ষষ্ঠীর দিনটা পার্লারে কাটালো আমার
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনার প্রত্যেকে খুব ভালো আছেন। আজ মহাসপ্তমী। আপনাদের সবাইকে মহা সপ্তমীর অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আশাকরি গতকাল মহাষষ্ঠীও আপনাদের খুব ভালো কেটেছিলো।
কাল সারাদিন আমি খুব ব্যস্ত ছিলাম। বিশালের মায়ের পার্লরে প্রায় সারদিন কেটে গেলো। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি পূজোর কিছু সাজগোজ ও বিশালের মায়ের সাাথে পার্লারে কাটানো কিছু মুহুর্তের কথা।
কাল থেকেই বাতাসে একটা পূজো পূজো ভাব চলে এসেছে। কারন কাল ছিল ষষ্ঠী এবং আজ সপ্তমী। পূজো মানেই হল আমাদের মেয়েদের কি পরবো,কেমন ভাবে সাজবো,কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবো,কি কি খাওয়া দাওয়া করবো,তাই নিয়েই ভাবতে ভাবতে দিন যায়। পুজোর দু পাঁচ মাসে আগে থেকেই শপিং করার ভীর জমে যায় বাজারে। অন্যদিকে পুজো আসলেই আমাদের মেয়েদের পার্লরে যাওয়ার তাড়া শুরু হয়ে যায়। আমি কিন্তু এদের মধ্যেই একজন। সাজতে কোন মেয়ের ভালো লাগে না বলুন। আমার তো খুবই ভালো লাগে।
আজ আমি আপনাদের দেখাব বিশালের মায়ের পার্লরে আমার কিছু কাজের কথা। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও আমি বিশালের মায়ের পার্লরে গিয়েছিলাম ওনাকে সাহায্য করতে।আর এই বছর বিশালের মায়ের শরীরিক অসুস্থতার কারণে ওনার আমাকে খুব বেশি প্রয়োজন ছিলো। তাই উনি এই বছর বেশী কাজ করতে পারেনি,তাই এই বছর বেশির ভাগ কাজ আমি করেছি। ছোটো খাটো কাজ উনি করছে। চুল কাটা এবং ভ্রুরু তোলা কাজটি করেছেন বিশালের মা। আর সব যেমন ফেসিয়াল এবং চুল ম্মুদনিং সব আমি করেছি।
আমি নিজেও অনেক কিছুই করেয়েছি। আমার চুলটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিলো, তাই একবারে স্পা করে নিলাম। আর এইবার আমি একা যাইনি, আমার বান্ধবী সোমা আমার সাথে গিয়েছিলো। কারন ওর চুলটাও কেমন একটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো,তাই ও আমাকে ফোন করে বললো, তুই তো কাকিমার পার্লারে যাবি,তাহলে আমি ও যাব। তাই ও আজ আমার সাথে এসে ওর চুলটা স্মুদনিং করে নিলো।
আমিই করে দিয়েছি। বিশালের মায়ের সাহায্য করতে করতে আমি এখন মোটামুটি পার্লারে কাজ শিখে গিয়েছি। কারন আমি প্রায় তিন বছর পূজোর সময় এসে সাহায্য করছি ওনাকে। তারপর সোমার চুল ঠিক করা হয়ে গেলে আমরা একসাথে বাড়ি ফিরলাম। ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় ৯.৫০ হয়ে গেলো।
পার্লারের কিছু ছবি ও আমার কাজের কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের দিনটা খুব ভালো করে কাটান।
পুজোতে প্যান্ডেলের আগে যদি কোথাও ভিড় দেখা যায় তাহলে সেটা এই জায়গাতেই। যারা সারাবছর যায় না, তারাও উপস্থিত হয় পুজোর আগে।
যাক তুমি পুজোর জন্য নিজেকে তৈরি করছো বেশ ভালো ভাবেই, কিন্তু আনন্দের পাশাপাশি কাজের প্রতি মনোযোগ দেবে সমান ভাবে আশাকরি।
@swetab97আমার সেরকম ভাবে পার্লারে যাওয়া হয়না। আপনার পুজো খুব আনন্দের হোক।