Better Life with Steem|| The Diary Game||14 June 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
আজকে ইচ্ছা করেই অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠি। কারণ আজকে জুম্মার দিন ছিল মানে শুক্রবার। তাই অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি আমি। তো ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেই। কিরে আম্মুকে হালকা কিছু নাস্তা দিতে বলি। তো আম্মু আমাকে কফি বানিয়ে দেয় সাথে বিস্কুট দেয়। কফির সাথে বিস্কুট খেতে কেমন জানি একটা লাগল। আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগলো না খেতে। তাও চুপচাপ খেয়ে নিলাম কারণ যতই হোক আম্মু নাস্তা তো দিছে। এত দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার পরও আমাকে নাস্তা দিছে আর যার পরীক্ষা সামনে সে এত দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছে তাকে যে নাস্তা দেওয়া হয়েছে এটাই আমার কাছে অনেক কিছু।
তো চুপচাপ নাস্তাটুকু খেলাম। তো ভালোভাবে খুদা মিটলো না। তাই চলে গেলাম দোকানের দিকে ।দোকানে গিয়ে হালকা কিছু খাবার খেলাম তাতে আমার পুরো পেট ভরে গেল। মানে সকালের খাওয়া-দাওয়া টা পূর্ণ হল আমার।
তারপর সেখান থেকে আমি আর আমার খালাতো ভাই একটু হাটাহাটি করি সামনের রাস্তার দিকে। রাস্তাটা অনেক ফাঁকা ফাঁকা ছিল কারণ শুক্রবার দুপুর এর সময় হয়ে গেছিল । সবাই সালাত আদায় করবে মসজিদে গিয়ে তার জন্য বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছে। তাই রাস্তাটা বেশ ফাঁকা ফাঁকা। তো আমরা কিছুক্ষণ রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করলাম।
তারপর আমরা বাড়ির দিকে চলে আসি। বাড়ি আষাঢ় অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আজান দিয়ে দেয়। আমরা গোসল করে নেই। তো আমরা যখন আযানের সাথে সাথেই গোসল করতে নামলাম। তাই আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় পেলাম গোসল করার জন্য। আমরা গোসল করতে নেমেছি আমাদের সাথে আরো ২-৩ জন এসে গোসল করতে নেমেছে। কারণ শুক্রবার সবাই তাড়াতাড়ি করে গোসল করে নামাজে যাবে। তো সবার সাথে গোসল শেষ করে। নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে চলে যাই। তো মসজিদে গিয়ে ইমাম হুজুরের ওয়াজ নসিহত শুনি। তারপর সবার সাথে জুম্মার সালাত আদায় করে বাড়িতে চলে আসি।
বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে অল্প কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই। তারপর চলে যাই কলেজ রোড। আমরা কলেজ রোড যদি আসি তাহলে আমাদের কলেজের মধ্যে গিয়ে বসি সবাই। তো আমি কাউকে ফোন বা অনলাইনে এসএমএস না দিয়েই কলেজে মধ্যে গিয়ে বসি। সেখানে গিয়ে আমি ফুটবল খেলা দেখি। অনেক মানুষ ফুটবল এর চর্চা করছিল সেই চর্চা আমি বেশ অনেকক্ষণ দেখি।
কিভাবে ওরা জানতে পারলো আমি সেটা বুঝতেই পারলাম না। আমি যে কলেজের মধ্যে আছি সেটা কেউ দেখেনি আমাকে আসতে। তোর আমাকে কল দিল বলল ব্রিজের উপরে আয়। তো আমি ভাবলাম কেউ হয়তো দেখেছে তাই আমাকে এখন ওরা ব্রিজের উপরে ডাক দিচ্ছে। তোদের কাছে গেলাম গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে আমাকে কি তোরা দেখেছিস কলেজের মধ্যে। ওরা বলল হ্যাঁ আমরা যখন কলেজ থেকে বের হলাম তখন তোকে দেখেছি কলেজের মধ্যে ঢুকতে। আমি বললাম ও আচ্ছা তাই। তোদের সাথে ব্রিজের উপরে গিয়ে বেশ অনেকটা সময় আড্ডা দিলাম। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল তখন আমি ওদের সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
তো সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে আসি। আজকে অনেক পড়তে হবে। আজকে প্রথমেই ভেবেছিলাম। যে অনেক সময় ধরে পর্ব তাই ফোন নিচে রেখে উপরে চলে যাই চুপচাপ পড়তে বসে যাই ।বেশ অনেকটা সময় পড়ি।
হঠাৎ করেই কারেন্ট চলে যায়। কারেন্ট চলে যাওয়ার পর আমি ফোন হাতে নিয়ে আমাদের খালপাড়ে ঘাটলায় গিয়ে বসি। কারণ কারেন্ট যাওয়ায় গরমে পুরো অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে ঘাটলায় গিয়ে বসি ।সেখানে বেশ অনেক বাতাস বই ছিল প্রাকৃতিক। তার বেশ কিছুক্ষণ পরে কারেন্ট চলে আসে তো আমি খাওয়া দাওয়া করে। ফোন নিয়ে দেখি বেশ অনেকটা সময় হয়ে গেছে। আমার এখনো পোস্ট লেখা বাকি। তাই তাড়াতাড়ি করে পোস্ট লিখতে বসে যাই।
শুক্রবার ছুটির দিন ছিল এজন্য একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছেন। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কফির সাথে বিস্কুট খেয়েছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন কফির সাথে বিস্কুট খেতে একদম ভালো লাগে না। আমার কাছে মনে হয় চা দিয়ে বিস্কুট খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
যাইহোক শুক্রবারের দিন তাড়াতাড়ি গোসল করে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য গিয়েছেন।
বিকেলে কলেজ মাঠে গিয়ে অন্যদের ফুটবল চর্চা দেখেছেন।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনার প্রথমের লেখাটা পড়ে আমার খুবই মজা লাগলো। যার কয়দিন পর পরীক্ষা সে দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছে তারপরও তাকে নাস্তা দেয়া হয়েছে এটাই অনেক। 😆 সব মা ই বোধহয় এরকমই হয়। ছোটবেলায় পরীক্ষার সময় যদি না পড়ে বেশিক্ষণ ঘুমাতাম তাহলে সকালে আম্মু মুখ কালো করে থাকতো। নাস্তা দিতে বললে বলতো আরও কিছুক্ষণ ঘুমা। উঠার কি দরকার।
যাহোক একবার জুম্মা বারে নামাজ কালাম পড়তে যান। বিকেলবেলা মাঠে গিয়েছিলেন ফুটবল খেলা দেখতে। রাতের বেলা যখন কারেন্ট যায় তখন খালপাড়ে গিয়ে বসেন। আমাদের এখানেও কারেন্ট খুব ডিস্টার্ব করে। তখন আমি অবশ্য ছাদে যেয়ে বসে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এত সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।