Better Life With Steem || The Diary game || 29th May 2024
![]() |
---|
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে একটু দেরি তে উঠলেও সমস্যা হয় না। তবে সপ্তাহের অন্যান্য দিন আর বুধবার দিনটি আমার কাছে অনেকটা আলাদা। বাড়িতে থাকলে এই দিনটাতে আমার জন্য কাজের কিছুটা চাপ থাকে। যদিও বেশ কয়েক মাস যাবত বাড়িতে আছি এজন্য এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
![]() |
---|
অন্যান্য বুধবারের তুলনায় আজ বাবা খুব সকাল সকাল খুলনাতে যাবে। আর তাছাড়া বাবা যে গাড়িতে করে খুলনায় যাবে সেটা চলে এসেছে তাই আমার আর শুয়ে থাকলে চলবে না। প্রতিটা দিন মানুষের সমান কাটে না। পারিবারিক পরিস্থিতির কারনে কিছু কিছু দিনে একটু দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়।
আমার তো শুধুমাত্র বুধবারেই বাড়ির কাজের দায়িত্বের ভার কাঁধে পড়ে তবে যারা অল্প বয়সেই বাবা-মায়ের ছত্রছায়ার আড়ালে পড়ে যায় তাদের কথা ভাবলে সত্যি খুব খারাপ লাগে। কিভাবে অল্প বয়সেই তারা পরিবার ও নিজের দায়িত্ব নিতে শেখে? হয়ত এজন্যই সবাই বলে , পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শেখায়।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মুরগির ডিমগুলো বাবাকে সাথে নিয়ে গাড়িতে উঠালাম তারপর খাওয়া দাওয়া করে বাবা খুলনায় চলে গেলো আর মুরগির খামারের দেখাশোনার দায়িত্ব আমার উপর। যদিও আমি তখনও খাইনি, এত সকালে খেতে ইচ্ছা করে না। তবে কিছু কাজ শেষ করে সকাল ১০ টার দিয়ে খেয়ে নিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
সব থেকে বিরক্তিকর বিষয় হলো তখনও কারেন্ট আসেনি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডব তো শেষ হয়ে গিয়েছে তবে ঝড়ের পরবর্তী সময়ে এর ক্ষতি সামলে নেওয়াটা আরও বেশি কষ্টকর। ঝড়ে গাছ পালা ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক তারের উপর সেগুলো না সরিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু করতে পারছে না।
আর তাছাড়া আমাদের এখানে বেশ কয়েক জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়েও গিয়েছে সেগুলো মেরামত করবে কর্মরত লোকজনগুলো তারপর কারেন্ট আসবে। দুপুরের দিকে কয়েকজন লোক এলো এবং বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে থাকা গাছের ডালপালাগুলো পরিষ্কার করছিলো।
তাদের কাছে শুনলাম যে কারেন্ট আসবে কখন? উত্তরে তারা বললো, সব কিছু ঠিক করে কারেন্ট আসতে দেরি হবে। শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো কারন ফোনে চার্জ শেষ হয়ে আসছে।
![]() |
---|
দুপুরে স্নান শেষ করলাম এবং সময়মতো খেয়ে নিলাম। ঘরে শুয়ে ছিলাম তখন আমার জেটিমা আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে ডাক দিলো। আসলে খুলনা থেকে জেটিমার কিছু ঔষধ আনতে হবে। দাদা খুলনাতে থাকে তাই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এর একটা ছবি দাদাকে পাঠাতে হবে। দাদা ঔষধগুলো কিনে আমার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেবে। আমি প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে দাদাকে পাঠিয়ে দিলাম। তারপর কিছু সময় ঘুমিয়েছিলাম।
তবে বেশি সময় ঘুমাতে পারলাম না কারন একটু পরই বাবা খুলনা থেকে বাড়িতে চলে আসলো। তখন গাড়ি থেকে মুরগির খাবারের বস্তাগুলো নামানো এবং বয়ে নিয়ে আসতে হলো। তারপর সেগুলো সাজিয়ে রাখতেও হলো।
![]() |
---|
বিকাল বেলা মাঠে হাঁটতে যাই। বিকালে হাঁটাহাঁটি না করলে দিনের শেষ হয় না আমার। মাঠে কিছুসময় হাঁটাহাঁটি করার পর সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়লাম। পাশে অনেক গরু ঘাস খাচ্ছিলো সাথে অনেকগুলো বাছুর ( ছোট গরু) ছিলো। ছোট বাছুরগুলো মাঠের এদিন ওদিন ছোটাছুটি করছিলো।
কখনও ছুটে আমার কাছে আসছে আবার কখনও দৌড়ে অনেক দুর চলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র মানুষের নয় বরং প্রতিটা প্রাণীর জীবনের সব থেকে সুন্দর মুহুর্ত ছোটবেলাতেই কেটে যায়।
আগেই বলেছি বুধবার আমাদের এখানে কারেন্ট ছিলো না তাই ফোন ব্যবহারও তেমন করতে পারছিলাম না। চার্জ কম থাকায় খুব হিসাব করেই ফোন ব্যবহার করতে হচ্ছিলো, বলতে পারেন একটু কৃপণ হয়ে গেছিলাম।
রাতে খাওয়া শেষ করে রাস্তায় গিয়ে বসে বসে বাড়ির পাশের কয়েকটা বন্ধুর সাথে গল্প করছিলাম। মোবাইল ফোনে চার্জ থাকলে তো আর এখন কাউকে খুজেই পাওয়া যায় না তবে এখন ফোন বন্দ এজন্য সবাইকে একজায়গায় পেয়েছি আজ।
হাতের মুঠোয় মোবাইল থাকলে এর মাধ্যমে যেমন উপকৃত হওয়া সম্ভব তেমনই এর কিছু প্রভাবও পড়ছে বন্ধু মহলে। এখন আর কেউ মাঠে বন্ধুর সাথে খেলে না তার থেকে মোবাইলে গেম খেলতেই ব্যস্ত। এখন আমরা অনলাইনের বন্ধুদের সময় দিতে গিয়ে বাস্তব জীবনে কাছের বন্ধুদের বন্ধুত্ব নষ্ট করে ফেলছি, এটা সত্যি দুঃখজনক।
![]() |
---|
![]() |
---|
আজ সবার ফোন বন্দ হয়ে গিয়েছে তাই একজায়গায় বসে গল্প করার সুযোগ পেয়েছি। তবে হঠাৎ করে এক দাদা বললো যে কাছেই একজন জেনারেটর চালু করবে আর সেখানে ফোন চার্জ দিতে যাবে। তখন আমিও ভাবলাম যে ফোনটা চার্জ দিয়ে আনবো।
সেখানে গিয়ে তো অবাক হয়ে গেলাম। আমাদের মতো অনেকেই এসেছে ফোন চার্জ দিতে কারন কারেন্ট না থাকায় সবার ফোন বন্দ হয়ে গিয়েছে। এত মানুষের মধ্যে কিভাবে চার্জ দেবো? এক কথায় বলতে গেলে যুদ্ধ করে ফোনটা চার্জ করে আনলাম।
এভাবেই আমি আমার আরেকটা দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম। ভালো থাকবেন সবাই।
ঠিক বলেছেন ভাই প্রতিদিন এক সমান যায় না কোন না কোন দিন সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়। আমি এখন বাড়িতে যাই তখন পোল্ট্রি ফার্মের প্রায় সকল দায়িত্বেই কাঁদে নিতে হয়
আব্বু তখন অন্য কাজে সময় দেয়, আমি এখানে টাইম এর কাজ টাইমে করি এবং টাইমে খাবার খেয়ে নেই, কিন্তু বাড়িতে গেলে সকালের খাবার দুপুরে খাওয়া লাগে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনি যে একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি সেটা আমরা সকলেই জানি৷ বাড়িতে গিয়ে আপনি মুরগির খামার ও বাড়ির অন্যান্য সকল কাজে সাহায্য করেন সেটা দেখেছি। বারিতে থাকলে এটুকু দায়িত্ব তো নিতেই হয়।কাজ করতে গেলে অনেক সময় সময়ের খাবার সময়ে খাওয়া সম্ভব হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালে লাগলো।
আসলে মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা প্রকৃতির কাছে কতটা অসহায়। ঘূর্ণিঝড় কেটে যাবার এত দিন পরেও শুধু ইলেক্ট্রিসিটি সমস্যার সমাধান হচভহে না। অন্য যে ক্ষয় ক্ষতি তার কথা না হয় বাদই দিলাম
এটা সত্য যে যেকোন প্রাণি বলেন তাদের ছোটবেলা অনেক সুন্দর হয়। মানুষের বেলাতেও ঠিক একই রকম।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ডায়েরি শেয়ার করার জন্য।
আমরা প্রকৃতির কাছে সত্যিই খুব অসহায়। প্রকৃতি যখন তার ভয়ানক রূন দেখায় তখন কারো কিছু করার থাকে না। আর ঝড় হলে গ্রামের দিকে তো কারেন্টই থাকে না। বেশ অনেক দিন পর কারেন্ট এসেছে। ছোটবেলার মতো মধুর সময় আর হয় না। ভালো থাকবেন।
বুধবারের দিনটা আপনার অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কেটে যায়। এটা আপনার বেশ কয়েকটা দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম থেকে পড়ে নিয়েছিলাম। আসলে আমাদের মধ্যে কিছু অভ্যাস প্রতিনিয়তই থেকে যায়। আমরা কখনোই পরিবর্তন করতে পারি না, শুধু মানুষ নয়। প্রত্যেকটা জীবজন্তু প্রাণী সবার জীবনের ছোটবেলাটা অনেক বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধুদের সাথে কিছুটা সময় পার করতে পেরেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বুধবার বাবা বাড়িতে থাকে না এজন্য আমাকেই সব দিক সামলাতে হয়। সকল প্রাণীর ছোটবেলা সত্যি খুব মধুর হয়ে থাকে। মোবাইল বন্ধ না হলে আজ কাল বন্ধুদের একসাথে পাওয়া যায় না তবে কারেন্ট ছিলো না বিধায় সকলের ফোন বন্দ ছিলো এজন্য সকলকে একজায়গায় পেয়েছিলাম ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে বাবার পরে দায়িত্বটা আপনাকেও নিতে হবে
তাই এখন থেকে কিছু কিছু দায়িত্ব নিজের মাথায় নিচ্ছেন এটা দেখে বেশ ভালই লাগছে। বর্তমান সময়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া খুব কম হয়। কেননা বর্তমান সময়ে সবাই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত কেউ ফেসবুক কেউ ইউটিউব আবার কেউ টিকটক। আগে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেয়া গল্প করা, সবার সাথে মিলেমিশে কিছুটা সময় পার করা। এ বিষয়গুলো অনেক সুন্দর ছিল, কিন্তু বর্তমান সময়ে খুব কম।
পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা সকলেরই আছে তবে কেউ সেটা পালন করে আবার কেউ করে না৷ আগের কার দিনে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম, খেলাধুলা করতাম তবে এখন কার ছেলেদের মাঠে আর খেলতে দেখাই যায় না। সবাই ফোন নিয়ে ব্যস্ত যে যার কাজে। আমি মনে করও এতে বন্ধুত্বের উপর প্রভাব পড়ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
একটি কথা আছে জীবন যেখানে যেমন। পরিস্থিতির মুখে পড়লে সবাইকে সবকিছু মেনে নিতে হয় সব দায়িত্বই পালন করা শিখতে হয়। আপনার জন্য বুধবার টা প্রত্যেক সপ্তাহে ব্যস্ততম একটি দিন।
প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবটা এত প্রবল হবে।আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজও সেদিন আটকে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ের জন্য। আর আপনি ঠিকই বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে যতটা না ক্ষতি হয় তারপরের ক্ষতি সামলে ওঠা আসলে কঠিন।
দিন দিন টেকনোলজি যত উন্নত হচ্ছে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক যেন আস্তে আস্তে লোপ পাচ্ছে। এখন আর বন্ধুদের কোথাও বসে আড্ডা দিতে দেখা যায় না, সবাই যার যার মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সকলের জীবন এক রকম থাকে না। পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শেখায়, শিখতে বাধ্য করে। বাড়িতে থাকলে বুধবার আমার কাজ থাকে বাড়িতে, বাড়ি বাড়ি না থাকার কারনে এমন হয়। ঘূর্ণিঝড় ঝড় তো চলেই গিয়েছে তবে তার ক্ষতি সামলে উঠতে অনেকটা সময় লেগে যদয় মানুষকে।
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে বন্ধুদের সাথে সময় দেওয়াটা অনেকটাই কমে গিয়েছ বিশেষ করে ফোন নিয়েই সবাই ব্যস্ত থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অন্যান্য দিনের তুলনায় বুধবার দিন আপনার খুব সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন, হয়তো আপনার বুধবার দিনে পরিবারের কিছু কাজের চাপ আপনার ঘাড়ের উপরে পড়ে।
কিন্তু আমাদের এই পৃথিবীতে অনেকেই আছে যারা অল্প বয়সে নিজের পরিবারের কাজের চাপ নিজের ঘাড়ে আছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মুরগির ডিম গুলো তুলেছেন। পরে আপনার বাবা খুলনাতে চলে গিয়েছে। সত্যি কয়েকদিন আগের যে ঘূর্ণিঝড়ের কারেন্টের অবস্থা ছিল যা বলার মত নয়। অনেক কষ্ট করেই জেনারেটর দিয়ে মোবাইল চার্জ দিয়েছেন।
সারাদিনে খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
হ্যা, বুধবার দিনটা আমার খুব কাজের মধ্য দিয়ে যায়। বাবা এই দিন খুলনায় যায় এজন্য বাড়ির দিন আমাকেই সামলাতে হয়। যারা অল্প বয়সে বাড়ির দায়িত্ব নেয় তাদের কথা ভাবলে খুব অবাক হই। কিভাবে তারা এত সময়ে এতকিছুর ভার বহন করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই ভাই।বস্তবতা মানুষকে অনেক কিছু শেখায়।বাস্তবতা দায়িত্ব নিতে শেখায়।আপনি খুব ভোরে উঠে কাজ শুরু করেছেন।কিছু খাওয়ার সুযোগও হয়ে উঠেনি।আর কারেন্টের সমস্যা সব থেকে যন্ত্রণাদায়ক।ফোন চার্জে দিতে গিয়েছিলেন জেনারেটরে।সেখানেও মানুষের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করে ফোন চার্জ করতে হয়েছে।আসলে ভাই দুনিয়াটাই এমন
একদমই তাই বাস্তবতা আমাদের অনেক কিছু করতে বাধ্য করে। পরিস্থিতি অনেককেই অল্প বয়সে অনেক দায়িত্ববান করে তোলে। আজ বুধবার ছিলো এজন্য বাড়িতে কাজের সামান্য চাপ ছিলো কারন এদিন বাবা বাড়িতে থাকে না। দৈনন্দিন জীবনে সব কিছু করতে গেলেই কারেন্ট এর প্রয়োজন তাই কারেন্ট ছাড়া একটা দিন কাটানো প্রায় অসম্ভব ব্যপার। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।