Better Life with Steem|| The Diary Game||15 June 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
আজকে আমার ঘুম ভাঙ্গে আমার মামার কল আশায়। তো আমার মামা আমাকে কল দেয়। আমি তো আর কল রিসিভ করি। তারপর সে বলে তাড়াতাড়ি করে হাত মুখ ধুয়ে আমাদের বাড়িতে আয় এক জায়গায় যেতে হবে। তো আমি ভাবলাম কি নাকি এত তাড়াতাড়ি আসতে বলল আর এত সকাল সকাল। তো তাই আমি তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে। জামাকাপড় পরিধান করে চলে যাই নানা বাড়ির সামনে গিয়ে দেখি মামা আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। তো আমি সোজা গিয়ে তার বাইকে উঠে পড়ি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা আমাদের এক আত্মীয়র বাড়িতে চলে যাই।
রাস্তায় যেতে যেতে মামা আমাকে বলে সেখানে গ্যাঞ্জাম হয়েছে। তো সেই গ্যাঞ্জাম মিটমাট করে দেওয়ার জন্য আমরা সেখানে আসলাম। আমাদের একটু সবাই কথার মূল্য দেয়। তাই আমাদের ডাকা হলো আমাদের নানার জন্য আমাদের কথারও সবাই মূল্য দেয়। তো সেখানে গিয়ে তাদেরকে বিকালে সবাই কে নিয়ে বসতে বললাম। সবাই রাজি হল বিকেলে তারা সালিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধান করবে এই গ্যাঞ্জাম।
তো তারপর সেখান থেকে চলে আসি। কারণ মামা কি স্কুলে যেতে হবে। তাই সেখান থেকে তাড়াতাড়ি করে বের হই। বের হয়ে বাইকে উঠে যাই। তারপর সেখান থেকে চলে আসি এসে যখন কলেজ রোড আসি তখন মামাকে বলি মামা আমাকে এখানে নেমে দাও। তারপর আমি কলেজ রোড নামি। সব ব্রিজের উপর থেকে প্রচন্ড জ্যাম জট দেখা যাচ্ছে আজকে। সেখান থেকে যামের জন্য আমি সামনে এগোতে পারছিলাম না। অনেক কষ্টের পরে সামনে গেলাম।
তারপর কলেজের মধ্যে গিয়ে বসি। আমার এক বন্ধু আসে তার সাথে বেশ অনেকটা সময় কলেজের মধ্যে বসে আড্ডা দেই। দুজনে মিলে ভালোই দুষ্টামি ফাজলামি করছিলাম আজকে। আজকে কলেজে তেমন কেউই ছিল না একদম ফাঁকা ফাঁকা ছিল। তাই আমরা দুজনে মন খুলে ডাকাডাকি করেছি গান গিয়েছি ভালই গেল আজকের সময়টা আমাদের।
তো তারপর সেখান থেকে চলে আসি। তো বাড়িতে এসে শুনি আমাদের কোরবানির দেওয়ার জন্য যে গরুটা কিনেছে। সেই গরুটা আনতে গিয়েছে আব্বু। তো বেশ অনেকটা সময় আমি ফোন নিয়ে বসে থাকি। তার মাঝে দুপুরের খাবার ও খেয়ে নেই কারণ সকালে আমার তেমন কোন নাস্তা করা হয়নি তাই পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল। তাই তাড়াতাড়ি করে খাবার খেয়ে নেই। তো অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই গরুটাকে নিয়ে চলে আসলো। আমাদের এলাকার সামনে গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে গেছে। তো আমাকে সেখানে যেতে বলল আমি গেলাম। এই গরু কি আর আমার একার পক্ষে বাড়িতে নিয়ে আসা সম্ভব। মোটেও সম্ভব নয় তাই তাদের সাথে লোকে আমাদের বাড়িতে গরুটাকে পৌঁছিয়ে দিল।
তারপর গরুটাকে সেখানে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হলো। আমি তারপর গোসল করতে যাই। গোসল করে একটু বিছনায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। বিছানায় শুয়ে পড়াই আমার ঘুম চলে আসে। আমি ঘুমিয়ে পড়ে যাই। ঘুম থেকে উঠি প্রায় ৫:৩০ এর দিকে। তারপর ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে। একটু বটতলা বাজারের দিকে যাই। সেখানে একটু আমার কাজ ছিল একটা দোকানে সেই কাজটা করার জন্য সেখানে যাওয়া আমার।
তো সেখানে যাওয়ার সময় তো ভালোই গাড়িতে গিয়েছিলাম। আসার সময় হাঁটতে হাঁটতে আসা লাগলো একটা গাড়িও পেলাম না।তো হাইটা হাইটা বাড়িতে আসায় আমার প্রচন্ড পানির পিপাসা পেয়ে যায়।
তো ভাবলাম পানি খাবো শুধু তার থেকে একটা ডাব কেটে সেই ডাবের পানি টুকুই খাই। তো যেই কথা সেই কাজ বাড়িতে এসে একটা ডাব কেটে নেই। তারপর সেই ডাবের পানি টু খুব মজা করে পান করি।
তারপর সবার সাথে খালপাড়ে ঘাটলায় গিয়ে বসি। সেখানে বসে আমাদের যে যার মত ফোন দেখতেছিলাম। তার মাঝে বিভিন্ন কথা ও হাসি ঠাট্টা করতেছিলাম আমরা। বেশ অনেকটা সময় সেখানে বসে আমরা সবাই মিলে কথা বললাম। ভালোই লাগলো অনেকদিন পরে বাড়ির ছেলেরা মিলে এভাবে একসাথে বসে হাসির ঠাটটা করলাম।
তো সন্ধ্যার সময় আমি সুন্দরভাবে এসে পড়তে বসে যাই। বেশ অনেকটা সময় লেখাপড়া করি। আজকে আমার কোচিংয়ে যাওয়াও হয়নি। আর সকালে পড়তে বসা হয় নাই। তাই ভাবলাম আজকে অনেক বেশি পড়ালেখা করবো। তার জন্য ভালই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না বারবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল। তাই আর বেশিক্ষণ পড়া হলো না।
প্রচন্ড গরম দিচ্ছে তাই বাহিরে বের হলাম। হাঁটতে হাঁটতে দোকানের দিকে গেলাম। সেখানে গিয়ে অল্প কিছুক্ষণ দোকান ওয়ালা ভাইয়ের সাথে কথা বলি। হালকা কিছু খাবার খাই। সেখানে বসে বেশ ভালই লাগলো এভাবে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায়। তো সেখান থেকে বাড়িতে এসে রাতের খাওয়া দাওয়া করে বিছানা গুছিয়ে শুয়ে পড়ি। তারপর একটা গান ছেড়ে। পোস্ট লিখতে বসে যাই।
সকালবেলা মামার কলে আপনার ঘুম ভেঙেছে। আপনার এক আত্মীয়দের বাসায় গ্যাঞ্জাম হয়েছে সেটি মেটানোর জন্য মামা যেতে বলেছেন। আসলে গ্রামে যারা মাতবর ধরনের লোক থাকে কোন ধরনের ঝামেলা হলে তাদের ডাক পড়ে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। আপনাদের কোরবানীর গরুটা ভালো হয়েছে। কোরবানীর ঈদের আনন্দটা অনেকটাই নির্ভর করে পশুকে কেন্দ্র করে। গরমের সময় ডাবের পানি অনেক কাজে দেয়। শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করার জন্য। আপনাদের খালপাড়টা অবসর সময় পার করার জন্য অনেক ভালো একটি জায়গা। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
মামার কলে ঘুম থেকে উঠেন।এরপর এক যায়গায় ঝামেলা লাগায় সেখানে গিয়ে মিটমাটের চেষ্টা করেন।এটা খুবই ভালো একটা বিষয় যে আপনি মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করে দৌড়ে গেছেন সেখানে।এরপর কুরবানির গরু নিয়ে এসেছেন।নরমাল পানি কিনে না খেয়ে আপনি ডাবের পানিকেই বেছে নিয়েছিলেন।সব মিলিয়ে সুন্দর একটা দিন কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এখন বিভিন্ন কারনে মানুষের মধ্যে ঝগড়া ঝামেলা লেগেই থাকে তাই সকলে এক জায়গায় বসে কথা বলে সেগুলো মিটিয়ে দেওয়া উচিত। জ্যাম বসে থাকলে কার না বিরক্ত লাগে। ডাব খেতে তো আমার ভীষণ ভালো লাগে আর এই গরমে ডাবের জল যেন শান্তির ছোয়া দেয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে গরম সহ্য করা খুব মুশকিল হয়ে দাড়ায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।