Better Life with Steem|| The Diary Game||15 September 2024||

" হ্যালো স্টিমের বন্ধুরা "

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
‌

🌺 সকাল বেলা 🌺

ঘুম থেকে ১১ঃ ০০ টার দিকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে। আম্মুর কাছে নাস্তা চাইলাম আম্মু বলল কিন্তু পিঠা বানানো আছে তোর জন্য ওগুলো খা। তো আমি গিয়ে এক কাপ কফি তৈরি করি। তারপর পিঠা ও কফি নিয়ে সামনে বসি খুব মজা করে সেগুলো খাই। তো খেয়ে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসে বসে ফোন দেখি।

তারপর আমার একটা কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হই। বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যাই বটতলা বাজারে। সেখানে গিয়ে বেশ অনেকটা সময় লাগে আমার সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে। সময় লাগলো কাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাই সময় লাগিয়ে কাজটা শেষ করি। অবশেষে কাজটা অনেক ভালোভাবে শেষ হয়।

তারপর সেখান থেকে বাড়ির দিকে চলে আসি। বাড়ির দিকে এসে দেখি আমার এক এলাকার মামায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জাল ঠিক করতাছে মাছ ধরার জন্য। বৃষ্টির জন্য সব জায়গায় পানি উঠে গেছে। তো এখন জাল দিয়ে মাছ ধরা খুব সহজ হয়ে গেছে। তাই সে তার এলোমেলো জাল ঠিক করতেছে। তো সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেশ অনেকটা সময় তার সাথে কথা বলি আর সে কাজ করতে থাকে।

🌺 দুপুর বেলা+বিকাল বেলা 🌺

তারপর সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসি। বাড়ি এসে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে নেই। খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি থেকে বের হই। আবহাওয়াটা একটু ভালো এখন বৃষ্টি নেই আর রোদ্র ও নেই। তাই দুপুর বেলায় আমি আর আমার বন্ধু রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করতে বের হই। অল্প কিছুদূর আমরা হাঁটাহাঁটি করি তারপর এক জায়গায় গিয়ে কিছুক্ষণ বসে যে যার মত ফোন টিপি আর কথা বলি।

তারপর আমাদের এলাকার এক বড় ভাই আমাদের চা খাওয়াতে নিয়ে যায় একটা দোকানে। তো সেখানে বসে আমরা তিন জনে মিলে চা পান করি। আর অনেক কথাবার্তা বলি। বেশ ভালই লাগতেছিল আবহাওয়ার জন্য চা খেতে। হালকা হালকা শীতল আবহাওয়ায় রং চা খেতে বেশ ভালো লাগে।

তো সেখান থেকে চা খাওয়া শেষ করে চলে যাই ক্রাম বোর্ড খেলতে। সেখানে গিয়ে আজকে আর প্রতিদিনের মতো এক ম্যাচ খেলেই উঠে যাওয়া লাগে না। কারণ আজকে আর তেমন কোন মানুষ নেই বৃষ্টির জন্য কেউই বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি। আর আমরা তো অনেক আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছিলাম। খুব ভালো লাগলো এভাবে পড়া পর অনেকটি ম্যাচ খেলতে পেরে।

🌺 সন্ধ্যা বেলা+রাত্র 🌺

ক্রাম বোর্ড খেলতে খেলতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে এটা আমরা কেউ বুঝতেই পারিনি। বুঝবো কিভাবে কারেন্ট ছিল না আর আমরা ফোনের লাইট জ্বালিয়ে ক্রাম বোর্ড খেলতে ছিলাম। তাই আর বুঝতে পারিনি। তারপর সেখান থেকে আমি বাড়িতে চলে আসলাম হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছিল তখনও।

বাড়িতে এসে দেখতে পাই আম্মু অন্ধকারে কাজ করতেছে। সে পুড়ি তৈরি করতে ছিল তারপর আমি ফোনের লাইট জ্বালিয়ে তাকে পুড়ি ভাজতে সাহায্য করি। বেশ অনেকটা সময় ধরে তার সাথে সাহায্য করে যাই। তারপর সবাই মিলে একসাথে বসে সেগুলো খাই। খুব মজা হয়েছিল পুরী গুলো খেতে। তারপর সেগুলো খাওয়া শেষ করে আমি কিছুক্ষণ ফোন নিয়ে বসে থাকি। বেশ অনেকটা সময় পরে পোস্ট লিখতে বসে যাই।

তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।