Better Life With Steem || The Diary game ||6th February 2024
নমস্কার বন্ধুরা,,,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি তবে খুব ব্যস্ততার মধ্যে আছি। আমি আজ আপনাদের সাথে ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৪ মঙ্গলবার দিনটি কিভাবে পার করলাম সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে, আমাদের বাড়ির পাশে অনুষ্ঠান। তাই তার দিন যত এগোচ্ছে কাজের চাপ ততই বাড়ছে এজন্য সময়মতো পোস্ট লিখতেও পারছি না। তারপরও মাঝে মাঝে সময় বের করে আমার কার্যক্রম আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আজ খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম কারন আজ আমার বাবা একটু দরকারী কাজের জন্য খুলনায় গিয়েছিল তাই বাড়িতে কিছু কাজ ছিলো এজন্য মা একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে ডেকেছিলো আমাকে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েছিলাম। তারপর হাটতে হাটতে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম তখন দেখলাম অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিলে অনেকেই দোকান দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোনো অনুষ্ঠান মানেই তো দোকানের মেলা। একদিন পরই যেহেতু যজ্ঞ এজন্য একদিন আগে থেকেই দোকান বসতে শুরু করেছে।
বাবা যেহেতু বাড়িতে ছিলো না তাই বাড়িতে কিছু কাজ করছিলাম। সকালে মায়ের রান্না শেষ হলে সকালের খাবার খেয়েছিলাম।
একদিন পরই অনুষ্ঠান তাই বাজারে একটু চুল ছাটাতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি অনেক ভীড় তাই আমার চুল ছাটাতে কিছুসময় দেরি হয়ে গিয়েছিলো। চুল ছাটানো শেষ করে বাড়িতে ফেরার সময় সিঙ্গারা কিনেছিলাম। সিঙ্গারা প্রতি পিস ৫ টাকা করে নিয়েছিলো। তারপর খেতে খেতে বাড়ি চলে এসেছিলাম।
আমাদের বাড়িতে মুরগির ফার্ম আছে, সেজন্য প্রতি সপ্তাহে মুরগির খাবার কেনার জন্য খাবার আনতে খুলনায় যেতে হয়।আমি বাড়িতে এসে স্নান শেষ করেছিলাম তখন বাবা ফোন দিয়ে বলল যে বাবা খাবারের গাড়ি নিয়ে প্রায় বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে। গাড়ি থেকে খাবারের অনেক বস্তা নামাতে হবে এজন্য আমি রাস্তায় গিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। একটু পরেই বাবা চলে এসেছিল তারপর গাড়ি থেকে সব বস্তা নামিয়েছিলাম। এই কাজটা প্রতি সপ্তাহে করতে হয়। যাই হোক তারপর বাড়িতে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।
যেকোনো ফুল দেখলে আমি ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারি না কিন্তু এই ফটোগ্রাফিটা আমি করিনি। আমার বাড়ির পাশে এক ছোট ভাইয়ের ফোনে এই ছবিটা দেখে খুব ভালো লেগেছিল এজন্য তার কাছ থেকে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ফুল গাছটার নাম আমার জানা নেই তবে ভাই বলছিলো যে ভাই বলছিলো যে এগুলোকে নাকি মোরগফুল বলে। আপনাদের যদি ফুলটির নাম জানা থাকে তাহলে জানাবেন অবশ্যই। এই ফটোগ্রাফির সম্পুর্ণ কৃতিত্ব আমার ভাইয়ের।
আপনারা জানেন যে যজ্ঞের আগের দিন অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়।অধিবাস শব্দের অর্থ আহবান করা। যেহেতু ফেব্রুয়ারীর ৭ তারিখ যজ্ঞ এজন্য আজ সন্ধ্যায় নাম যঙ্গের অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে।তাই সন্ধ্যার সময় মন্দিরে গিয়েছিলাম। চারিদিকে আলোয় আলোকিত করা হয়েছে দেখলেই মন ভরে ওঠে। বিগত কয়েকদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্যান্ডেল সাজানোর কাজ করেছে এর পিছনে নিয়োজিত লোকজন।
এখনও লোকজন তেমন একটা আসেনি তবে অনেকেই এসেছে।মন্দিরে কিছুসময় ঘোরাঘুরি করার পর বাড়িতে চলে এসেছিলাম।
কিছুক্ষন পর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিলো তখন আবার মন্দিরে গিয়েছিলাম। অধিবাসের শুরু হয়েছিলো মন্দিরের কমিটি বরনের মাধ্যমে। তারপর বিধি মেনে ধাপে ধাপে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছিল।
আপনারা জানেন যে হিন্দু ধর্ম অনুসারীদের যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় কপালে তিলক দিতে হয়। আমাদের বাড়ির পাশের এক দাদার মেয়ে সবার কপালে খুব সুন্দর করে তিলক লাগাচ্ছি। ওকে দেখতে খুব মিষ্টি লাগছিলো তাই ভাবলাম একটা ছবি তুলে রাখি। ছোট বাচ্চাদের মতো নিষ্পাপ চেহারা অন্যকিছুই আর হতে পারে না।
অনুষ্ঠান চলতে থাকে অনেকসময় যাবত। একপর্যায়ে রাত ১২ টার সময় অধিবাস অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয় এবং সকলকে পরবর্তী দিনের সকল কাজের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ধন্যবাদ সবাইকে |
---|
বেশ কয়েকদিন ধরেই আপনার পোস্টে দেখতে পাচ্ছি, আপনারা যজ্ঞ এর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করেছেন। আজকে অবশেষে অধিবাস পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আপনি নিজে অংশগ্রহণ করেছেন, এবং অনেক মজা করেছেন। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য।। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।
খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে ,ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য।
আপনার ছবি দেখলেই বোঝা যায় যে আপনি ছবি তুলতে পছন্দ করেন। সত্যি কথা বলতে ফুলের ছবি তুলতে আমারও অনেক মজা লাগে।
নামযঞ্জানুষ্ঠানের ছবি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধর্মীয় একটি অনুভূতি ও বিশ্বাস আমাদের সকলের মধ্যেই রয়েছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্ট পরে জানতে পারলাম আপনাদের বাড়ির পাশেই একটি অনুষ্ঠানের হওয়ার কথা চলতেছে। আর যতদিন এগিয়ে আসতেছে কাজের চাপ বাড়তেছে এটা হওয়া স্বাভাবিক। আরো বেশি ভালো লাগলো আপনি এরকম ব্যস্ততার মাঝেও এরকম পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে যেকোন উৎসব এর দিন যতই এগিয়ে আসে ততই এক ধরনের উৎসাহ বাড়তে। সাথে কাজের চাপও বাড়তে থাকে ধীরে।
আপনার ক্ষেত্রেও এমনি হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে।
আজকে আপনি চুল কাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে সিঙ্গারা কিনেন একাটা ৫ টাকা দিয়ে।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যা, যেকোনো উৎসবে যেমন আনন্দের মুহুর্ত থাকে তেমনই কাজের চাপও থাকে। সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।।
পাশের বাড়িতে অনুষ্ঠান হচ্ছে ৷ আসলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুনতে কার না ভালো লাগে ৷ তাছাড়াও একটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখলাম ৷ ফুলের ফটোগ্রাফি টা অসাধারণ হয়েছে ৷
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য।
একদিন পরেই অনুষ্ঠান তাই বাজারে গিয়েছেন চুল কাটাতে অনুষ্ঠানে অনেক মানুষ আসবে একটু স্টাইল করা দরকারও তো আছে 😁। যাইহোক ভাই মজা করলাম।
বেশ ভালই লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যক্রম পড়ে আপনার পরবর্তী দিনালিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।
কোনো ব্যপার না ভাই।আমরা তো একটা পরিবারের মতো মজা করবো একে-অপরের সাথে এটা তো স্বাভাবিক। ভালো থাকবেন।