Better Life With Steem || The Diary game || 13th August 2024
প্রতিদিন ই ভাবি আজ রাতে সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়বো তবে কোনো ভাবেই ঘুম আসে না। মোবাইল বন্দ করে পাশে রেখে দিলেও ঘুম আসতে চায় না। শুয়ে শুয়ে এপাশ- ওপাশ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। আজ সকালেও বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। মায়ের একটাই কথা- সময় মতো খেতে হবে। সময় মতো খাওয়া তারপর অন্য কাজ। খাওয়া আর স্নান করা নিয়ে আমি এখনও বকা শুনি।
সকালবেলা |
---|
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দেখি মা খাবার নিয়ে বসে আছে। তখনই সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। বৃষ্টির কারনে রাস্তাঘাট কাদা হয়ে গিয়েছে আর তাছাড়া ইঁটের রাস্তাও ভিষণ পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছে। খাওয়া শেষ করার কিছুক্ষণ পর রাস্তায় এসে খুব খারাপ একটা খবর শুনলাম। আমাদের বাড়ির পাশের একটা লোক পড়ে গিয়ে তার পা মচকে গিয়েছিলো এবং তাকে সাথে সাথে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স রে করে দেখা যায় তার পা ভেঙে গিয়েছে।
এখন তার পায়ের চিকিৎসা চলছে। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে ধরা পড়েছে যে তার পায়ের হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গিয়েছে। তাই এখন তাকে ভারতে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসার জন্য। হসপিটাল থেকে তাকে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। একটা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আরও একটা সমস্যা ধরা পড়লো। যত দ্রুত সম্ভব তার ছেলেকে নিয়ে সে ভারতে যাবে চিকিৎসা করানোর জন্য। আশা করি, সে সুস্থ হয়ে উঠবে।
রাস্তার পাশের দোকানে সকলে মিলে গল্প করছিলাম। সেখানে হঠাৎ করে একজন কাঁকড়া বিক্রেতা আসলো। সে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কাঁকড়া ক্রয় করে এবং অন্য জায়গায় বিক্রি করে। তার পাত্রে বেশ বড় বড় কাঁকড়া ছিলো। কাঁকড়া আমার ভীষণ প্রিয় তবে আমার এলার্জি থাকার কারনে সচারাচর খাওয়া হয় না। কাঁকড়াগুলো নাকি ১২০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেছে এবং সে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করবে। শুনে একটু অবাকই হলাম এবং বুঝলাম যে বেশ ভালজনক ব্যবসা এটা। যাই হোক, দোকান থেকে বাড়িতে এসে দুপুরে সময় মতো স্নান সেরে নিলাম।
বিকালবেলা |
---|
বিকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখলাম যে আমাদের এখানে আমার দিদি ( বড় জেটুর মেয়ে) এসেছে। আমার বড় জেটু ভারতে থাকে আর দিদির বিয়ে বাংলাদেশে হয়েছিলো। বিপদ যখন আসে তখন হয়ত একসাথেই আসে। দিদি মোটরগাড়িতে উঠে যাচ্ছিলো, বৃষ্টির কারনে রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পড়ে গিয়ে দিদির বুকের পাজড়ে আঘাত পেয়েছে এবং এক্স রে তে ধরা পড়েছে বুকের একটা হাড় ভেঙে গিয়েছে। আমাদের এখানে একজন ভালো ডাক্তার আছে তার কাছে দেখানোর জন্য এসেছে। কি বলবো ভাষা পাচ্ছি না, বিপদ যেন একটার পর একটা লেগেই রয়েছে। জীবনের প্রতি বিরক্তভাব চলে এসেছে।
রাত্রিবেলা |
---|
হাজারও মন খারাপের মাঝেও কিছু কিছু মুহুর্তের কারনে মন ভালো হয়ে যায়। এই প্রাণীগুলোর কিছু কিছু কাজ কর্ম এতটা ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকে যে সেটা দেখলে না চাইলেও মুখে হাসি ফোটে। আমি যেখানে যাবো আমার পিছন পিছন তারও সেখানে যেতেই হবে। রাতের বেলায় আমি যতবার কলঘাটে যাবো আমার সাথে সেও যাবে, জোর করেও তাকে বাড়িতে রেখে যেতে পারি না। দেখুন ইঁটের উপর দিয়ে কত সাবধানে আসছে। এই ভালোবাসার না কোনো তুলনা হয় না।
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
@sduttaskitchen ম্যাম, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে সমর্থন করার জন্য। আমি চেষ্টা করবো নিজের সবটুকু দিয়ে সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, আসলে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।