Better Life With Steem || The Diary game ||12th February 2024
Hello Everyone,,,
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি, সবাই নিজ নিজ পরিবারকে সাথে নিয়ে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় একটি দিনের কার্যক্রম শেষ করে নতুন একটা দিনের সূচনা করেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বিগত দিনটি কেমন কাটলো সেটার ধারণা দেওয়া চেষ্টা করবো।
প্রতিদিন সকালে ঘুৃম থেকে একটু দেরিতে উঠলেও আজ আর হয়নি।আজ মাকে সঙ্গে করে নিয়ে ব্যাংকে জরুরি একটা কাজে চালনা যেতে হবে এজন্যই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। অবশ্য আমি যখন ঘুম থেকে উঠেছি তখন মা রান্না শেষ করে পূজার কাজ করছিলো।
![]() |
---|
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে একবারে স্নান শেষ করে নিলাম এবং সকালের খাবার খেয়েছিলাম।তারপর যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম এবং একটু পরই মা আর আমি চালনার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
![]() |
---|
আগে কোথাও যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে অনেক দুর স্টান্ডে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হতো কিন্তু এখন বাড়ির পাশ থেকেই গাড়ি পাওয়া যায় ফলে কষ্টও কম হয় আর সময়ও বেচে যায়। গাড়িতে উঠে ২৫-৩০ মিনিট পরে পানখালি ফেরিঘাটে পৌছালাম।তারপর নদী পার হয়ে আবার একটা গাড়িতে উঠলে ২০ মিনিট এর ভিতর চালনা পৌঁছে যাই। বাড়ি থেকে চালনা যেতে অবশ্য খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়ে না।
চালনায় পৌঁছে প্রথমেই ব্যাংকে চলে গিয়েছিলাম। মূলত ব্যাংকে একটা ডেবিট কার্ডের আবেদন করেছিলাম কিছুদিন আগে সেটাই নিতে এসেছি আজ। ব্যাংকের নির্দিষ্ট কাজ শেষ করে তারপর মাকে নিয়ে কিছু কেনাকাটার জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। মায়ের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে কিনতে বেশখানিকটা সময় পার হয়েছিলো। সব কাজ শেষ করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলাম।
![]() |
---|
আমরা যখন বাড়িতে আসছিলাম এর মাঝে একবার বাবার ফোন এসেছিলো।বাবা শুনছিলো যে আমাদের বাড়ি আসতে কতসময় লাগবে? বাবার সাথে কথা বলা শেষ করার ৩০-৪০ মিনিটের ভিতর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম।
ওহ বাড়িতে আসার পথে বাবার জন্য কিছু খাবার কিনে এনেছিলাম। আসলে আমি বাইরে কোথাও গেলে বাড়ি আসার সময় বাবা খাবার নিয়ে যেতে বলে আমাকে।। আর তখন মা বাবার একটু দুষ্টামি শুরু হয়ে যায়। মা তখন বাবাকে বলে,,,
মা: আপনি কি ছোট বাচ্চা যে কোথাও গেলেই আপনার জন্য খাবার আনতে হবে??
বাবা: আমি তো তোমাকে বলিনি। যাকে আনতে বলেছি সে তো কিছু বলছে না।
মা-বাবার এই একে অপরকে খোঁচাখুঁচি কিছুসময় চলতে থাকে আর এসব দেখে আমার শুধু হাসি পায়। সত্যি বলতে জীবনের এই ২২ টা বছরে বুঝতে শেখার পর আমি কখনও আমার মা-বাবাকে ঝগড়া করতে দেখিনি।
যাই হোক, বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। খাওয়ার পর এই আবহাওয়ায় কেন জানি খুব ঘুম পায় এজন্য কিছু সময় ঘুমিয়েছিলাম।
![]() |
---|
ঘুম থেকে উঠে দোকানে গিয়েছিলাম। আচ্ছা বলেন তো এই ছোট বাচ্চাটা ছেলে নাকি মেয়ে?? আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত ভাবছেন যে মেয়ে কিন্তু না এ হলো ছেলে।
আমি খোজ নিয়ে জানলাম যে, ওর বোনকে এই ধরনের জামা কিনে দিয়েছিলো ওর বাবা আর সেটা দেখে এর খুব পছন্দ হয়েছে এবং বায়না করেছে যে ওকেও কিনে দিতে হবে। ওর বাবা-মা কোনোভাবেই ওকে বুঝাতে পারছে না যে এটা ছেলেদের পোশাক না। তাই অনুপায় হয়ে ওকেও এই জামাটা কিনে দিতে হয়েছে।
এজন্যই হয়ত সবাই বলে, বাচ্চাদের মন হলো সব থেকে পবিত্র এবং সহজ-সরল। আমি ওর ছবি তুলছিলাম এটা বুঝতে পেরে আমার সামনে থেকে চলে গিয়েছিল আর আসছিলো না।
![]() |
---|
![]() |
---|
দোকানে কিছুসময় থাকার পর রাস্তায় হাটতে বেরিয়েছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। এটা হলো বাজ বরন গাছ এটা সেজ গাছ নামেও পরিচিত।
কিছুসময় রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করার পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিলো। তখন বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে |
---|
Device Name | Poco X4 Pro |
---|---|
Camera | 64 MP |
Shot By | Tanay Ray |
Location | Bangladesh |
চমৎকার একটি ব্যাপার যে আপনি কোথাও গেলে আপনার বাবা তার জন্য আপনাকে কিছু আনতে বলেন। এটা নিয়ে আপনার মা বাবা বেশ খুনসুটি করেন। ব্যাপারটা সত্যিই খুবই মজার। যে বাচ্চার ছবি দিয়েছিলেন আমিও শিওর ছিলাম একটি মেয়ে। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে জানলাম যে না! সে ছেলে। আসলে এই জন্যেই বলে বাচ্চারা অবুঝ ও নিষ্পাপ হয়। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।
ঠিকই বলেছেন, বাচ্চারা নিষ্পাপ। আপনার কাছে আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মতামত করার জন্য।
আপনার অভ্যাসটা দেখছি আমার মত, আমিও কোথাও গেলে বাড়িতে আসার সময় অল্প পরিমাণে হলেও খাবার নিয়ে আসি। কেননা আমার কাছে মনে হয় বাড়িতে যারা রয়েছে। তারা অবশ্যই বাইরের খাবার খাওয়ার ইচ্ছাটা, আমার কাছে প্রকাশ করতে চেয়েও করেনা। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমরা চাইলেই যে যার মতো বাইরে থেকে খেয়ে আসতে পারি,কিন্তু বাড়িতে সবাই একসাথে খাওয়ায় এক অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়।মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টে ছেলের ছবিটির কাহিনি আমার খুব ভালো লাগলো। কি পরিমাণ জিদ থাকলে তার বাবার থেকে তার পছন্দের মেয়ের পোশাক কিনে নিতে পারে সেয়াতা আমি কিছুটা কল্পনা করতে পারছি।
ছোট বাচ্চারা এমনই হয়।ভালো থাকবেন,ভাই।