Better Life With Steem || The Diary game ||15th February 2024
" সারাদিনের কিছু মুহুর্ত"কেমন আছেন সবাই? আশা করছি, আপনারা সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আমি আপনাদের সাথে আমার বিগত দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার চেষ্টা করা যাক,, আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম কারন আজ বৃহস্পতিবার, বাবার খুলনায় যাওয়ার দিন। আমাদের বাড়িতে মুরগির খামার আছে এজন্য সপ্তাহে একদিন বাবাকে খুলনায় যেতে হয়। কারন বিগত সপ্তাহের সকল ডিম বিক্রি করে পরবর্তী সপ্তাহের জন্য মুরগির খাবার নিয়ে আসতে হয়। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে না হতেই একটু পরই ট্রাক চলে আসে তখন ভ্যানে করে ডিমগুলো ট্রাকের কাছে নিয়ে যাই এবং বাবা খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তখন বাড়িতে এসে সকালের খাবার খেয়েছিলাম। বাবা বাড়িতে না থাকলে সেদিন আমার বেশকিছু দায়িত্ব পড়ে। সকাল থেকে আমার কর্তব্যগুলো পালন করে দুপুরে সময়মত স্নান করেছিলাম এবং দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।তারপর যখনই একটু শুয়েছি তখনই মনে পড়ল যে আজ আমার বাজার করতে যেতে হবে। আজ যেহেতু বাবা বাড়ি নেই তাই আমাকেই যেতে হবে। তখন একটা ক্লান্তি ভাব নিয়ে প্রস্তুত হয়ে বাজারের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলাম।বাড়ি থেকে রওনা হওয়ার পূর্বে মায়ের কাছে তার প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা শুনে নিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে বাজারে ভ্যান গাড়িতে যেতে ৫/৬ মিনিটের মতো সময় লাগে। বাজারে গিয়ে আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা শুরু করেছিলাম। যদিও বাজার করার ক্ষেত্রে আমি যে খুব দক্ষ সেটা বলবো না তবে যেদিন বাবা বাড়িতে থাকে না সেদিন এই দায়িত্বটা আমাকেই পালন করতে হয়। বাজার করতে বেশ অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। বাজার করা শেষ হলে বাড়ি ফেরার সময় লক্ষী মায়ের পূজার জন্য প্রসাদ কিনেছিলাম। প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষী ব্রত করা আমাদের পরিবারের একটা রীতি। পূজার জন্য পাকা কলাও কিনেছিলাম যদিও ব্যস্ততার জন্য সেগুলোর ছবি তুলতে মনে ছিলো না। সবকিছু কেনা শেষ হলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য যখন মনস্থির করেছি তখন মনে মনে একবার ভেবে নিলাম যে কোনো কিছু কিনতে বাকি থেকে গেলো কিনা। যাই হোক এবার বাড়ি ফেরার পালা। বাড়িতে বাজার নিয়ে আসতে না আসতেই বাবা ফোন করে জানালো যে গাড়ি নিয়ে প্রায় বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে এজন্য আমাকে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে কারন একা একা তো এতগুলো (মুরগীর খাবার) বস্তা নামানো সম্ভব না তাই আমাকেও সাহায্য করতে হয়। ফোনটা রেখেই আমি রাস্তায় চলে গিয়েছিলাম এবং বাবা আর আমি সবকাজ একসাথে শেষ করেছিলাম। সব কাজ শেষ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা আগত। তখন বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু হাটতে বেরোলাম।
প্রতিদিন বিকালে হাঁটাহাঁটি করা আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে,আর আমি মনে করি বিকালে হাঁটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। কিছুসময় হাঁটাহাঁটি করে বাড়িতে চলে আসলাম। আজকের মতো এখানেই আমি আমার কার্যক্রম শেষ করলাম।ভালো থাকবেন সবাই।
|
---|
দিদি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য।
এতগুলো ডিম দেখে আপনাদের মুরগির খামারে মোট কতগুলি মুরগি আছে জানার ইচ্ছা রইলো। আমাদের বাড়িতেও প্রতি বৃহস্পতিবার করে লক্ষ্মী ব্রত করা হয়। আমিও বিকেলবেলায় প্রত্যেকদিন কিছুক্ষণের জন্য হাঁটতে বের হই। এটা আমারও অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
প্রথমেই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। আমাদের খামারে প্রায় ৪৫০ টি মুরগি আছে এবং এগুলো থেকে প্রতিদিন ৪০০ এর মত ডিম সংগ্রহ করা হয়।
আপনাদের ঐ দিকের বাজারের দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর ৷ বাজারে বিক্রেতা গুলা জিনিস পত্র নিয়ে বসে আছে মাটিতে এই দৃশ্য টা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আসলে বাজার করা সবার দ্বারা হয় না।। যারা নিয়মিত বাজার করে তারা ভালোভাবে বাজার করতে পারে।। আর আপনার বাসায় মুরগির ফার্ম রয়েছে সেটা আমার জানা ছিল না। আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।