Better Life with Steem|| The Diary Game||12 June 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
সকালে আমার ঘুম ভাঙ্গে অনেক তাড়াতাড়ি তখন প্রায় ৬:০০ বাজে । তো আমরা ঘুম যখন ভেঙ্গেই যায়। তাই আর না ঘুমিয়ে বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেই। এইতো অল্প কিছুক্ষণ পরে আমার মামা আমাকে কল দেয়। তাড়াতাড়ি করে তাদের বাড়ি আসতে। তো আমি ভাবলাম কি নাকি তাই তাড়াতাড়ি করে সেই বাড়ি চলে গেলাম। গিয়ে শুনি সে গরু দেখতে যাবে কোরবানির জন্য তাই আমাকে তার সাথে যেতে হবে। তার জন্য আমাকে এত তাড়াহুড়া করে কল দিয়ে ঢাকা। সে এত তাড়াতাড়ি সকাল সকাল কেন গরু দেখতে যাবে এটা প্রশ্ন থাকতে পারে কারো। আমার মামায় একজন সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করে। তাই তাকে স্কুলে যেতে হবে তার জন্য এত সকাল সকাল গরু দেখতে যাওয়া। তো আমি তার সাথে গরু দেখতে চাই গিয়ে চার পাঁচটা গরু দেখি।
তারপরে আমি আর সে বাড়িতে চলে আসি গরু পছন্দ হয়েছে কি হয় নাই তাও কিছু বলল না। তো আমিও জিজ্ঞেস করি নাই কারণ আমাকে কোচিংয়ে যেতে হবে তাই আমি আর তেমন কোন কিছু জিজ্ঞেস করে সময় নষ্ট করলাম না। তাড়াতাড়ি করে বাড়িতে চলে আসলাম। এসে নাস্তা বাসা থেকে বের হয়ে চলে যাই কোচিংয়ে। তো কোচিং এ গিয়ে সবার সাথে ভালোভাবে লেখাপড়া শুরু করে দেয়।
বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাদের কোচিং ছুটি দেয়। আমরা সবাই বের হই তো আমাদের কলেজে বিজিপি এসেছে তার জন্য কলেজের মধ্যে কাউকে বেশিক্ষণ থাকতে দিচ্ছে না। তাই আমরা আর কলেজের মধ্যে গিয়ে হইচই বা আড্ডা দিলাম না। আমরা একটা দোকানে বসে অল্প কিছু খাবার খেলাম।
তারপর সেখান থেকে বের হয়ে আমরা অন্য আরেকটা স্থানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সবাই মিলে আড্ডা দিলাম। বেশ ভালই লাগছিল অন্য স্থানে সবাই মিলে হই-হুলুর করতে। যখন বন্ধুরা পাশে থাকে তখন বেশ ভালই লাগে। নিজেকে কেমন অন্য একটা জগতের মানুষ মনে হয়। তখন যেমন কোন কিছুর চিন্তা ও থাকে না আর খারাপ লাগাও হয় না। ওদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে। আমরা তিন বন্ধু মিলে চলে যাই অন্য আরেকটা জায়গায়। যে জায়গায় আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেই জায়গায় চলে যাই।
তো আমাদের কলেজ রোড থেকে সেই পুরানো স্মৃতিযুক্ত স্থানে আসতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়। কারণ গাড়ি পাচ্ছিলাম না হাঁটতে হাটতে আসতে হয় আমাদের। আমাদের সেই পুরানো স্কুলের গেলাম অনেকদিন পরে। যেখানে কতটা সময় আনন্দে কাটিয়েছি। সেই মজার স্কুল জীবনে যদি আবারও ফিরে যেতে পারতাম। ওই একটা কথায় আছে না। শৈশবকাল ভালোই ছিল কেন যে যৌবন কাল আসিলো। আগে কোন চিন্তা ছিল না মাথায় এখন বিভিন্ন ধরনের চিন্তা যেমন ক্যারিয়ারের টেনশন, লেখাপড়ার টেনশন ইত্যাদি। তো অনেক কিছুই মনে পড়লো স্কুলটা দেখে। অল্প কিছুক্ষণ স্কুলের মধ্যে হাঁটাচলা করলাম।
তারপর সেখান থেকে বের হয়ে যাই। মূলত আমাদের আজ স্কুলে আসার কারণ হচ্ছে। আমাদের এক বন্ধু আজ প্রায় তিন বছর পর বাহির থেকে বাংলাদেশে এসেছে। তার সাথে দেখা করতে আমরা স্কুলের আসি। ওর তো তার সাথে দেখা হয় আমরা বেশ কিছুক্ষণ ওর সাথে সেখানে বসে কথা বলি। বেশ অনেকটা সময় আমরা একসাথে থাকি।
তারপর আমরা যে যার বাড়ির দিকে চলে যাই। তো আমি বাড়িতে চলে আসি। তো আমি বাড়িতে এসে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করি। খাওয়া দাওয়া করে বেশ কিছুক্ষণ ফোন নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকি। প্রচন্ড গরমের মধ্যে বারবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এই গরমে আর বাঁচতেছিলাম না। তাই বাহিরে বের হই তো বাহিরে বের হই দেখি এক লোকে নারিকেল গাছ বেঁচে দিচ্ছে। তো তার সাথে কথা বলে আমি আমাদের কাছ থেকে অল্প কিছু ডাব পেরে নেই। গরমের মধ্যে মিষ্টি ডাবের পানি খেতে ভালই লাগে আমার কাছে। তো সেগুলো বেশ মজা করে খাই অনেক মিষ্টি ছিল ডাবের পানি।
তারপর একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য দোকানের দিকে বের হই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার এক বন্ধু একটা গাড়ি তে করে ঘোরার জন্য বের হয়েছে। তো আমাকে ও তার সাথে নিয়ে যায় তবে বেশ কিছুক্ষণ আমরা সেই গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করি।
তো সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে আমার হালকা একটু ক্ষুধা পেয়ে যায় একটু কেমন কেমন ঘুমও পাচ্ছিল। তাই আমি একটু কফি তৈরি করি। কফি তৈরি করে সেটাকে পান করি। তো কফি বান করার পরে আমার মনে হল আমার চোখে ঘুম আরো বেশি বেশি আসতেছে। তো আমি একটু চোখে মুখে পানি দিয়ে আসি তারপরে আর তেমন একটা ঘুম আসছিল না।
তারপর পড়তে বসে যাই। বেশ কিছুক্ষণ পড়ালেখা করার পরে। আর পড়ালেখা করতে ভালো লাগতেছিল না। তাই বই রেখে ফোন হাতে নেই। বেশ কিছুক্ষণ ফোন দেখতে দেখতে চলে যায়। তারপর রাতে খাওয়া দাওয়া করার জন্য আম্মু ডাক দেয়। আমি খাওয়া-দাওয়া করে এসে বিছানা গুছিয়ে শুয়ে শুয়ে পোস্ট লিখে ফেলি।
প্রতিটা ধর্মের মানুষের কাছে তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠানগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক। সবাই চায় তাদের ধর্মানুষ্ঠানগুলো পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে। কোরবানি ঈদ এজন্য সেই আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে তাই আপনার মামা গরু কিনতে যাবে।
গরমের দিনে ডাবের জল খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুজেই পাওয়া যাবে না। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মামার সাথে কুরবানির গরু দেখতে গিয়েছেন। সেখান থেকে আবারও এসে কোচিংয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে সবাই কোরবানির গরু কেনা নিয়ে অনেক ব্যস্ত। আপনারা কোন বন্ধু অনেকদিন পর বাইরে থেকে বাংলাদেশে এসেছে। সবাই মিলে একসাথে বসে আড্ডা দিয়েছেন। সত্যি ভাই এই গরমে ডাবের পানি খেতে খুবই ভালো লাগে। সেই সাথে শরীর অনেক ঠান্ডা থাকে।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
খুব ভোরে আজকে আপনার ঘুম ভেঙেছে। সকাল বেলাতেই মামার সাথে হাটে গিয়েছিলেন। একারণেই মামা সকাল সকাল আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এরপর কোচিং এ যান। আপনি ঠিকই বলেছেন, শৈশব কাল অনেক ভালো ছিল। দিন দিন যত বড় হচ্ছি আর দায়িত্ব বাড়ছে,প্রেশার বাড়ছে। গরমের মধ্যে নারিকেলের পানি অনেক কাজে দেয়। ভালো করেছেন নারকেলগুলো নিয়ে। ভালো লাগলে আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।