Better Life with Steem|| The Diary Game||26 June 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
আজকে অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। শরীলটা হালকা একটু খারাপ লাগতেছিল তাই বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। তো বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পরে আম্মু আমাকে ডাক দেয়। তো আমি বিছানা থেকে উঠে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে নাস্তা খেতে যাই। তো নাস্তা খেয়ে বাড়ি থেকে বের হই কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তো আমার সহপাঠীর জন্য আমার বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে থাকা লাগে। তাই আমি একটা দোকানে গিয়ে বসি তার জন্য অপেক্ষা করি।
বেশ অনেকক্ষণ পরে সে আমার কল রিসিভ করে। তো আমার কল রিসিভ করে সে বলে আমি আজকে কোচিংয়ে যাবো না। তো আমি তার কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে গেলাম। সে যদি আমাকে এটা আগে কল দিয়ে বলতো তাহলে আমার সময়টা অপচয় হতো না। তো কি আর করার আমি একটা গাড়িতে উঠে পড়ি চলে যাই কোচিংয়ে। তো কোচিং এ গিয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া শুরু করে দেই সবার সাথে। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাদের কোচিং ছুটি হয়। সবাই মিলে চলে আসি কলেজের মধ্যে।
তো কলেজের মধ্যে এসে। সবাই সবার সাথে শয়তানি দুষ্টামি আড্ডা দিতেছিলাম। সবাই এক জায়গায় বসে অনেক আনন্দ করতে ছিলাম। তো বেশ কিছুক্ষণ আমরা সবাই এভাবেই আড্ডাও আনন্দ মধ্যে কাটাই। তারপরে সেখান থেকে বের হই।
সেখান থেকে এত তাড়াতাড়ি বের হওয়ার কারণ। আমার খালাতো ভাই আমাকে কল দেয় বলে বাড়িতে যাবি তাড়াতাড়ি আয়। তো আমি ভাবলাম এখন আর কলেজে থেকে কি করবো চলে যাই বাড়ি। তো ওর সাথে গাড়িতে করে বাড়িতে চলে আসি।
বাড়িতে এসে আমি জামা কাপড় চেঞ্জ করে বাড়ি থেকে বের হই। তো আমি আর আমার খালাতো ভাই হাঁটতে হাঁটতে একটা ব্রিজের উপরে গিয়ে বসে। তবে কিছুক্ষণ সেখানে বসে থাকি সেখানে আমাদের কিছু কাজ ছিল সেই কাজগুলো সম্পন্ন করি। তো কাজ সম্পন্ন করার পরে আমরা বাড়িতে চলে আসি।
তো সেখান থেকে বাড়িতে আসতে আসতে বৃষ্টি নেমে পড়ে। তো কোনভাবে ফোনটাকে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে দৌড় দিয়ে বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে ঘরে ফোনটাকে দিয়ে ঘর থেকে একটা গামছা চেয়ে নেই। তারপর বৃষ্টিতে অনেক আনন্দ করে গোসল করি। অল্প কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে গোসল করার পর ঘরে চলে আসি গোসল শেষ করে।
তারপর খাওয়া দাওয়া করে একটু বিছানায় শুয়ে পড়ি। তখনও বৃষ্টি পড়তে ছিল। তো বৃষ্টির মধ্যে ঘুম অনেক ভালোবাসে। তাই আমি বিছানায় শুতেই ঘুমিয়ে পড়লাম। বেশ অনেকক্ষণ পরে আমার এক বন্ধুর কলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তো কল রিসিভ করি সে আমাকে বলে তাড়াতাড়ি দোকানের দিকে আসতে। তো আমি তার কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে সেখানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তার সাথে অল্প কিছুক্ষণ বসে থাকি।
তারপরে একটা গাড়িতে করে আমরা সবাই মিলে চলে যাই একটা গরুর খামার দেখতে। সেখানে নতুন গরুর খামার করার জন্য ঘর উঠাচ্ছে। তো আমাদের মধ্যে এক ভাইয়ের সেখানে একটু কাজ ছিল আর আমরা যাই সেই গরুর খামার দেখতে। তো সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর একটি গরুর খামার দেখতে পাই অনেক বড়। পরিবেশটা খুব সুন্দর ছিল সেখানে। তো অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যায়।
তারপরে আমরা সবাই মিলে সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসি। তো আমাকে একটা গাড়িতে করে আমার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিও ওরা চলে যায়। আমি যেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে দেখি আমার কাকা অনেক কষ্ট করে কাট কাটতেছে। তো আমি তার সাথে সেখানে বসে বসে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলি এর মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে আসে।
তারপর আমি ঘরে চলে আসি। ঘরে এসে যখনই আমি করতে পারব তখনই আমাকে আমার ছোট বোন ডাক দেয়। আমি ওর ডাক শুনে ওর কাছে যাই। তো তার কাছে গিয়ে দেখি সব বই সরিয়ে সিটিএ রেখেছে। সে অংকে জ্যামিতি করতে পারতেছে না। তাই সেই দিন কি করিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে তা ঢাকা হল। তো আমিও তাকে সুন্দরভাবে দুইটা জ্যামিতি বুঝিয়ে দিলাম।
তারপর সেই পড়তে থাকলো আমি এসে আমার পড়ালেখা করতে থাকলাম। বেশ ভালোই লেখাপড়া করতে ছিলাম। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেল। তাই আর লেখাপড়া আজকের মত হলো না। ভেবেছিলাম বিদ্যুৎ থাকলে পড়তে বসবো। তাই ফোনটাকে নিয়ে বাইরে গিয়ে বসলাম। ঘরের মধ্যে প্রচন্ড গরম তাই বাইরে বসা।
ফোনেও বেশি চার্জ নেই যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ও বাইরে বসে বসে কি করব ভাবতেছিলাম ভালো লাগতেছে না। তাই ঘরে গিয়ে কিছু বাদাম নিয়ে আসে। বাদাম ভাজা নিয়ে এসে বাহিরে বসে খেতে থাকি। বিদ্যুৎ আসার নাম গন্ধ ছিল না। ফোন দেখতে দেখতে ফোন বন্ধ হয়ে যায়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই। তাই আর রাতে পোস্ট লেখা হয় না আর করাও হয় না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই পোস্ট লিখতে বসা যায়।
ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম বেশ সুন্দর করে আমাদের কিছু উপস্থাপনা করার জন্য। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ছে কেননা আজকে শরীরটা আপনার খুব একটা ভালো নয় প্রথমেই দোয়া করি যেন আপনি আগের মতো সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ছোট্ট একটি ব্রিজের উপরে বসে রয়েছেন তবে আমি দেখতে পেয়েছি যে ওখানে বড় একটি গর্ত হয়ে গিয়েছে যে কোন সময় দুর্ঘটন হতে পারে। তাই অবশ্য এটি মেরামত করা জরুরী।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল যেন আপনার প্রতিটা দিন ভালো কাটে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসলেই ভাই আপনার সহপাঠী যদি কোচিং এ যাবে না। তাহলে আপনাকে আগেই ফোন দিয়ে জানিয়ে দিতে পারতো। তাহলে আপনার অযথা সময় নষ্ট হতো না।
তবে বরাবরের মতোই আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারি আপনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বেশ পছন্দ করেন। দোয়া করি আপনাদের বন্ধুত্ব যেন সারা জীবন এভাবে অটুট থাকে।
রাতের বেলা দেখি অনেকগুলো বাদামও খেয়েছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ব্রিজের ওপরে বসে থাকা আপনার ভাইয়ের ছবিটি দেখে আমার তো রীতিমত ভয় লাগলো। ব্রিজটির এত জরাজীর্ণ অবস্থা যে, ওর উপর দিয়ে হাঁটতেও ভয় লাগবে। আর আপনার ভাই কিভাবে ওই ব্রিজের উপরে উঠে বসে থাকলো, সেটাই ভাবছি। অনেকদিন হয়ে গেছে এমন খোসা সমেত ভাজা বাদাম খাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই আপনার ছবিটি দেখে লোভ লাগলো। বৃষ্টির সময় ঘরে বসে এমন বাদাম ভাজা খেতে সত্যিই ভালো লাগে, ছোটবেলায় এরকম অনেক দিন কাটিয়েছি, তাই এক মুহূর্তেই যেন সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লো। বন্ধুদের সাথে আনন্দ করে কাটানো একটি দিনের গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনি আপনার সারাদিনের কার্যকলাপের সকল কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে কিভাবে সময় গুলো কাটিয়েছেন সে বিষয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে কোচিং শেষে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দেওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আপনার ফটোগ্রাফি ছিল অনেক সুন্দর ছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
মোটামুটি আপনার দিনের বেশিরভাগ অংশ আপনার বন্ধুদের সাথে গল্প আড্ডা এবং একটু শয়তানি করার মাধ্যমে কেটে যায়। আসলে এই বয়সটা পার করে এসেছি এখন অনেক বেশি মিস করি। এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক বেশি স্মৃতি মধুর হয়ে থাকে। ছোট বাচ্চাদের এই একটা সমস্যা পড়তে বসতে সমস্ত বই একেবারে এলোমেলো করে রাখে। আর বৃষ্টির দিনে বাদাম ভাজা খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।