Better Life With Steem || The Diary game ||22th January 2024
Hello Everyone,,,
নমস্কার বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা রাখি সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ২২ জানুয়ারি ২০২৪ দিনটি কিভাবে পার করলাম সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক,,,
আমাদের গ্রামে মহানাম যঙ্গানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে কিছু দিন পর। তাই সেই উপলক্ষে আজ আমাদের পাশের গ্রামে কালেকশন করতে যাওয়ার কথা ছিলো।সবাইকে তাড়াতাড়ি বের হতে হবে এজন্য মাকে সকাল সকাল ডেকে দিতে বলেছিলাম কারন আমি এতসকালে ঠিক নাও পেতে পারি এজন্য।
মা সকাল সকাল আমাকে ডেকে দিয়েছিলো। তারপর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে শীতের পোশাক পড়ে রাস্তায় একটু হাটাহাটি করেছিলাম। যদিও অন্যদিনের মতো কুয়াশা খুব বেশি ছিলো না তবে প্রচন্ড শীত ছিলো।
তারপর মায়ের রান্না শেষ হলে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে নির্দিষ্ট স্থানে সবার সাথে একত্রিত হওয়ার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লাম।প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করেও আমাদের গ্রামের কয়জন বেরিয়ে পড়েছিলাম।
সেখানে গিয়ে দেখি অনেকেই এসেছে আবার অনেকে এখনও এসে পারেনি। কিছুসময় পর সবাই চলে আসেছিলো তারপর আমরা প্রায় ৯ টার দিকে পাশের গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলাম।। আমরা মোট ১৫ জন ছিলাম।।
যাই হোক, আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম তখন একটা বাড়িতে দেখা পেলাম বিড়াল মশাইয়ের। তার গায়ে একটু হাত বুলিয়ে একটা ছবি তুলে নিলাম।আসলে বিড়াল আমার খুব প্রিয়।
বিড়ালের মালিক বলল যে,এই বিড়ালটি কালো এজন্য এর মালিক নাকি একে ফেলে দিয়েছিলো। তারপর ইনি নিয়ে এসেছিলো। মানুষ যে সৌন্দর্যের পাগল এটা তারই প্রমাণ।।
সবাই মিলে কাজ করলে একটু কষ্ট হলেও সেটা কষ্ট মনে হয় না। কালেকশন কার্যক্রম করতে করতে একটা বাড়িতে অনেক ফুলে সমারোহ দেখতে পেলাম। ফুল দেখবো আর আমি ফটোগ্রাফি করবো না সেটা তো হতে পারে না। আপনাদের দেখানোর উদ্দেশ্য কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।আশা করি, আপনাদের ভালো লাগছে।
ওখানে দেখা পেলাম একটা ছোট বাচ্চার। তার সাথে কথা বললাম, নাম শুনলাম। ছবিতে যে ছবিগুলো দেখছেন এগুলো নাকি তার পোষা গরু। তার দাবি সে তার পোষা গরুর দেখাশুনা করছে।
আসলে বাচ্চাদের মন যে কতটা সরলতায় ভরা সেটা তাদের স্বভাবেই বোঝা যায়। বাচ্চাটার সাথে কিছু সময় মজা করলাম তারপর তার ফটোগ্রাফি করে তাকে বিদায় জানিয়ে চলে আসলাম।।
বেলা যখন প্রায় ৩ টা বাজে তখন আমরা দোকান হালকা কিছু খাবার খেয়েছিলাম। সেগুলোর ছবি তোলা হয়নি এজন্য শেয়ার করতে পারছিনা।।
প্রায় ৫ টার মধ্যে আমাদের কার্যক্রম শেষ হয়ে গিয়েছিলো তারপর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলাম।
বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে কিছুসময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম। তারপর সন্ধ্যার আগমুহূর্তে রাস্তার দিকে বেরিয়েছিলাম।তখন দেখি চাঁদমামা মাথার উপর উঁকি দিচ্ছে তখন তারও একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
তারপর কমিউনিটির কিছু পোস্ট পড়ছিলাম আর কমেন্ট করছিলাম। এভাবে নিজের কার্যক্রম শেষ করেছিলাম।।
সকালে কুয়াশার মাঝে কিছু সময় হাটাহাটি করে মায়ের রান্না শেষে সকালের রান্না করেন।
আজকে আপনাদের পাশের গ্রামের এক বাড়িতে মহা যজ্ঞানুষ্ঠান থাকার কারনে সেখানে আপনাদের কালে
কশন করার জন্য যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ঠান্ডা বেশি থাকার কারনে লেট করে বের হন।
গাদা ফুলের ছবিগুলো সুুন্দর হয়েছে। বিড়ালটা কালো বলে ফেলে দিয়েছিলো জেনে আমারও খারাপ লাগলো।
আমি নিজেও খুব বিড়াল ভালোবাসি।
বাচচাটার গরু দেখে মজা পেলাম।আসলে বাচচাদের মন খুব সুন্দর হয় আর ওদের নিজস্ব একটা কল্পনার জগত আছে।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই বাচ্চারা কল্পনার জগতে বাস করে আর সেই কল্পনার জগতটা খুব আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মতামত করার জন্য।।।
অবশ্যই ঠিক মানুষ সৌন্দর্যের পাগল। কিন্তু সেই সৌন্দর্য কত দিন টিকে থাকে। সেটা একজন মানুষের দিকে তাকালে হয়তো আরো বেশি ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। যৌবন বয়সে একজন মানুষের সৌন্দর্য কতটুকু, আর বৃদ্ধ বয়সে কতটুকু। তার তফাৎ হয়তোবা আমরা একটু হলেও আন্দাজ করতে পারি।
ছোট বাচ্চারা তাদের মনের ভাব বিভিন্ন ভাবেই প্রকাশ করে, এভাবে যে তারা গরুগুলো দেখাশোনা করছে। এটাও কিন্তু তাদের একটা কল্পনা। ধন্যবাদ স্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
ঠিকই বলেছেন, সৌন্দর্য কতদিনই বা থাকে তারপরও মানুষ ঐ সৌন্দর্যটাই খোজে। বাচ্চাদের মন পৃথিবীর সবথেকে পবিত্র।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।।
কালো বিড়ালের তো আরো ডিমান্ড বেশি হয়। জানিনা কেন এই বিড়ালকে ফেলে গিয়েছিলো।
বাচ্চাটা এগুলো কে গড়ু বানিয়ে খেলছে দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণ ছিল
বাচ্চারা তো কল্পনার জগতে বাস করে।
আমার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্যেও শুভকামনা। ভালো থাকবেন সব সময়।
ফুলের ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে ৷ আরো দেখলাম ছোট বাচ্চারা কিসে যেনো দড়ি বেধে রেখেছে সেগুলো নাকি তাদের পোষা গরু ৷ ঠিক আমরাও যখন ছোট ছিলাম এভাবে কলার ডেগু গুলা কেটে দড়ি বেধে পোষা গরু মনে করে খেলতাম ৷
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷
ছোট বেলায় ফেলে আসা দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি এখন।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য।।।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার মন্তব্যে রিপ্লে দেওয়ার জন্য ৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷ ভালো থাকবেন 🧡
ঠিকই বলেছেন, আমরা যখন ছোটো ছিলাম তখন আমরা কল্পনার জগতে বাস করতাম। ধন্যবাদ আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মতামত করার জন্য।।।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার মন্তব্যে রিপ্লে দেওয়ার জন্য ৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷ ভালো থাকবেন 🧡