Better Life with Steem|| The Diary Game||19 April 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হই। মূলত সকালে ঘুম ভাঙ্গে মামার কল দেওয়ার। তো তাই ঘুম থেকে উঠে চলে যায় নানাবাড়ি। গিয়ে মামায় বলল আমাকে কয়টা বেল পেড়ে দে। আমি বললাম এই জন্য কেউ এত সকালে কল দিয়ে ঘুম ভাঙ্গায় এমনিতেই আর শুক্রবার। যাক মামার সাথে একটু মজা করলাম তারপর আমি বেল গাছে উঠে বেল পেড়ে দেই।
তারপর আমি বাড়িতে চলে আসি। তো বাড়িতে এসে আমি আম্মুর কাছে খাবার চাই আম্মু আমাকে কিছু নাস্তা দিল আমি নাস্তা খেলাম। নাস্তা করে আমি হাঁটতে হাঁটতে দোকানের দিকে যাই । যাওয়ার পর দেখি দোকান বন্ধ তো আমি কিছুক্ষণ দোকানে বসে থাকি। তারপর দোকানদারকে কল দেই সে আসে দোকান খুলে আমি কিছু খাবার খাই দোকান থেকে। তারপর আস্তে আস্তে তারপর আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে চলে আসি।
তো আজ একটু তাড়াতাড়ি গোসল করতে যাই আজকে জুম্মার দিন তো তাই তাড়াতাড়ি গোসল করতে যাই। তো প্রচন্ড গরম পড়ার কারণে পানির মধ্যে নেমে বেশ আনন্দই লাগতেছিল। নিজেকে খুব রিফ্রেস লাগতেছিল। তো গোসল করে আমি বাসায় এসে কাপড় পরিধান করে মসজিদে চলে যাই যে হুজুরের ওয়াজ নসিয়ত শুনি। তোর সালাত আদায় করে আমি বাসায় চলে আসি।
তারপর আমার এলাকার কাকায় আমাকে কল দিয়ে বলে চল আমার সাথে বেতাগী যাবি আনে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আপনি আসেন আমি খাওয়া-দাওয়া করে নেই। তারপর আমি আমার এক এলাকার বন্ধুকে কল দিলাম। করে বললাম তাড়াতাড়ি আমাদের বাড়ির সামনে আসতে। আমি খাওয়া-দাওয়া করে বের হয়ে একটু বসতেই কাকা ও বন্ধু এসে পড়ল। তারপর তাদের সাথে গাড়িতে করে চলে গেলাম বেতাগী।
তো যাওয়ার রাস্তায় দেখলাম আখের শরবত ওয়ালা। তো তার কাছে বাইকটা থামিয়ে আমরা তিনজনে আখের শরবত খেলাম বেশ ঠান্ডা ছিল গরমের জন্য ভালোই লাগলো শরবতটা। এমনিতে আমার কাছে আখের শরবত খেতে বেশ ভালোই লাগে।
তারপর আমরা চলে যাই বেতাগী। তো কাকা কাজ করতে ছিল আমায় বললাম কাকা আমরা একটু ঘুরে আসি। তারপর আমি আর আমার বন্ধু মিলে চলে যাই পরীর মসজিদ। তাড়াহুড়ার জন্য ভালোভাবে কোন ছবি তোলা হয়নি তাই আজ সুযোগ পেলাম তাই ঘুরে আসলাম আবার মসজিদ টায়। বেশ কিছুক্ষণ কাটানোর পর আমরা দুজনে আবার বাইকে করে চলে যাই কাকার কাছে।
সেখানে যাওয়ার পথে বাজারের মধ্যে বসে বাইকের চাকা লিক হয়। তো লিখ ঠিক করার জন্য একটা লিক ঠিক করার দোকানে চলে যাই। তো সে খুব সুন্দর ভাবে লিখতে ঠিক করে দিল আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেছিলাম। তো সে ঠিক করল আমরা তাকে মজুরি দিয়ে সেখান থেকে চলে আসলাম কাকার কাছে।
সন্ধ্যাবেলায় শুরু হয় পিকনিকের আয়োজন। সবাই মিলে আমাদের এলাকার সামনের দোকানে জড়ো হই। সবার কাছ থেকে চান্দা উঠায় পিকনিকের জন্য। তো বেশ কিছুক্ষন সময় লাগলো সবাই আসতে আসতে অনেকটা সময় লেগে গেল। তো যাক অবশেষে সবকিছু মিলে একটা আয়োজন করা হলো। কিছু লোক বাজারে গেল বাজার পাতি করার জন্য।
আমরা এদিকে সবাই বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করতেছিলাম পিকনিকের জন্য। তারপর আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হল বক্স আনার। আমি আমার এক বন্ধুকে কল দিলাম ওরে বললাম আমার বক্স লাগবে এমার্জেন্সি। ও বলল বড় বক্স না ছোট বক্স আমি বললাম বড় বক্স একটা হইলেই হইবে। তো কিছুক্ষণের মধ্যেই ও বক্স নিয়ে চলে আসলো। এখন পর্যন্ত বাজার করে আসেনি তারা বাজার করে আনবে আমাদের পিকনিক শুরু হবে খেতে খেতে রাত প্রায় ১:০০-১:৩০ বেজে যাবে। তো আমি এক পাশে গিয়ে পোস্ট লেখার জন্য বসে পড়ি।
আপনি সব সময় মনে হয় একটু ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নানু বাড়িতে গিয়ে বেল পেড়ে দিয়েছেন। তারপর দোকানে এসে আড্ডা দিয়েছেন।
এদিকে পিকনিক করবেন বলে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন।
সারাদিনের কিছুটা খানিক অংশ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঘোরা ফেরা করতে বেশ ভালো লাগে এটা সত্যি কথা বলেছেন। পিকনিক করতে হলে তো সবাইকে কাজ করতে হবে তাই যার যার কাজ ভাগ করে দেওয়াটাই ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সুন্দর একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন আপনি আমাদের মাঝে। পিকনিক কথাটা শুনলেই তো মন আনন্দের জোয়ারে ভাসে। সবাই মিলে পিকনিকের আয়োজন করলেন এবং চাঁদাও উঠালেন। সবাই সবার দায়িত্বগুলো সঠিকভবে পালন করলেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটা পড়ার জন্য আর এত সুন্দর মন্তব্য জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।