মানসিক অসুস্থময় একটা দিন!
Hello Friends,,,
বিগত দিন মাকে নিয়ে খুলনাতে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম তাই এখন আমি বাড়িতেই অবস্থান করছি তবে বেশিক্ষণ আর বাড়িতে থাকতে পারলাম না কারন আজ আমার মামার পায়ের অপারেশন করাতে হবে এখনই আবার খুলনা যেতে হবে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে খুলনা চলে আসলাম। কয়েকবছর আগে মামা মোটরগাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় আর তখন মামার একটা পা ভেঙে যায়।
![]() |
---|
মূলত মামা মোটরগাড়ি চালিয়ে আমাদের বাড়িতে আসছিলো তখন রাস্তায় হঠাৎ করে গাড়ির সামনে অনেকগুলো হাঁস চলে আসে। মামা ঐ হাঁস গুলোকে বাচাঁনোর চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেই পড়ে যায় আর পা ভেঙে যায়। তখন পায়ের অপারেশন করে পায়ের ভিতর পাত বসানো হয়। এক পায়ে দুই জায়গায় ভেঙে গিয়েছিলো তাই সাধারণভাবে চিকিৎসা নিলে ঠিক হবে না। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মতো পায়ের ভিতরে পাত বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যেহেতু অনেক দিন আগে পায়ে পাত বসানো হয়েছে তাই নির্দিষ্ট সময়ের পর সেটাকে আবারও অপারেশন করে বের করে ফেলতে হবে। বাড়িতে দাদু দিদিমারও বয়স হয়েছে তাদের শরীরও ভালো নয়। তাই এখানে মামির পাশে সব সময় থাকতে হচ্ছে আমাকে।
অপারেশন শুরু হলো, অপারেশন থিয়েটারের সামনে আমি আর মামি বসে রইলাম। খুব চিন্তা হচ্ছিলো আর এটাই স্বাভাবিক। আগের বার অপারেশনের সময় আমি পাশে ছিলাম না। তবে এবার পাশে আছি আর এই মুহুর্তটা যে কতটা মানসিক যন্ত্রণার সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।
![]() |
---|
![]() |
---|
প্রায় ২.৩০ ঘন্টা অপারেশনের পর সফলভাবে মামার পা থেকে পাতটা বের করা সম্ভব হয়। এতটা সময় লাগার কথা না তবুও লেগেছে, মূলত দুটো কারনে এত সময় লেগেছে। প্রথমত, অপারেশনের আগে মামা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলো যার জন্য হার্টবিট অনেক বেড়ে যাচ্ছিলো।
নির্দিষ্ট মাত্রার ভিতর হার্টবিট না থাকলে অপারেশন করা যায় না। হার্টবিট স্বাভাবিক হলে তারপর অপারেশন শুরু করা হয়। আর দ্বিতীয়ত, পায়ে এই পাত বসানোর জন্য অনেকগুলো বড় বড় নাট রয়েছে তেমন তারমধ্যে খুব সরু সুচের মতো একটা পিনও ছিলো। আর সেটা খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না মাংসের ভিতর।
![]() |
---|
এক্সেরের বাম পাশের ছবিটার উপরের দিকে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে খুব সরু একটা পিন দেখা যাচ্ছে আর ওটাই পাওয়া যাচ্ছিলো না। ওটা খুজে বের করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এক্সেরেটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে কিভাবে পাতটা পায়ের ভিতর বসানো ছিলো।
![]() |
---|
সত্যি বলতে পাতটা বের করার পর যখন দেখি সাথে সাথে গায়ে লোম সোজা হয়ে গিয়ে গায়ে কাটা দিয়েছে। এত বড় একটা জিনিস এতদিন মামার পায়ের ভিতর ছিলো এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। ছবিতে দেখে আপনাদের কাছে কেমন লাগছে জানি না তবে এটা হাঁটু থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত লাগানো ছিলো। পায়ের হাড় ছিদ্র করে এত বড় বড় নাটের মাধ্যমে পায়ের সাথে লাগানো ছিলো।
![]() |
---|
আর তাছাড়া এগুলো সব মিলিয়ে অনেকটাই ভারি, প্রায় ৪০০ গ্রামের মতো ওজন হবে সব গুলো মিলিয়ে। সব থেকে বড় কথা, এত কিছু একজন মানুষের পায়ের ভিতর থাকাটা যে কতটা কষ্টকর সেটা শুধুমাত্র সেই বোঝে। মাঝে মাঝে মামার পায়ের ভিতর জ্বালা উঠতো।
বিপদ না ঘটলে আসলে সেটার মর্ম বোঝা যায় না। মামা যখন মোটরগাড়ি কিনেছিলো তখন সকলেই বারন করেছিলো। তবে মামার শখ ছিলো এজন্য কারো কথা শোনেনি। শেষ পর্যন্ত ঘটে গেলো এই মারাত্মক দুর্ঘটনা। তারপর ঠিকই সেই বাইক বিক্রি করে দিয়েছে।
একবার শরীরে কোনো সমস্যা হলে সেটা যতই চিকিৎসা নেওয়া হোক না কেন সেটা আর আগের মতো হয় না। এখন মামা কি পারবে আগের মতো চলাফেরা করতে? আগের মতো দৌড় ঝাপ করতে? পারবে না। আর পারলেও সেটা করা যাবে না, এটাই ডাক্তারের পরামর্শ।
এটা ঠিক যে বিপদ বলে কয়ে আসে না। কার সাথে কখন কি হবে সেটা কেউ জানে না। রাস্তায় বেরোলে হাজারো সতর্কতা অবলম্বন করলেও দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবুও আমাদের উচিত সর্বোচ্চ সর্তক হয়ে চলাফেরা করা। একমাত্র সৃষ্টি কর্তাই পারে আমাদের রক্ষা করতে। সকলের
সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
It's very unfortunate the situation you and your family going through. I wish you a fast recovery 🙏
পরিবারে কেউ যখন অসুস্থ হয় তখন পরিবারের সবার মধ্যে টেনশন চলে আসে, আপনার মামার পা ভাঙ্গার পরিস্থিতি দেখে খুব খারাপ লাগলো, একবার পাক ভেঙে গেলে সারা জীবন সেই পা ভাঙ্গার ব্যথা বয়ে যেতে হয়, যদিও পা ভাঙ্গা জোড়া লাগে, ভালো হয়ে যায়, কিন্তু সেটার প্রভাব থেকেই যায়, আপনার মামা দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
একটা দুর্ঘটনা মানুষের জীবনকে মুহূর্তের মাঝে পাল্টে ফেলতে পারে। আমার নিজের মামারও এমনি এক দূর্ঘটনা ঘটেছিলো। তার হাতে পাত ঢুকানো। এখন বের করতেও রাজি হয় না । আমার মামা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনায় করি।
মানুষের দুর্ঘটনা মানুষের জীবন গুলো পাল্টে যায়। এরকম দুর্ঘটনা অনেকবারই শুনেছি। কিন্তু সত্যিই মানুষের পায়ে এরকম পাত বসানো যে কি কষ্টকর। যার হয় সেই জানে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনার মামা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। পাত গুলো দেখে আমারই ভয় লাগছে। যাইহোক মামার পাশে থাকুন মামাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তুলুন
এক্সিডেন্ট এর জন্য অনেক মানুষ পা হারিয়েছে হাত হারিয়েছে আপনার মামার পায়ের সমস্যাটা জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগলো এবং আপনার মামার পা অপারেশন করতে হবে বলে আপনি খুলনায় গিয়েছেন এটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম যাই হোক আপনার মামা খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাক এই প্রার্থনা করি।
আমাদের জীবনে প্রতিটা দিন সুস্থভাবে কাটে না কিছু কিছু দিন আছে মানসিক যন্ত্রণায় এবং টেনশনে কাটে তবে আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আসলেই এমন প্রস্তুতিতে মানসিক অসুস্থ হবে এটা নিয়তির একটি পরীক্ষা।
এখান থেকে কয়েক বছর আগে আপনার মামা আপনাদের বাড়িতে আসার পথে দুর্ঘটনায় তারপর ভেঙ্গে যায় কিছু হাঁস বাঁচানোর জন্য।