Better Life With Steem || The Diary game || 22th August 2024
নমস্কার বন্ধুরা!
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আপনাদের মাঝে নতুন আরও একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোস্টটিতে আমি আপনাদের সামনে আমার নতুন একটা দিনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক -
প্রতিদিনই রাত জাগা হচ্ছে এজন্য সকালে মা বাবা কেউ ডাকছে না ঘুম থেকে ওঠার জন্য। যতই রাতে জেগে থাকি না কেন সকাল ৮/৯ বাজতে বাজতেই ঘুম ভেঙে যায় আর কিছুতেই শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে না। ঘুম থেকে উঠে হাতে ব্রাশ নিয়ে সবজি ক্ষেতে গিয়েছিলাম।
বৃষ্টির কারনে সবজি ক্ষেত সতেজতা ফিরে পেয়েছে। মিষ্টি কুমড়া গাছে অনেক ফুল ধরেছে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো। মিষ্টি কুমড়া ফুলের বড়া খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কে কে মিষ্টি কুমড়া ফুলের বড়া খেয়েছেন সেটা অবশ্যই জানাবেন। মায়ের রান্না শেষ হলে সকালে সময় মতো খাবার খেয়ে নিলাম।
বাড়িতে নেটওয়ার্ক ভীষণ সমস্যা করে মাঝে মাঝে তাই ভালো ভাবে কোনো কাজ করা যায় না। তাই মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। সকালে খাওয়া শেষ করে রাস্তায় আসলাম, সেখানে দেখি একজন ধান রোপন করার জন্য ধানের পাতা নিয়ে যাচ্ছে গাড়িতে করে। আমরা যে চাল থেকে ভাত রান্না করি সেটা কৃষক অনেক কষ্ট করে উৎপাদন করে।
প্রথমে ধানের বীজ থেকে পাতা তৈরি করা হয়। এই পাতা রোপন করে ধান উৎপাদন করার পর সেই ধান কেটে মাড়াই করে তারপর শুকিয়ে ধান থেকে চাল এ রূপান্তর করা হয়। এই সম্পূর্ণ কার্যক্রমটা কতটা পরিশ্রমের সেটা কৃষক খুব ভালো জানে।
কিছু সময় রাস্তায় হাঁটাহাটি করে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখি সিড়ির উপরে অনেক গুলো তাল রেখে দিয়েছে। তাল থেকে শাস বের করার জন্য সেগুলো ধুয়ে রেখে দিয়েছে। তাল আমার খেতে ইচ্ছা করে না তবে তালের বোড়া খেতে খুব ভালো লাগে। যাদের বাড়িতে তাল গাছ নেই তারা বাজার থেকে কিনে আনে আর অঞ্চল বিশেষে এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। যাই হোক, দুপুরের স্নান সেরে নিলাম। শুয়ে শুয়ে ইউটিউবে নিউজ দেখছিলাম। বাংলাদেশে অনেক জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ এই দুর্যোগের শিকার হয়েছেন। তাদের অবস্থা দেখে সত্যি খুব খারাপ লাগছে। বাড়ি ঘর সব ভেসে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
বিকালে বাড়িতে কোনো কাজ থাকে না সচারাচর। তাই রাস্তায় হাঁটতে গিয়েছিলাম। মাঠে সকলে কাজ করছিলো। তখন দাঁড়িয়ে কিছু সময় তাদের কাজ দেখলাম। বিলে গেলে আমার জোকের ভয় লাগে ভীষণ। জোকের কথা মনে পড়লে ছোটবেলার একটা স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
একবার পুকুরে স্নান করতে গিয়ে পায়ে জোক লেগেছিলো আর সেটা দেখে আমি কান্না করছি আর বাবা বাবা বলে ডাকছি। এখন বড় হয়েছি ঠিকই তবে এখনও জোকের ভয় লাগে। যাই হোক, সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় ছিলাম তারপর বাড়িতে চলে আসলাম। এভাবেই আমি আমার দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম।
বর্ষাকালে বৃষ্টির জন্য গাছ পালা গুলো যেন নতুন জীবন ফিরে পায়। আপনার পোস্টে কুমড়ো গাছে ফুলটা দেখতে অসাধারণ লাগছে ।কিন্তু কুমড়ো ফুলটা বোধ হয় চাল কুমড়ো গাছে ফুল। সত্যিই বাংলাদেশের এইরকম দুর্যোগের অবস্থা দেখে খুব খারাপ লাগছে। আমাদের এখানে কিছুদিন পর জন্মাষ্টমী।তাই তালের দাম প্রায় ২০০ টাকা করে। ঠিকই বলেছেন বর্ষাকালে অনেক ধরনেরই পোকামাকড় দেখা যায়। শুনেছি নাকি জোক খুব সাংঘাতিক। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।
কুমড়া ফুলের বড়া আমি খেয়েছি !কতবার যে খেয়েছে তার কোন হিসেব নেই! কুমড়া গাছ থেকে ফুল তুলে এনে বড়া খেয়েছি । আর বিয়ের পর বাজার থেকে কিনে এনে খাই। তবে অনেকদিন যাবত ফুলের বড়া খাওয়া হয় না ।বৃষ্টির দিনে গরম গরম ভাতের সাথে কুমড়া ফুলের বড়াদারুন লাগে।
এখন ভাদ্র মাস। ভাদ্র মাসে তাল পাকেএই সময়টা পাকা তাল ও তালের বড়া খাওয়ার সময় পাকা ।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।সবুজ ধান ক্ষেতের দৃশ্য দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।