Better Life With Steem || The Diary game ||5th February 2024

in Incredible India5 months ago

নমস্কার বন্ধুরা,,,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সবাই খুব বেশি ভালো আছেন। বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের সামনে ছোট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

20240205_191801_0000.jpg

সত্যি বলতে আজকের দিনটি খুব ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে।নতুন দিন মানেই নতুন চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হওয়া। আমি আজ আপনাদের সাথে ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৪ তারিখ সোমবার দিনটি কেমন কাটলো সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

IMG_20240205_192152_825.jpg

আজ সকালে অবশ্য অন্য দিনের তুলনায় একটু আগে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কারণটা একটু পরে বলছি। ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই ফ্রেশ হয়েছিলাম।

IMG_20240206_121012_276.jpg

ফ্রেশ হয়ে আমি মন্দিরের এখানে গিয়েছিলাম। আগের দিন অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করেছিলো লোকজন তাই দেখতে গিয়েছিলাম যে সাজানোর কাজ শেষ হয়েছে কিনা। সেখানে গিয়ে দেখি মন্দিরে প্রবেশ গেট তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কেমন লাগছে দেখতে অবশ্যই জানাবেন।

IMG_20240205_110909.jpg

আজ সকালে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম কারণ যজ্ঞের আনন্দ বাজারে খিচুড়ি তৈরি করার জন্য গ্রাম থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু একদিন পরই অনুষ্ঠান তাই আগে থেকেই এসব সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা আজ সকালে আমাদের গ্রামের বাড়ি বাড়ি জ্বালানি সংগ্রহ করার কাজে লেগে পড়লাম। এটা আমাদের গ্রামের অনুষ্ঠান তাই সকল কিছুর আয়োজন করার দায়িত্ব আমাদের। এই কাজটি আমরা সকলের নিজের কাজ মনে করে করি।

IMG_20240205_130926.jpg

আপনাদের এলাকায় যজ্ঞের জন্য গ্রাম থেকে জ্বালানি সংগ্রহের প্রচলন আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই,তবে আমাদের এখানে আলাদা করে জ্বালানির জন্য অর্থ ব্যয় না করে আমরা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি থেকে যোগান দিয়ে থাকি।

জ্বালানি তো সব গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা হয় না, এটা শুধু নিজেদের পাড়া থেকে নেওয়া হয়। আমরা এসব সংগ্রহ করছিলাম আর সেখানে রান্না করা হবে সেখানে এনে একত্রিত করে রাখছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজ করতে করতে কখন যে ১২ টা বেজে গিয়েছিলো ঠিকই পাইনি। তারপর সকলে মিলে বাড়িতে খেতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং বাকি কাজ খেয়ে এসে শেষ করবো ঠিক করলাম।

IMG_20240206_121012_780.jpg

খাওয়া শেষ করার পর একটুও বিশ্রাম না নিয়েই সাথে সাথেই আবার কাজে লেগে পড়লাম। কাজ করতে করতে একটা বাড়িতে পেয়ারা গাছ দেখলাম। তাই সবাই মিলে পেয়ারা খেয়েছিলাম। পেয়ারাটা খেতে খুব ভালোই লেগেছিলো।

IMG_20240206_121013_065.jpg

গ্রামের পথ দিয়ে চলতে চলতে দেখি একটা লোক খেজুর গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করছে। এভাবে খেজুরের রস সংগ্রহ করা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়লো। ছোটবেলায় মজা করে কত যে খেজুরের রস চুরি করে খেয়েছি তার ঠিক নেই। যদিও খেজুর রস দেখে খেতে ইচ্ছা করছিলো কিন্তু সাথে অনেক লোক থাকায় আর খাওয়া হয়নি।

IMG_20240206_121012_363.jpg

কাজের ফাঁকে আবার ফুলের ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। আসলে ফুল দেখলে আমি ফটোগ্রাফি না করে শান্ত হয়ে থাকতে পারি না। এজন্য ফুলটি দেখার সাথে সাথে আমি কাছে থাকা ফোনের মাধ্যমে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম, আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমাদের কাজ শেষ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। আজ সারাদিনই এই কাজ করতে করতেই কেটে গিয়েছিলো। আজ দুপুরে স্নান করা ও খাওয়ার সময় হয়নি তাই সন্ধ্যার সময় বাড়িতে এসে স্নান করেছিলাম।

IMG_20240206_131300_733.jpg

স্নান শেষ করে পোশাক পড়ে আবার মন্দিরে গিয়েছিলাম। তখন আমার জেটুর ছেলে মানে আমার দাদা বললো যে ব্যাটমিন্টন খেলা দেখতে যেতে হবে। আমাদের পাশের গ্রামে ব্যাটমিন্টন খেলার একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। যারা ক্লাস ১০ এর নিচে পড়ে তারাই কেবল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আমাদের বাড়ির পাশ থেকে আমাদের দুটো ভাই এই খেলায় অংশ নিয়েছে এজন্য তাদের খেলা দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর দাদা আর আমি মোটরগাড়ি নিয়ে খেলা দেখতে চলে গিয়েছিলাম।

টুর্নামেন্ট শেষ করতে করতে বেশ খানিকটা রাত হয়েছিলো। খুশির খবর হলো আমাদের দুই ভাই টুর্নামেন্টে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলাম। তারপর পুরস্কার নিয়ে বাড়িতে চলে এসেছিলাম।

যেহেতু সারাদিন কাজ করে খুব কষ্ট হয়ে গেছিলো তাই রাতের খাওয়া শেষ করে শুয়ে পড়েছিলাম।

Device NamePoco X4 Pro
Camera64 MP
Shot ByTanay Ray
LocationBangladesh

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
Loading...
 5 months ago 

আপনার বেশ কিছু পোস্টের মাধ্যমে দেখেছি আপনি যজ্ঞের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজকে আপনারা যজ্ঞের জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়েছেন। আসলে একটা গ্রামে অনেক বড় করে অনুষ্ঠান করতে গেলে। অনেক কিছুর দরকার হয়। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

আসলেই আপু গ্রামে একটা কাজ করতে গেলে কতরকম দায়িত্ব যে পালন করতে হয় সেটা বলে বুঝানো যাবে না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য।।

 5 months ago 

আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে মনে হল সারাদিন খুব কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আপনি মন দিয়ে গিয়েছেন। আপনাদের মন্দিরের প্রবেশের গেটটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর খেজুরের রসের কথা তো কোন তুলনাই নেই এরকম খেজুরের রস খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 5 months ago 

শীতের সময় খেজুরের রস খেতে খুব ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 60811.28
ETH 3369.34
USDT 1.00
SBD 2.48