Better Life with Steem|| The Diary Game||7 May 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে যাই কোচিংয়ে। কোচিং এ গিয়ে শুনি আমাদের এক বড় ভাই নাকি বাইক এক্সিডেন্ট করেছে। তো কোচিং শেষ করে আমি তাড়াতাড়ি করে চলে যাই কাকে দেখতে। গিয়ে দেখি চেপারের উপরে বসা সে বেশ ভালই আঘাত পেয়েছে সে। তো অল্প কিছুক্ষন তার পাশে বসে রইলাম শুনলাম কিভাবে কি হলো সবকিছু।
তারপর সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসি কলেজে। এসে শুনতে পারি সবাই কলেজে এসেছে। তো আমি একটু কলেজের বারান্দায় বসে থাকি ওদের ও ওদের অনলাইনে খুঁজি যে ওরা কোথায় আছে এখন।
তো এক বন্ধুকে কল দেই তারপর শুনি তারা সবাই আছে কলেজের ছাদে। তো আমিও সেখানে চলে যাই গিয়ে দেখি বেশ অনেক সুন্দর পরিবেশ। কলেজের বিল্ডিং এর উপর থেকে প্রায় অনেকটা দূর দেখা যায় আরো উপর দিয়ে নিচের পরিবেশ দেখতে তো বেশ ভালো লাগে। তো সেখানে বেশ কিছুক্ষন সময় কাটায়।
তারপর ওখান থেকে নিচে নেমে আমি একটু আমার চাচার বাসায় চলে যাই। সেখানে বেশ কিছুক্ষন কাকির সাথে কথা বললাম। তারপর সেখান থেকে বের হওয়ার সময় আমার চাচাতো ভাই আমার সাথে আমাদের বাড়িতে যেতে চাই। তো আমি ওকে সাথে করে নিয়ে আসি আমাদের বাড়িতে।
তো বাড়িতে এসে আমার প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়ে যায় তুমি সাথে সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে নি। আমাদের বাসায় একটু তাড়াতাড়ি রান্না হয়। খাবার খেয়ে আমি একটু বসি তারপর আমি আর আমার চাচাতো ভাই দুজনে গোসল করতে যাই। বেশ কিছুক্ষণ গোসল করি দুজনে। আমার চাচাতো ভাই তো বাসায় থাকে তাই ও আমাদের মত ভরা খালের পানিতে গোসল করতে পারে না। ও ভরা খালের পানিতে তো বেশ আনন্দ করে গোসল করলো। তারপর দুজনে গোসল ছেড়ে উঠলাম।
আমি ঘরে গিয়ে একটু ফোন নিয়ে বসে যাই। বেশ কিছুক্ষন ফোন নিয়ে বসে থাকি তারপর আম্মু বলে তোর জন্য মিষ্টি আলু পুরে রেখেছি। সেগুলো গরম গরম না খেলে তো আর মজা লাগবে না তো সেগুলো এনে খা। তারপর আমি সেগুলো এনে খেলাম। খেয়ে আবার বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলাম।
তারপর একটু বাইরের দিকে হাটাহাটি করতে যাই আমি। তো বাহিরে একা একা আর কোথায় যাব আমাদের এলাকার সামনে যে দোকানটা আছে ওই দোকানটায় গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকি। সেখানে ইলেকশনের জন্য অনেক মানুষ আসে যাওয়া করে তাই সেখানে ভালো লাগলো না সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসলাম তাড়াতাড়ি।
এসে দেখি আম্মু পুড়ি তৈরি করেছে সন্ধ্যার খাবারের জন্য। আমার চাচাতো ভাইকে সন্ধ্যার আগেই বাসায় দিয়ে আসতে হবে তাই ওর জন্য একটু আগেই পুরি তৈরি করল আম্মু। ও আবার একটু ঘরে বানানো খাবার পছন্দ করে। তাই ওর জন্য আম্মু বাসায় পুরি তৈরি করেছে। সেখান থেকে আমিও দুটো ভাগে পেলাম। ভালোই লাগলো বাসায় বানানো পুরি খেতে।
সন্ধ্যার পরে আমি আমার চাচাতো ভাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হই। তো আমরা একটা গাড়িতে করে চলে যাই আমার চাচার বাসার সামনে। তো আমার চাচাতো ভাইকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আমি আর বাসার মধ্যে গেলাম না। আমার কাকি আমাকে ডাক দিয়েছিল বাসার মধ্যে বসতে বলছিল আমি আর বসি নাই সেখানে তো আমি সেখান থেকে বের হয়ে একটু সামনে হেটে চলে যাই।
গিয়ে আমার একটা পছন্দের ঘড়ি সেটা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তো পছন্দের জিনিস খারাপ হলেও পছন্দের জিনিস। তো আমি সেটা নিয়ে একটা ঘড়ি ঠিক করার দোকানে যাই। সেখানে গিয়ে ঘড়িটাকে দিয়ে আসি বলি ঘড়িটা ভালোভাবে ঠিক করে রেখে দিয়েন। আমি কাল একজনকে দিয়ে ঘড়িটা নিয়ে যাবো। তো পরিচিত দোকান তাই সেও বলল আচ্ছা ভাই ঠিক আছে ঠিক করে রাখবো আপনার যখন ইচ্ছা আইসা নিয়ে যাইয়েন। তো সেখান থেকে আমি আরেকটা গাড়ি করে চলে আসি বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে একটু শুয়ে পড়ি। তারপর পোস্ট লিখতে বসে যাই।
ভাই আপনার পোস্টে পোড়া মিষ্টি আলু দেখে আমার দাদুর কথা খুব মনে পড়লো কারন দাদু মিষ্টি আলু পুড়িয়ে খেতে খুব ভালবাসতেন। আমি খেতে চাইতাম না কিন্তু এটা খেতে যে খুব ভালো লাগা সেটা দাদু বার বার আমাকে বুঝাতো । ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কোচিং-এ গিয়েছেন। এর মাঝে হঠাৎ করে খবর পেলেন আপনার এক বড় ভাই এক্সিডেন্ট করেছে। সত্যিই এক্সিডেন্টের কথা শুনলেই যেন একটা ভয় কাজ করে।
আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম মিষ্টি আলু পুড়িয়ে খেয়েছেন। সত্যিই মিষ্টি আলো পুড়িয়ে খেতে খুব মজা লাগে।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।