Better Life with Steem|| The Diary Game||17 June 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
প্রথমে সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক। ঈদের দিন তাই ঘুম থেকে অনেক তাড়াতাড়ি উঠতে হয়। ঘুম থেকে উঠে আব্বুর সাথে কাজ করতে নেমে যাই। যে জায়গায় কুরবানীর গোশত কাটা হবে সেই জায়গা তৈরি করি। বিভিন্ন দ্যা, বটি, ছুরি সেগুলোকে ধার দেই।
তারপর চলে যাই গোসল করতে। গোসল করে সুন্দরভাবে পাঞ্জাবি পায়জামা টুপি মাথায় দিয়ে পরিপাটি হয়ে চলে যায় মসজিদে। মসজিদে গিয়ে ইমাম হুজুরের বক্তব্য শুনি। একটু লেট করে যাওয়ায় মসজিদের বারান্দায় বসতে হয়। কারণ মসজিদের মানুষের ভরে গেছে। তাই বাহিরে বসা লাগলো। তারপরও খুব ভালোভাবেই ইমাম হুজুরের ওয়াজ নসিহত শোনা যায়। তারপর সালাত আদায় করলাম করে তাড়াতাড়ি করে বাড়িতে চলে আসলাম।
আমি বাড়িতে এসে জামাকাপড় পরিধান করে। চলে যাই কুরবানীর গরু জবাই এর কাছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই সবাই এসেছে। সর্বপ্রথম জবাই করা হবে আমাদের বাড়ির গরু গুলা। তো আমাদের বাড়িতে দুটো গরু জবাই হয় । একটা আমাদের অন্যটা আমাদের বাড়ির মানুষদের। তাই অনেক মানুষ দেখতে এসেছে। তো কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই মিলে গরুটাকে শুয়াইয়া দেয়। তারপরে ইমাম হুজুরে গরুটাকে জবাই করে। তো আমরা সবাই মিলে সেই গরুটাকে জবাই করা দেখি। কেমন জানি একটু খারাপ লাগতেছিল। কারণ এই গত দুইদিন গরুটাকে খাবার পানি ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস দিয়েছিলাম ভালোই সেবা যত্ন করেছিলাম। তাই একটু খারাপ লাগছিল।
তো গরু গোস্ত কাটতে কাটতে প্রায় অনেক সময় লেগে যায়। অবশেষে সব কিছু শেষ করে গোশ্ত নিয়ে ঘরে আসলাম। ঘরে এসে মানুষকে বন্টন করে দেওয়ার জন্য গোস্ত আমরা আলাদা আলাদা পলিছিনে বেড়ে রাখছিলাম। দেশ অনেকটা সময়ে পরে আমাদের সব কাজ প্রায় শেষ হয়। তারপরে আমি আব্বু আর ছোট ভাই মিলে চলে যাই। সবাইকে গোস্ত দিয়ে আসতে। তো মোটামুটি সবাই বাড়িতে গিয়ে গোস্ত দিয়ে আসি। এই জিনিসটা আমার কাছে কেমন জানি অনেক আনন্দ লেগেছিল। কারণ যার বাড়ি যাই গোস্ত নিয়ে সেই খুব সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বস্তুটুকু গ্রহণ করে নেয়। এই জিনিসটা আমাকে প্রচন্ড আনন্দ দায়ক ও প্রশান্তি এনে দিল আমার মনে।
বেশ সবাইকে দিয়ে বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে গোসল করে নেই। গোসল করে আমাদের পাশের ঘরে দাওয়াত ছিল সেই দাওয়াত খেতে চলে যাই। তো খুব ভালোভাবেই সেই দাওয়াত গ্রহণ করতে পারলাম। তাদের খাবার দেওয়াটাও খুব সুন্দর হয়েছে ও সবাইকে ভালোভাবে খাবার খাওয়াইতে ও পেরেছে। তো খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি ঘরে চলে আসি। এসে বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে যাই।
ঘুম থেকে উঠি প্রায় ৫:২০ এর দিকে ঘুম থেকে উঠে একটু বাতাসের খোঁজে চলে যাই। আমার ঘুম ভাঙ্গার কারণ কারেন্ট চলে গেছিল। তাই প্রচন্ড গরমে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারপর চলে যায় একটা নিরব ও শীতল একটি স্থানে। সে জায়গায় প্রাকৃতিক বাতাস ছিল প্রচন্ড। আমার মন প্রাণ জুড়িয়ে যায় প্রাকৃতিক বাতাসে। তো কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা গড়িয়ে আসে আমি। সেখান থেকে উঠে বাড়ি চলে আসি।
তারপর বাড়িতে এসে সকালের একটা জিনিস করা হয়নি সেই জিনিসটা করতে চলে যাই। ছোটবেলায় যখন কাজ করা লাগত না। তখন আমার কাকা মামা বাবা দাদারা গোস্ত বানিয়ে যখনই রাখত। তাদের কাছ থেকে আমাদের ভাগের গোশত বা কলিজা ঘরে নিয়ে আসতাম। এনে সেটাকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে। বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে মাখাতাম। তারপরে সেটাকে পুড়িয়ে খেয়ে নিতাম। আর সবার সাথে গিয়ে বলতাম আমার আগে তোরা খেতে পারো নাই। আর এখন সকাল যে কিভাবে গেছে সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। এই খাবার খাওয়ার কথা তো সকালে ভুলেই গেছিলাম। তাই ইচ্ছা হল রাতে সন্ধ্যার পরে সুন্দর করে তৈরি করে খেয়ে নিলাম অনেক আনন্দসহ করে।
তারপরে কিছুক্ষণ পর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কারণ সকাল হতে ফোন হাতে নেওয়ার সময় পেয়েছি কিন্তু কারো সাথে কোন যোগাযোগ করার সময় পায়নি। তো অনলাইনে ঢুকে দেখি অনেকেই ঈদ মোবারক জানিয়েছে অনেকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করেছে তো সেগুলোর উত্তর দিলাম। তারপরে আমার আরেক আত্মীয়র বাড়িতে রাতের খাবার খেতে যাই। সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর করে খাওয়া দাওয়া করে আসি। তো খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে এসে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পোস্ট লিখে ফেলি।
শুরুতেই জানাই ঈদ মোবারক। পবিত্র এই দিনটি অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। সকালে নামাজ পড়তে গেছেন। তারপর এসে গরু জবাই করা থেকে শুরু করে আরো অনেক কাজ করেছেন।আসলে এই পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই যে আপনি বললেন, কোরবানির সময় আপনার খারাপ লাগছিল। গরুটাকে এই দুইদিন খাবার খাইয়েছেন তাই। আপনি যে এই ত্যাগ স্বীকার করলেন। এটি হচ্ছে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা। আজকে তো আপনার দিনটি দাওয়াতের উপরেই চলেছে। দুপুরেও দাওয়াত খেয়েছেন রাতেও দাওয়াত খেয়েছেন। ঈদ আত্মীয়তার বন্ধন মজবুত করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মানেই আপনাদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের আর এদিন অনেক দায়িত্বও থাকে সবার উপর। আজ ঈদের দিন হওয়ায় হাতে অনেক কাজ ছিলো সকাল থেকে, অনেক কিছু জোগাড় করার ছিলো।
পরিপাটি হয়ে মসজিদে গিয়েছিলেন, আর বছর ঘুরে এই একটা দিন আপনাদের কাছে ফিরে আসে তাই এটা অনেক স্পেশাল ভাবে উৎযাপন করতে চান আপনারা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Your post has been successfully curated by our team via @kouba01 at 30%.
Thank you for your committed efforts, we urge you to do more and keep posting high-quality content for a chance to earn valuable upvotes from our team of curators and why not be selected for an additional upvote later this week in our top selection.
Thank you so much for reading my post.
আসলে ঈদুল আজহা মানেই ব্যস্ততম ঈদ।নামাজে গেছিলেন।নামাজ আদায় করে এসে কুরবানির কাজকর্মে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন।এরপর মাংস বন্টন করেছেন।খুব সুন্দরভাবে সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া করেছিলেন।সব মিলিয়ে সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আসলে রোজার ঈদে আমরা নামাজ আদায় করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য চলে যেতে পারি কিন্তু কোরবানি ঈদে নামাজ আদায় করে এসে কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় যার জন্য আমরা কোন মানুষের সাথে ঠিক ভাবে যোগাযোগ করতে পারি না এবং সারাদিন অনেক ব্যস্ততার মধ্যপাড় করতে হয় ঠিক আপনিও যেমন ব্যস্ত ছিলেন।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল ও ঈদ মোবারক খুবই সুন্দর ভাবে আপনার দিন পার করেছেন এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
প্রথমে আপনাকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাই ঈদ মোবারক।। আপনাদের কুরবানী করার জন্য জায়গা পরিষ্কার করে দা বুটি ছুরি এগুলোকে ধার দিয়ে কাজগুলোই অনেকটা এগিয়ে রেখেছেন।
ইসলামীকে বলা আছে কুরবানী করতে হলে কিছু জিনিস ত্যাগ করতে হবে এটা দেখে আমাদের খারাপ লাগা চলবে না কেননা এটা আল্লাহর রাজি খুশি করার জন্যই আমরা কোরবানি করে থাকি।
ভালই লাগলো ঈদের দিন আপনি কোরবানির শেষ করে একটি দাওয়াত অংশগ্রহণ নিয়েছে।
আপনার পোস্টে পড়ে অনেক ভালো লাগলো ঈদের দিনগুলো আপনার সুন্দরভাবে কাটুক নিয়ে আশায় করি
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট পড়ে বুঝলাম দারুণ আনন্দে কাটিয়েছেন ঈদের দিনটি। খাওয়া দাওয়াও হয়েছে জমজমাট। আসলে যেকোনো উৎসবের এটাই আনন্দ। অনেক দিন আগে থেকে প্রস্তুতি চলে,শেষপর্যন্ত দিনটি যখন আসে যেন চোখের নিমেষে সেটা শেষ হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের গল্প শেয়ার করার জন্য। একটি কথা অবশ্যই বলবো, আপনার লেখার মধ্যে বানান ও বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে বেশকিছু ত্রুটি চোখে পড়লো। তাই পোস্ট করার পূর্বে ভালো করে একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন। ভালো থাকবেন।
আচ্ছা দিদি নিবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।