Better Life With Steem || The Diary game || 18th June 2024

in Incredible India2 months ago
20240618_015751_0000.jpg

Hello Everyone,,,

ঈদের সময় ছুটি পেলে সবাই বাড়ি তে আসে। আমারও কোচিং এ বন্দ দিয়েছে দু দিন আগেই, ভেবেছিলাম বাড়িতে আসবো না তবে মা বারবার ফোন দিয়ে বাড়িতে আসতে বললো তাই বিগতদিন রাতে বাড়িতে আসছি। বাসায় একা ছিলাম আর একা বাসায় থাকলে বাড়ি থেকে মা বাবা একটু বেশি চিন্তা করে।

সকাল হতে না হতেই বাইরে রোদ অনেক বেশি থাকে এজন্য বিকালে রওনা হয়েছিলাম কিন্তু বাড়ি আসতে আসতে রাত হয়ে যায়। বাড়িতে এসে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম এবং বাইরে পায়চারি করতে লাগলাম।

IMG_20240618_001239_261.jpg
IMG_20240618_001238_670.jpg

কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছিলাম তখন নার্সারি থেকে ড্রাগন গাছ কিনে এনেছিলাম এটা হয়ত আপনারদের মনে রয়েছে এবং বাড়িতে এসে ড্রাগন গাছ দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম।

গেলো বার খুলনা যাওয়ার সময় দেখেছিলাম নতুন করে শাখা প্রশাখা বের হচ্ছে তবে মাত্র এ কদিনে সেগুলো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ড্রাগন গাছের ডালপালাগুলো খুব দ্রুত বড় হয় এটা আগেই শুনেছিলাম আমি আর এবার স্বয়ং নিজেই সেটার প্রমান পেলাম।

ড্রাগন গাছ ও ফুল গাছের আশেপাশের জায়গাটা পরিষ্কার করলাম এবং ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। ভেবেছিলাম বাড়িতে হয়ত গরমের পরিমান কম হবে এখন মনে হচ্ছে আমার ভাবনাটা সম্পূর্ণটাই ভুল ছিলো। খুলনার থেকে বাড়িতেই গরম বেশি লাগছে এজন্য সারাদিন বাড়িতেই অবস্থান করেছি, অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাইনি।

IMG_20240618_001238_341.jpg
IMG_20240618_001238_759.jpg

একটা সময় বাড়িতে বসে বসে একঘেয়েমি হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তার পাশের বট বৃক্ষের ছায়ায় অবস্থান করলাম, এটাকে যেন ঠিক স্বর্গ মনে হচ্ছিলো। বটবৃক্ষের ছায়া সাথে বাতাসও ছিলো, এই গরমে আর কি লাগে, বলেন তো।

আমাদের আশেপাশের অনেকেই কথার মাঝে বটবৃক্ষকে উদাহরণ হিসাবে দাঁড় করায়। যেমন - অনেকেই বলে বাবা মা, বটগাছের ন্যায় শত কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে সারাজীবন আগলে রাখে।

কেন বটগাছের উদাহরণ দেওয়া হয় সেটাও বুঝতে পারলাম আজ, বটবৃক্ষ এত প্রখর রোদ সহ্য করেও আমাদের শীতল ছায়া প্রদান করে ঠিক যেমনটা বাবা মা হাজারও কষ্ট সহ্য করে থাকে তার সন্তানের সুখের জন্য।

IMG_20240618_001238_407.jpg

এই পৃথিবীটা যে সবার জন্য সুখের স্থান নয় সেটা এই মানুষগুলোকে দেখলে বোঝা যায়। না আছে থাকার কোনো বাসস্থান, না পারে সময় মতো খেতে, যখন যেখানে মনে হয় চলে যায়, যখন যেখানে ইচ্ছে হয় সেখানে ঢলে পড়ে থাকে। আমাদের আশেপাশে এমন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়।সত্যি বলতে এই মানুষগুলোকে দেখলে নিজের জীবন নিয়ে আর কোনো অভিযোগ করার সুযোগ পাই না।

আমাদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নই। আমরা তো তবুও নিজেদের ভালো মন্দের বিচার করতে পারি, সময় মত তিনবেলা খেতে পারি কিন্তু আমাদের আশেপাশে যে কত অভাগা আছে যাদের চিন্তা করার মতো ক্ষমতাটুকুও নেই তাদের কথা একবার ভেবে দেখি না, আমরা আছি শুধু নিজেদের অভিযোগ নিয়ে।

আমার মনে হয় এই মানুষগুলোর থেকে আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা নেওয়া উচিত কারন এনাদের থেকে একটু হলেও উন্নত জীবন অতিবাহিত করছি আমরা। একটাই কথা বলবো, এই মানুষগুলোকে দেখে অন্তত আমাদের নিজের অবস্থানে সন্তুষ্ট থাকা উচিত।

IMG_20240618_001238_497.jpg

চার দেয়ালে বন্দী থাকলে খোলা আকাশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায় না তবে আজ অনেক দিন বাদে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত আকাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পেলাম। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, ভালো থাকবেন।

END
Sort:  
Loading...
 2 months ago 

ঠিক বলেছেন মা-বাবা হচ্ছে বড় গাছের ছায়া যেটা সবাইকে রোদ থেকে বাঁচায় , যারা ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার ছায়া পায় না তারা এই মেয়ে এরকম হয়ে যায় ।

ঠিক বলেছেন আশেপাশে দেখতে দেখলে মনে হয় পৃথিবীতে সবথেকে সুখী আছি আমরা তাই আমারও কোন অভিযোগ দেওয়ার থাকে না

আমরা মত তিন বেলা খেতে পারি যারা আমাদের আশেপাশে আছে তারা তিনবেলা খেতে পারে না খুব কষ্টে দিন যাপন করে।

ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

 2 months ago 

বাবা মা সারাজীবন কষ্ট করে সন্তানের মঙ্গল কামনায় ঠিক তেমনই বটগাছ আমাদের প্রশান্তির ছায়া দিয়ে থাকে। এই গরমের মধ্যে বটগাছের ছায়ায় অনেক শান্তি লাগছিলো তাই বেশ কিছু সময় ওখানে বসে ছিলাম।

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। আমরা যদি নিজেদের নিয়ে অভিযোগ করি তাহলে এই মানুষগুলো কি করবে। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাই, মা বাবারা খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের মঙ্গল কামনার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করে, সন্তানটা সুখে থাকে ।

ঠিক বলেছেন ভাই রোদ্দে হাঁটার পর কোন গাছের নিচে বা ছায়াতে দাঁড়ালে শরীরটা অনেক শান্তি অনুভব করে।

কিছুক্ষণ রেস্ট নিলে ই মনে চায় ওঠে নেই বসে ঘুমিয়ে যায়। এটাও ঠিক বলেছেন ভাই আমরা যদি নিজেদেরকে নিয়ে অভিযোগ করি মানুষগুলো আসলে কি করবে কোথায় যাবে কি খাবে।

ধন্যবাদ আমার এত সুন্দর কমেন্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

 2 months ago 

মা বাবা আসলেই বটবৃক্ষের মতন সন্তানদের ছায়া প্রদান করেন। দিন দিন গরমের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বৃষ্টি না হলে ফ্যান ছাড়া এক মুহুর্ত থাকা যায় না। এই গরমের জন্য দায়ী নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা। আমাদের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখে গাছ। আর কিছু মানুষ লাভের আশায় এই অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটাই কেটে ধ্বংস করছে।
আমিও আপনার সাথে একমত ভাই অসহায় মানুষগুলোকে দেখলে তখন আর নিজের জীবনের প্রতি কোন অভিযোগ থাকে না। তখন মনে হয় অনেক ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের যা আছে তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। আর সাধ্যমত এসকল মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আমিও সেটাই মনে করি যে, বাবা মা আমাদের সারাজীবন বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখে। কারেন্ট ছাড়া এক মুহুর্ত টিকে থাকা কঠিন। এখন ফ্যানের বাতাসই আমাদের ভরসা।অনেক দিন পর আজ বৃষ্টি হলো বেশ শান্তি লাগছে। আপনি ঠিকই বলেছেন, তাপমাত্রা বাড়ার পিছনে আমরাই দায়ি কাটন আমরা অযথা গাছ কেটে ফেলছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, আর এই খুশি টুকু প্রিয়জনদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আমার মনে হয় ,সকলে রক্তের টানে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যায় ।আপনিও তাই ঈদের আনন্দ আপনজনদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য গ্রামের বাড়ি এসেছেন ।

আমার জানা ছিল না ড্রাগন গাছ সত্যি এত দ্রুত বৃদ্ধি পায় , আপনার পোস্টটি পড়ে তা জানতে পারলাম ।আমারও খুব শখ ড্রাগন গাছ লাগানো ।
সত্যি গ্রামের বাড়িতে মুক্ত হওয়া ভালোই লাগে ।শহরে যানজট, ধুলাবালি দূষিত বাতাস থেকে দূষণমুক্ত পরিবেশ শুধুমাত্র গ্রামে পাওয়া যায়। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে একরকম তৈরি করেনি। সবাইকে মানুষ হিসেবে তৈরি করলেও তাদের কর্মফলের জন্য হয়তো বিভিন্ন স্থানে আজ তারা।
কেউ বিশাল দালানকোঠার ভিতরে থাকছেন আবার কেউ থাকছেন আবার কেউ খুবই কষ্টে কুঁড়ে ঘরেও থাকছেন ।আসলে এটা সম্পূর্ণই সৃষ্টিকর্তার হাতে ।তারপরও অনেকে চেষ্টা করেন, সেই কুঁড়েঘর থেকে নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য।
রাতের ছবিটি সত্যি দুর্দান্ত ছিল ।এক কাপ চা হাতে নিয়ে মুক্ত আকাশ দেখার মত আনন্দ তুলনা হয় না । সুন্দর এই ছবিটি দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা ।

 2 months ago 

আপনার সাথে আমি পুরোপুরি সহমত যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য সকলে পরিবারের সাথে একত্রিত হয় কারন পরিবারের সাথে আনন্দ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আমিও আগে জানতাম যে ড্রাগন ফল গাছ এত দ্রুত বেড়ে ওঠে তবে আমি যেহেতু নিজেই লাগিয়েছি তাই তার প্রমান নিজেই পেয়েছি। গ্রামের মতো বিশুদ্ধ বাতাস শহরে পাওয়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

্মানুষের সভাবই হচ্ছে যে যেই যায়গায় থাকে সেই যায়গায় তার জীবঙ্কে নিয়ে অভিযোগ করা, কিন্তু আমরা যদি আমাদের চারপাশের মানুষের দিকে তাকাই তাহলেই দেখা যায় অনেকে আমাদের থেকেও খারাপ পরিস্থিতে আছে, তখন তো অফিযোগ না করে শুকড়িয়া আদায় করা উচিৎ ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59304.77
ETH 2534.68
USDT 1.00
SBD 2.41