Better Life With Steem || The Diary game || 4th July 2024
Hello Everyone,
আজও সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। আজ কোচিং না থাকায় অনেকটা দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। আমি ইচ্ছা করলে অনেক রাত পর্যন্ত জাগতে পারি তবে সকালে উঠতে গেলে খুব কষ্ট হয়ে যায়। কিছুতেই ঘুম ভাঙ্গতে চায় না।
সকালবেলা |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাসায় সামনের রাস্তায় গিয়ে দেখি জলে ডুবে গিয়েছে রাস্তা। জলের ভিতর দিয়েই লোকজন চলাফেরা করছে। তবে আমাদের গলির রাস্তায় এখনো জল ওঠেনি। অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে তারপরও রাস্তা থেকে জল কমছে না একটুও।
কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করে বাসায় চলে আসলাম। তারপর পড়তে বসলাম। এদিকে ভাই রান্নার কাজ শুরু করে দিলো। রান্না শেষ হলে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। বাড়িতে থাকলে মা বারবার ডেকে ডেকেও সময় মতো খাওয়াতে পারে না কিন্তু বাইরে থাকলে ইচ্ছা করলেও অনেক সময় ঠিকমতো খাওয়া সম্ভব হয় না।
একটানা বৃষ্টির কারনে বাইরে তেমন ঘুরতে যাওয়া হয় না তবে আজ বিকালে বৃষ্টি ছিলো না তাই ভাবলাম যে সবাই মিলে ঘুরতে যাবো। কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিয়ে একত্রিত করলাম।
আপনারা অনেকেই খুলনার হাদিস পার্ক এর নাম তো শুনেছেন। আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দুরে নয় তাই ওখানে যাবো আজ। রাস্তায় যেতে যেতে আমার পছন্দের একটা ফুল গাছের দেখা পেলাম।
ফটোগ্রাফি দেখে আপনারা হয়ত বুঝতে পারছেন যে আমি কোন ফুলের কথা বলছি। কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার অনেক বেশি প্রিয়। গাছে যখন কৃষ্ণ চূড়া ফুল ফোটে তখন সেটা কতটা সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে সেটা আপনারা সকলেই জানেন।
বিকালবেলা |
---|
সবাই মিলে গল্প করতে করতে পৌঁছাতে গিয়ে ১০ মিনিটের পথ যেন ৩০ মিনিট লেগে গেলো। এটা খুব স্বাভাবিক, বন্ধুরা একজায়গায় হলে কার কথা বাদ দিয়ে কার কথা শুনবো এমন অবস্থা হয়। যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে সবাই এজন্য আগের মতো আড্ডা দেওয়া হয় না। জীবনের সোনালী দিনগুলো আমাদের জীবন থেকে এভাবেই বিদায় নেয়।
অনেক দিন পর একসাথে হয়ে সবাই মিলে অনেক হাসিঠাট্টা হলো। জীবনের প্রতিটা ধাপে নতুন নতুন বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপিত হয় তবে আমার মনে হয় স্কুল জীবনের বন্ধুত্বই সব থেকে বেশি মধুর হয়ে থাকে।
এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। কলেজ জীবনেও অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে তবে তাদের সাথে তেমন যোগাযোগ নাই, কোথায় জানি হারিয়ে গিয়েছে কিন্তু স্কুল জীবনের বন্ধুগুলোকে ডাক দিলেই কাছে পাওয়া যায় এখনও।
সন্ধ্যাবেলা |
---|
আজ আমাদের বাসার পাশেই একজনের বিয়ে ছিলো। তাই সকালে থেকে এখানে সবাই নানা কাজে ব্যস্ত ছিলো। তবে বৃষ্টি তাদের কাজে ব্যঘাত ঘটাচ্ছিলো।
আহারে, কতদিন হয়ে গিয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণ খাইনা। যদিও প্রায় একমাস আগে আমার এক বান্ধবীর বিয়েতে নিমন্ত্রণ ছিলো তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে যাওয়া হয় নি আমার।
আপনাদের হয়ত বলেছিলাম যে, আমার একজনকে রক্ত দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু একটা সমস্যার কারনে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। যেদিন রক্ত দেওয়ার কথা ছিলো, সেদিনই আমার বান্ধবীর বিয়ে ছিলো।
বিয়েতে যাওয়ার থেকে রক্ত দিতে যাওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো এজন্য বিয়েতে যায়নি। পরবর্তীতে রক্তও দিতে যেতে হয় নি আর এজন্য বিয়েটাও মিস হয়ে গিয়েছে। যদিও এতে আমার কোনো খারাপ লাগা কাজ করছে না কারন যদি রক্তের প্রয়োজন হতো তাহলে তো আমাকে যেতেই হতো তাই যা করেছিলাম ভেবেই করেছিলাম। অন্তত বিয়েতে গিয়ে আনন্দ ফুর্তি করার থেকে একজনের জীবনের মূল্য অনেক বেশি আমার কাছে।
এভাবেই আমার আরেকটা দিনের কার্যক্রম শেষ করেছিলাম। সকলে ভালো থাকবেন।
আপনি আপানার সারাদিন কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, বন্ধুরা এক সাথে থাকলে সময় কোন দিক দিয়ে অতিবাহিত হয়ে যায় বোঝায় যায় না, বন্ধু ব্যতীত জীবন অসম্পূর্ণ।
বিবাহ এর দাওয়াত খেতে অনেক মজা হয়, বিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ করা যায়।
আপনার দিল্লির মাধ্যমে আজ অনেক দিন পরে কৃষ্ণচূড়া ফুলের দেখা পেলাম এবং আপনার ফটোগ্রাফি দেখতে অসম্ভব সুন্দর ছিলো ভাই। এটা একদম ঠিক কথা যখন ফুল ফোটে থাকে তখন গাছটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে।
এবং আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এটা একদম ঠিক কথায় লিখেছেন যখন আমরা বাড়ি থাকি তখন আমাদের মা অনেক বার বলে থাকে খাবার খাওয়ার কথা কিন্তু বাহিরে থাকলে ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় খাওয়া আমাদের সম্ভব হয়ে ওঠে না যেটা আমি অনুভব করতে পারি।
কৃষ্ণচূড়া ফুল আসলেই অনেক বেশি সুন্দর লাগে দেখতে, মনে হয় তাকিয়ে থাকি। বাড়িতে থাকলে মা ভাত নিয়ে বসে থাকে আর খেতে যাওয়ার জন্য ডাকতে থাকে কিন্তু বাড়ির বাইরে থাকলে সেটা আর হয় না।ভালো থাকবেন।
স্কুল জীবন যেমন মধুময় হয়ে থাকে ঠিক তেমন বন্ধুদের সাথে আড্ডা গুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে স্কুল জীবনে যেমন বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর করে আড্ডা দেওয়া যায় এমনটা হয়তো আর কোনদিনই পাওয়া যায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়টা হয়ত জীবনের সব থেকে মধুর হয়ে থাকে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, খেলাধুলা সব কিছুই হতো তবে এখন আর আগের মতো আড্ডা দেিয়া হয় না, খুব মিস করি সেই দিন গুলো। ভালো থাকবেন।
বাসায় ও বাইরে থাকার মধ্যে অনেক তফাৎ বাসায় থাকলে মা-বাবা খোঁজ খবর নাই আর বাইরে থাকলে নিজের সবকিছু নিজেকেই করতে হয়।। আর হ্যাঁ বৃষ্টি থাকার জন্য বাইরে যাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার।। আর বন্ধুরা এক জায়গায় হলে সময় কোন দেখতে পার হয়ে যায় বোঝাই যায় না।।
আপনি ঠিকই বলেছেন বাড়িতে থাকা আর মা বাবাকে ছেড়ে বাইরে থাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বাড়িতে থাকলে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে এবং মা ভাত নিয়ে বসে থাকে কিন্তু বাইরে থাকলে নিজের রান্না নিজে করতে হবে তারপর খেতে হবে। বৃষ্টির কারনে রাস্তায় জল উঠে যাচ্ছে তাই বৃষ্টি থেমে গেলেও বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বাইরে গেলে মায়ের মর্ম খুব ভালো করে বোঝা যায় ভাই একটু অসুস্থ হলেই মা বারবার খোঁজখবর নাই আর বাইরে থাকলে অসুস্থ যতই হই না কেন নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়।।