Better Life With Steem || The Diary game || 24 March 2024
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকের পোস্টটিতে আমি আমার নতুন একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরতে চলেছি। চলুন তাহলে আজকের পোস্টটি শুরু করা যাক---
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গিয়েছিলো। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার একটা কারনও আছে অবশ্য। মূলত কাল রাতে ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো। কাল রাতে দেরি করে ঘুমানোর আসল কারন হলো, কাল রাত ১ টার সময় ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে একটা ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আর এজন্য আমি একজন ফুটবল ফ্যান হিসাবে আমার তো ম্যাচটা দেখতেই হবে আর বিশেষ করে ব্রাজিলের ম্যাচ হলে তো কথাই নাই। তাই ম্যাচটা শেষ করে রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে ৩ টা বেজে গিয়েছিলো এজন্য আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো।
দেরি হয়েছে বলতে যে দুপুর বেলায় ঘুম থেকে উঠেছি বিষয়টা তেমন না, প্রায় ৯.৩০ মিনিট নাগাদই ঘুম থেকে উঠেছিলাম তারপর ফ্রেশ হয়ে রাস্তা থেকে কিছু সময়ের জন্য ঘুরে বাড়িতে এসে সকালের খাবার খেয়েছিলাম।
সময়ের সাথে সাথে মানুষের অভ্যাস গুলোরও অনেক পরিবর্তন আসে। মানুষ অভ্যাসের দাস । মানুষ যে কাজটা বারবার করবে সেটাই তার অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে। একটা সময় অনেক বেশি রাত জাগতে পারতাম।
সারারাত জাগলেও শরীরের উপর তেমন কোনো প্রভাব পড়ত না, তবে বর্তমান সময়ে রাত জাগার অভ্যাস নাই বললেই চলে। এজন্য কাল রাতে ঘুমাতে একটু দেরি হওয়ার কারনে কেমন জানি ঘুমের ভাবটা কাটছে না ভালো ভাবে।
পশ্চিম কোনে হালকা একটু জোরে হাওয়া বইলেই আমাদের বাড়িতে ঝড়ের মতো বাতাস লাগে। যদিও ঝড়ের দিনে অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায় তবে গরমের দিনে বিষয়টা বেশ উপভোগ করার মতো। আজ সকাল থেকেই জোরে হাওয়া বইছিলো আর দিনের বেলায় যেহেতু বেশ গরম পড়ছে তাই বাড়ির পাশের বাগানটায় দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ হীন বাতাসের স্বাদ নিচ্ছিলাম।
এখন আমরা গরমের হাত থেকে বাচতে অধিকাংশ মানুষই বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহার করি, তবে সত্যি বলতে এই কৃত্রিম বাতাসে আমার তৃপ্তি হয় না।
দুপুরে সময় স্নান ও ভাত খেয়েছিলাম এবং দুপুরে কিছুসময় ঘুমানোর পরই রাতে না ঘুমানোর অভাবটা দুর হয়েছিলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মাঠে হাঁটতে গিয়েছিলাম, যদিও এই সময়ের মধ্যে বাড়িতে ছোটখাটো কিছু কাজও করেছিলাম তবে সেগুলো বলার মতো আহা মরি তেমন কিছু না এজন্য আর উল্লেখ্য করলাম না।
আজ বিকালে মাঠে হাঁটতে গিয়ে কেন জানি খুব ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করছিলো। তাই ঠিক করলাম আজ সূর্যাস্ত থেকে শুরু করে রাত নেমে আসা পর্যন্ত প্রতিটা মুহুর্তের ফটোগ্রাফি ধারন করবো।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। যখন সূর্যি মামা পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়লো তখন ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে এই দৃশ্যটা ধারন করেছিলাম।
সূর্যাস্তের পর অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগেই চাঁদ মামার আগমন ঘটলো। সবই যেন একটা নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ।
রাত বাড়ার সাথে সাথে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোর প্রখরতা বাড়তে থাকে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট এই অপরূপ সৌন্দর্য্যের শেষ ফটোগ্রাফিটা ধারন করে আমি বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলাম।
Device Name | Poco X4 Pro |
---|---|
Camera | 64 MP |
Shot By | Tanay Ray |
Location | Khulna,Bangladesh |
আমাকে আর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি আপনার পুরো পোষ্টটিকে সাজিয়ে তুলেছেন। এ কারণে পড়তে ও দেখতে বেশ ভালো লাগলো। আপনি ফুটবল খেলার অনেক বড় ভক্ত এটা আপনার পোস্ট পড়ে জানলাম। আমি একটা সময় খেলা দেখলেও এখন বিভিন্ন কারণে ও সময়ের অভাবে আর খেলা দেখা হয় না। শুধুমাত্র বাংলাদেশের খেলাই দেখি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যা আমি ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলা দেখতে খুব ভালো। আজ যেহেতু অনেকদিন পর ফুটবল ম্যাচ ছিলো তাই না দেখে পারলাম না। আজ আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি আর সেগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য।।
পোস্টটি পরে বেশ ভালো লাগলো এবং জানতে পারলাম আজ বিকালে ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করছিলো, তাই ধান খেতের গিয়ে এই সূর্য পশ্চিম আকাশে ডোবার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর ছিল।।
আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাদের ভালো লাগলেই নিজের কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আপনার তোলা ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে চাঁদের ছবিটি অসাধারণ। কাল সকালে ঘুম থেকে ওঠার ব্যাপারে কি বলবো ভাই, আমার নাম সকাল হলেও শেষ কবে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছিলাম তা মনে নেই।
ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ডের ফুটবল ম্যাচ টি আমরা দেখার ইচ্ছা ছিল ভাই। কিন্তু ডিউটি করার পরে শরীরে আর রাত জাগার এনার্জি হয় না। বেশি রাত জাগলে বর্তমানে সকালবেলা কারো ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে হয় না। আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।