Better Life With Steem || The Diary game || 10th February 2025
আবহাওয়া আর জীবনের পরিস্থিতি কখন যে কোন দিকে মোড় নেয় সেটা কেউ বলতে পারে না। আকাশের দিকে তাকিয়ে হয়ত কখনও কখনও আবহাওয়ার পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে অনুমান করা যায় তবে মাঝে মাঝে এমনও সময় আসে যখন রৌদ্রজ্বল আকাশও নিমিষেই কালো মেঘে ছেয়ে যায়।
জীবনের পরিস্থিতিও ঠিক তেমনই, এখন হয়ত সুখে আছি তবে খানিক পরে কি হবে সেটা কারোর জানা নেই। মানুষের নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন একটা কাজ। মন কখন যে কি চায় সেটা অনেক সময় সে নিজেও বুঝতে পারে না। এখন হয়ত সাদা পছন্দ, তবে একটু পর কালো ভালো লাগে!
যাই হোক, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। বাইরে অনেক বেশি কুয়াশা পড়ছে আর সেই সাথে ভীষণ ঠান্ডা। হাঁটতে হাঁটতে দোকানে গিয়েছিলাম এবং এক কাপ চা খেলাম। শীতের সকালে চা খেলে শরীরের ভেতরটা অনেকটা চাঙ্গা হয়ে যায়। প্রতিটা জিনিসের ভালো মন্দ দুটো দিক রয়েছে৷ চায়েরও ভালো দিক রয়েছে আবার অতিরিক্ত চা খাওয়াও শরীরের জন্য ভালো নয়৷ আমাদের এলাকায় একটা লোক রয়েছে যে দোকানে বসে থাকলে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর এক কাপ চা খেয়ে থাকে। লোকটাকে দেখে আমার সত্যি অবাক লাগে।
![]() |
---|
বাড়িতে এসে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর পড়তে বসলাম। কয়েকদিন আগে ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়েছিলাম কলেজে। হঠাৎ করেই হয়ত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে দিবে এজন্য পড়াশুনার পিছনে সময়টা একটু বাড়াতে হবে।
কিছু সময় পর বাজারে কিছু জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলাম। মূলত কিছু রঙ্গিন কাগজ কেনার জন্য গিয়েছিলাম। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কি করবো সেটা আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টেই তুলে ধরবো। বাড়ির পাশের দোকানগুলোতে রঙ্গিন কাগজ পাচ্ছিলাম না এজন্য বাধ্য হয়ে বাজারে আসতে হলো।
দুপুরের স্নান সেরে খাবার খেয়ে নিলাম। যদিও বেলা এখন আগের থেকে অনেকটাই বড় হয়েছে তাই দুপুরে ভীষণ ঘুম পায়। তবে কখনও কখনও ঘুমাই আবার কখনও অন্য কাজে ব্যয় করি। তবে আজ কোনো কাজ না থাকায় কিছু সময় ঘুমিয়েছিলাম।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রাস্তায় হাঁটতে গিয়েছিলাম। অনেক দিন যাবত আমার সেই পছন্দের রাস্তায় যাওয়া হয় না। তাই আজ সেখানে গিয়ে কিছু সময় হাঁটাহাটি করলাম এবং চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করলাম।
কেউ ধান ক্ষেতে সেচ দিতে ব্যস্ত আবার কেউ মাঠে বেঁধে রাখা গরুগুলোকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছে। মানুষ সারাদিন যেখানে নিজের কাজ করুক না কেন দিনশেষে সকলেই বাড়িতে ফিরে আসে তেমনই এই গরুগুলো সারাদিন মাঠে থাকার পর সন্ধ্যার সময় আবারও ঘরে ফিরে যায়।
বিকালে যখন বাইরে গিয়েছিলাম তখন সাধারণ একটা গেঞ্জি পরেই গিয়েছিলাম তবে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে বেশ ঠান্ডা লাগতে শুরু করলো তাই বাড়িতে চলে আসলাম। এভাবেই আমি আমার দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম।
আপনার পোস্টটি পরে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। জীবনের পরিবর্তনশীলতা এবং আবহাওয়ার মত মন ও যে কখন কিভাবে পাল্টে যায় সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আপনি। সকালের চা এর রুচি এবং রঙ্গিন কাগজ কেনার জন্য বাজারে যাওয়া এসব ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই তো জীবনের সেরা অংশ। আর রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করার যে অভিজ্ঞতা সত্যিই প্রশান্তির। দিনশেষে সবকিছুই যেমন স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়ে যায় তেমনি আমাদের জীবনে চলতে থাকে। আশা করছি পরবর্তী পোস্টটি রঙিন কাগজের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারব।
জীবনের পরিবর্তনশীলতা এবং আবহাওয়ার মতোই পরিবর্তনশীল-আপনার কথাগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আপনার পোস্টে। ঠিক যেমন আপনি বললেন, কখনো রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যায়, তেমনি আমাদের জীবনের পরিস্থিতিও হঠাৎ পাল্টে যায়। আপনার দিনের প্রতিটি মুহূর্তের অভিজ্ঞতা আমাদেরকে জীবনের সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো মনে করিয়ে দেয়। রঙ্গিন কাগজের ব্যবহার নিয়ে পরবর্তী পোস্টে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব, সেই অপেক্ষায় রইলাম।
আবহাওয়া ও জীবন নিয়ে খুবই চমৎকার কথা বলেছেন।। যে জীবনের মোড় যেকোনো সময় যে কোন দিকে যেতে পারে।।
সকাল সকাল চা খেয়েছেন সেখান থেকে বাসায় এসে খাবার সেই সাথে পড়াশোনা।। আসলে অনার্স লেভেলে যেকোনো কিছু যেকোনো মুহূর্তে ঘোষণা দেয় নির্দিষ্ট কোন সময় থাকে না।
আজ বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কাগজ পাতি কেনার জন্য সবকিছু মিলিয়ে সুন্দরভাবে দিনটি অতিবাহিত করেছেন।।
আপনি একেবারেই ঠিক বলেছেন চা খাওয়ার একটা ভালো দিক রয়েছে তবে অতিরিক্ত চায় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ঠিক না আপনাদের এলাকার ওই লোক যাকে দেখে আপনি অনেক বেশি অবাক হন আসলে উনাকে দেখে নয় আমার কাকিমা যিনি মারা গেছেন উনিও দিনে অন্ততপক্ষে 7-8 বার চা খেতেন যেটা দেখে আমি নিজেও অনেক বেশি অবাক হতাম।
মন দিয়ে পড়াশোনা করুন কারন সামনে যেহেতু আপনার পরীক্ষার তাই মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে তা না হলে রেজাল্ট এমন একটা ভালো হবে না বিকেল বেলায় আপনি আবার হাঁটাহাঁটি করতে বের হয়েছেন যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।