ের কিছু নেই, যদি কোনো বিষয় বুঝতে সমস্যা আমাদের এডমিন ম্যামদের সাহায্যে নিবেন, আপনাকে একবার কেন একশবার বুঝিয়ে দেবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য।
আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি সব প্রশ্নের উত্তর গুলো বেশ সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ আপনার প্রশ্নের উত্তর গুলো পড়ে খুবই ভালো বেশ চমৎকার হয়েছে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনার মত maturity হলেো মানুষের এমন একটা অবস্থা যখন সে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম হওয়ার সাথে সাথে মানসিকভাবেও সে পরিপক্ক হবে।
আপনার সাথে আমিও একমত যে, বয়সের সাথে সাথে মানুষ পরিপক্ষ হবে এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিন্তু জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি আমাদেরকে আরো দ্রুত পরিপক্ক করে তোলে।
আসলেই শেখার কোন বয়স নেই।। ছোটরা যেমন বড়দের কাছ থেকে শিখে তেমনি বড়রা ও ছোটদের কাছ থেকে শিখতে পারে। এটা তো আপনি আপনার দাদুর উদাহরণ দিয়েছেন।
আপনি প্রতিযোগিতার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় আপনার সফলতা কামনা করছি।
শুধু বয়সই নয় সাথে শারীরিকভাবে কর্মক্ষম না হলে সে পরিপক্ক হবে না। আমার সাথে আপনি একমত জেনে ভালো লাগলো। শেখার কোনো বয়স নেই। যেকোনো বয়সের মানুষ যেকোনো কিছুই শিখতে পারে। সবার সব কিছু জানা থাকে না এটাই স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।
এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের সিজন ১৭ এর তৃতীয় সপ্তাহে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে সব থেকে একটি কথা খুব ভালো লেগেছে। আসলেই পরিপক্কতা একটা মানুষের মাঝে তখনই বোঝা যাবে। যে শারীরিক এবং মানসিক দক্ষতা নিয়েই যে কোন পরিস্থিতিতে একাই সামাল দিতে পারবে।