Better Life With Steem || The Diary game || 12 April 2024
নমস্কার বন্ধুরা!
আশা করি, সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। বেশ অনেক দিন পর এখন কাজের চাপ থেকে একটু মুক্তি পেলাম। যাই হোক, আজকের এই পোস্টটিতে আমি আপনাদের সাথে আমার নতুন একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
ঠাকুমা আমাদের ছেড়ে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছে ১৩ দিন পার হয়ে গেলো। দেখতে দেখতে যে কিভাবে এতটা দিন পার হলো বুঝতেই পারি নি। আজ তার শ্রাদ্ধশান্তির কাজ করতে হবে। তাই আজ সারাদিনই খুব ব্যস্তার মধ্যে কাটবে সেটা আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম।
তাই আজ খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম এবং ফ্রেশ হয়ে, স্নান সেরে আসলাম। মজার ঘটনা হলো, অশৌচের কারনে এই ১৩ দিন নিরামিষ খাওয়ার ফলে আমার ওজন আরও ১.৫ কেজি কমে গিয়েছে। শ্রাদ্ধ্য করার সময় সাদা বস্ত্র তথা ধুতি পরতে হয়। ধুতি পরার কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যারা সব সময় পরে তাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তবে আমি তো কখনও পরিনা এজন্য অভ্যাসও নেই।
তবে আমার দাদু যখন বেঁচে ছিলো তখন প্রয়োজন হলে দাদু খুব সুন্দর করে আমাকে পরিয়ে দিত। আজ যখন আবারও ধুতি পরার সময় প্রয়োজন পড়ছে তখন দাদুর কথা খুব মনে পড়ছিলো আর ভাবছিলাম যদি দাদু বেচে থাকত তাহলে পরিয়ে দিত আমাকে আর কষ্ট করতে হত না।
আজ আমাদের দুটো শ্রাদ্ধশান্তির কাজ করতে হবে কারন একই দিনে আমাদের বাড়ির দুজন আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। ইন্ডিয়াতে আমার এক জেটিমা স্ট্রোক করেছিলো সেজন্য বিকাল ৪ টার দিকে এবং আমার ঠাকুমা একই দিনে রাত ২.৩২ মিনিটে পরলোক গমন করেছে। ঠাকুমা না হয় বয়সের কারনে কিন্তু অন্যজন স্ট্রোক করার কারনে যেটা মেনে বেিয়া সত্যিই কষ্টদায়ক!
বেশ অনেক সময় লাগলো সব কাজ শেষ করতে। তারপর এবছরের প্রথম তরমুজ খেলাম। যদিও তরমুজ আমি পছন্দ করি না তবুও বছরে এক দুদিন তো খেতেই হয়। এজন্য এক পিস খেয়েছিলাম কিন্তু কষ্টের ব্যপার হলো তরমুজটি তেমন ভালো হয়নি খেতে। সহজভাবে বলতে গেলে একটুও মিষ্টি হয়নি। আর মিষ্টি না হওয়ার পিছনে কিছু লোভী কৃষকরাই দায়ী কারন তরমুজ দ্রুত পাকানোর জন্য বিভিন্ন রকম ঔষধ দিয়ে থাকে যেটার কারনে তাড়াতাড়ি পেকে তো যায় তবে মিষ্টি হয় না খেতে।
পোস্টের শুরুতেই বলেছিলাম যে বাড়িতে আজ কাজের খুব চাপ কারন আজ গ্রামের ও আত্মীয় স্বজনদের নিমন্ত্রন করা হয়েছে। প্রায় ১৩০০ মানুষের আয়োজন করা হয়েছে তাই সেসব ব্যবস্থাপনার পিছনে পরিশ্রম করতে হচ্ছে। সব কিছু যোগার-যন্ত্র করতে হচ্ছে। আর যেহেতু অনেক বড় আয়োজন তাই দায়িত্বও অনেক বেশি।
রান্না করা ক্ষেত্রে অনেক ধরনেরই মসলার প্রয়োজন হয় তাই সেগুলো অনেক বেশি পরিমানেই কিনে আনা হয়েছে যেন কম না পড়ে এজন্য। তাই এখন সেই পরিমানে বেশি অংশটুকু আলাদা করে রাখতে হবে। তখন আমি ওজন মাপার মিটারের মাধ্যমে সবগুলো পরিমানমতো আলাদা করে রাখলাম এবং পরিমানটা লিখে রাখলাম।
এর মাঝে কিছু প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটার জন্য বাজারে সুখদাড়া বাজার গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে এটাই আমাদের কাছের এক মাত্র বাজার। বুনারাবাদ, সুখদাড়া, গরিয়ারডাঙ্গা, খলসিবুনিয়া এই গ্রামগুলোর মাঝামাঝি জায়গায় এই বাজারটি অবস্থিত। তাই এই গ্রামগুলোর মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় সকল কেনাকাটার জন্য সুখদাড়া বাজারেই যেয়ে থাকে। যাই হোক, আজ বাজারে লোকসংখ্যা খুবই কম ছিলো কারন বিগতদিন ঈদ ছিলো তাই হয়ত এটাই কারন হতে পারে। আমি দ্রুত আমার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাড়িতে চলে আসলাম।
সকল কিছু রান্না শেষ হলে সবার মাঝে খাবার বিতরন করা হয়। এজন্য দুপুর থেকে রাত ৮-৯ টা পর্যন্ত সময়ে কাজের চাপ আরও বেশি ছিলো কারন কোথাও যেন কোনো ত্রুটি না থেকে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখাটা জরুরি। সৃষ্টি কর্তার কৃপায় সবকিছু খুব সুন্দরভাবে শেষ হয়েছিলো তারপর ফ্রেশ হয়ে বাড়ির সবাই মিলে নিজেরাও খাওয়া শেষ করলাম। ততক্ষণে শরীর ভীষণ ক্লান্ত ও ভেঙে পড়েছে তাই কিছু গোছানোর কাজ শেষ করেই ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই খুব ব্যস্ততার সাথে দিনের কার্যক্রম গুলো শেষ করলাম।
ভাই আমরা সকলেই জানি আপনি একজন পরিশ্রমি মানুষ। এর আগেও আপনার বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। আজকেও তার প্রমান পেলাম। তেরশো লোককে ভালোভাবে আপ্যায়ন করা কিন্তু বিরাট চ্যলেঞ্জিং কাজ। আপনি সেটি পেরেছেন। সকলের সহায়তা নিয়ে সুন্দর করে অনুষ্ঠানটি পার করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
আপনার আগামী লিখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন ভাই।
মানুষের মন জয় করা সত্যিই খুব কষ্টের কাজ, একটু এলোমেলো হলেই সবার মনে দাগ কেটে যায় তাই চেষ্টা করেছি সবার মন জয় করার। হ্যা অবশ্যই এটা খুব বড় চ্যলেঞ্জিং কাজ তবে ভালো ভাবে সবকিছু শেষ হয়েছে এটাই সুখবর।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এভাবেই হঠাৎ করেই প্রিয় মানুষগুলো আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। তবে তাদেরকে ভুলে থাকার জন্য কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে শক্তি দিয়ে থাকে। তাইতো আমরা তাদেরকে ভুলে গিয়ে, আবারও নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি।
ধুতি সবাই পড়তে পারে না এটা আমি জানতাম ।আপনিও পারেন না, কিন্তু আজকে যখন ধুতি করতে গেলেন তখন আপনার দাদুর কথা খুব মনে পড়ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন। এছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। অনেক মানুষের খাবারের আয়োজন করেছেন। যার কারণে কাজের চাপ থাকবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যাক আলহামদুলিল্লাহ সব কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন, জানতে পেরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
অনুষ্ঠানের কারণে আপনি বেশ পরিশ্রম করেছেন অবশ্য এটা আমার কাছে ভালো লাগে, এতে করে হয় কি কাজ জানা থাকলে শেখা থাকলে যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে তাই সবকিছু সামলে নেওয়া যায়।।।
যদিও আপনি বলছেন তরমুজটা মিষ্টি ছিল তবে আমার কিন্তু দেখে লোভ লেগে গিয়েছে এত সুন্দর কালার।। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।
পরিবারের কেউ মারা গেলে বুঝাই যায় না সময় চলে গেছে। আমার মা মারা গেছে গত জুলাই মাসে কিন্তু মনে হয় এইতো সেদিন।
একই দিন পরিবারের দুইজন সদস্য মারা যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক একটা ঘটনা।
১৩০০ মানুষের আয়োজন করাটা তো অনেক বড় ব্যাপার।
আর এর জন্য খাটাখাটনিও করতে হয় অনেক। এর উপর যে গরম পড়েছে।
তারপরও পুরো ব্যাপারটা যে ভালো মত সম্পন্ন
হয়েছে এটাই সুখের বিষয়।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকুন সব সময় শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার দাদী মারা যাওয়ার ১৩ দিন হয়ে গেলো আজকে তাহার শ্রাদ্ধশান্তি ৷ আর শ্রাদ্ধশান্তি আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগলো ৷ আপনার দাদীর আত্নার শান্তিকামনা করছি উপরে যেন তাকে ভালো রাখেন ৷
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দিনটি আপনার জন্য শুভ হোক ৷
আমাদের সবাইকে একদিন না একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে। আপনার বাসায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেশ ব্যস্ততার মাঝেই দিন পার করেছেন। প্রিয় মানুষগুলো চলে গেলে খুব খারাপ লাগে কিন্তু কিছুই করার থাকেনা।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।