Better Life With Steem || The Diary game || 3rd July 2024
Hello Everyone,,,
প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও বৃষ্টি হয়েছিলো তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছিলো। এই গরমের মধ্যেও রাতে বেশ শীত শীত অনুভব হচ্ছিলো।
ঘুম থেকে উঠে দেখলাম,নতুন দিনের মুখ,
এতেই যেন পেলাম, অন্যরকম একটা সুখ।
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তবে শরীরের মধ্যে অস্বস্তি লাগছিলো তাই বাসায় হালকা ব্যায়াম করার চেষ্টা করলাম।
কিছু সময় পড়া শেষ করলাম তারপর সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। আজও আবার মাথা ব্যথা করছিলো তাই একটা অসুধ খেয়ে নিলাম, যদিও সচারাচর অসুধ খাই না। মাথা ব্যথার সাথে সাথে বেশ কয়েকদিন যাবত আবারও চোখে ব্যথা শুরু হয়েছে। চোখের সমস্যার জন্য এমনিতেই চশমা ব্যবহার করি তবে মাঝে মাঝে এমন চোখে ব্যথা করে। এই সময়ে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের দিকে বেশি সময় তাকাতে পারি না। বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করলে চোখে ব্যথা বেড়ে যায়।
আমাদের চারপাশে অনেক প্রাণী, যেমন কুকুরের দেখা পওয়া যায়। প্রকৃত পক্ষে এদের কেনো মালিক থাকে না তাই খাবার খাওয়ার জন্য সব সময় ক্ষুদার্থ থাকে। আজ বাসায় সামনে একটা লোকের কার্যক্রম দেখে সত্যি মন ভরে গেলো। বাসার সামনের গলিতেই দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন এই লোকটা পাত্রে করে ভাত এনে সেখানে থাকা কুকুরকে খেতে দিচ্ছিলো।
এই লোকটাকে মাঝে মাঝে এমন করে খাবার দিতে দেখি তবে আজ ভাবলাম যে, বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
এর থেকেই বোঝা যায় আমাদের আশেপাশের সকলে এক রকম নয়, কেউ কেউ সকলের থেকে ভিন্ন স্বভাবের হয়ে থাকে। এমন কিছু লোকজন আছে বলেই পৃথিবীতে মানবতা শব্দটা বেঁচে আছে।
শহরের নানা জয়গায় রাস্তার ভিতর দিয়ে ইন্টারনেট ক্যাবল বা অন্যান্য ক্যাবলের লাইন করা হয় আর নির্দিষ্ট সময় পর পর এগুলোর পর্যবেক্ষণও করতে হয়। আমার বাসার পাশেও এই কাজ চলছে আর একারনে রাস্তায় লোকজন চলাচলের সমস্যাও হচ্ছে। এগুলো তো আমাদের ভালোর জন্যই করা হচ্ছে তাই ভালো কিছু পেতে হলে একটু কষ্ট তো করতে হবে।
আজ আমার কোচিং ছিলো তাই সময় মতো স্নান শেষ করে রওনা হলাম। আমার বন্ধুর জ্বর হয়েছে তাই সে যেতে পারবে না তাই আমি একাই গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে দেখলাম রাস্তার পাশের জল সরবরাহের ড্রেন নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল উঠে যায় যেগুলোর জন্য সাধারণ জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
মাঝে মাঝে মনে প্রশ্ন জাগে, আমাদের এমন ভোগান্তির পিছনে দোষটা আসলে কার?
সত্যি বলতে দোষটা আমাদের মতো কিছু লোকজনের। সরকার উন্নয়নের কাজ তো ঠিকই করছে তবে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার আর তার পাশাপাশি নিজের আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার দায়িত্ব তো আমাদেরই।
যেখানে রাস্তার ড্রেন সংরক্ষণের কাজ চলছে তার পাশেই দেখলাম মানুষজন ময়লার স্তুপ তৈরি করে রেখেছে। এই জায়গাটা তো ময়লা ফেলার জায়গা নয় তাহলে কেন মানুষজন এখানে ময়লা ফেলছে? এই উত্তরটা আমার জানা নেই।
নতুন নতুন ড্রেন তৈরি করে কি হবে যদি না আমরা সচেতন হই। আমরাই দায়ি আমাদের দুরবস্থার জন্য। যাই হোক, পড়তে গিয়ে পড়া শেষ করে আবারও বাসায় চলে আসলাম।
সকলের প্রতি একটাই কথা বলবো, অন্যকে দোষারোপ না করে যদি আমরা নিজেরাই পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যপারে সচেতন হই তাহলেই উন্নত একটা সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব, নচেৎ বৃষ্টির জলের মধ্যে দিয়েই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হবে।
আসলে আপনি যদি আপনার আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখেন সেটা তো আর সরকারের লোক এসে পরিষ্কার করে দেবেন সেটা অবশ্যই আমাদের পরিষ্কার করে নিতে হবে।
সরকার ময়লা আবর্জনা রাখার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান করে দিয়েছে কিন্তু আমরা সে নির্দিষ্ট কয়জন ময়লা ফেলি বলেন আমরা যে যার মতন সেখানে খুশি সেখানে ময়লা ফেলে রাখি এতে তো আর সরকারের কোন দোষ নাই।
যাই হোক আপনার পোস্টটি আজকে অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা যদি প্রত্যেকেই আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি তাহলে পরিবেশটা এত দূষিত হত না। তবে আমরা সবাই অপরিষ্কার করে রাখি আর এই বিভাবে দায়িত্বরত লোকজন পরিষ্কার করে। সরকার যতই উন্নত করার চেষ্টা করুক না কেন আগে আমাদের মানসিকতা ঠিক করতে হবে।
রাস্তায় বের হলে দুই ধরনের মানুষ দেখতে পাই। এক ধরনের মানুষ রাস্তায় কুকুর বিড়াল দেখলেই মারে। আর এদের সংখ্যাই বেশি । আবার কিছু মানুষ আছে অন্য রকম যারা এদের খাবার ও আশ্রয় দিয়ে থাকে।
ঠিকই বলেছেন আপনি যে, এদের মতো মানুষ আছে বলেই হয়তো মানবতা এখনো বেঁচে আছে।
আপনি একদম আমার মনের কথা লিখেছেন,আমরা ময়লা ফেলার জায়গাতে ময়লা না ফেলে যেখানে সেখানে ফেলবো আর দিনশেষে সরকাকে গালাগালি করবো যে, এরা কোন কাজই করে না।
কিন্তু একটু সচেতন হলেই কিন্তু অনেক ভালো ভাবে থাকা যায়।
সঠিক বলেছেন আপনি, বাইরে বেরোতে দু ধরনের মানুষ দেখতে পাই, যারা যেকোনো প্রাণীর থেকেও হিংস্র। হিংস্র প্রাণী আর তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আর অন্য কিছু মানুষ আছে যারা অনেক মানবিক হয়ে থাকে। তারা অসহায় মানুষ ও প্রাণীর পাশে দাড়ায়। আমার বাসার সামনে এই লোকটা প্রায়ই কুকুরগুলোকে খেতে দেয়।
পৃথিবীতে হাজারো প্রাণী রয়েছে কিছু জনের মালিক থাকলেও বেশিরভাগ জনারি মালিক থাকে না।। আর কিছু কিছু মানুষ রয়েছে এই প্রাণীদের ভালবেসে তাদের খাবার দেয় এটা দেখে সত্যি ভালো লাগে।। আর হ্যাঁ সরকারের জিনিসের আমরা মূল্য বুঝে না আমরা শুধু এর অপব্যবহার করে থাকি।।
আমরা অনেকেই শখ করে বিড়াল বা কুকুরকে লালন পালন করি তবে অন্যান্য প্রাণীগুলোর দিকে খেয়াল রাখা লোকজন খুব কম। তবে কিছু ব্যতিক্রম লোক রয়েছে যারা প্রতিদিন এসব ক্ষুদার্থ প্রাণীদের খাবার দিয়ে থাকে, তারা সত্যি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
আমরা সবাই নিজের ভালো বুঝি তাই নিজের যেটা পছন্দ বা যে প্রাণী লালন পালন করি তারই সেবা যত্ন করে অন্য কোন প্রাণীকে দেখতে পায় না এরকম করা ঠিক নয়।। এরকম অনেক মানুষ আছে যারা পশু পাখিকে খাবার দিয়ে থাকে।।